এই ব্লগের সব লেখা কপিরাইট সংরক্ষিত
লেখাটি এখানে পোস্ট করার জন্য অনেক অনুরোধ। ...
তাই এটা এখানে রাখা হলো।
জব্বার হোসেন
সহকারী সম্পাদক, সাপ্তাহিক ২০০০
যায় যায় দিনের বছর ০২ সংখ্যা ১৭৩, ৩০ নভেম্বর ২০০৭ শুক্রবার চায়না থেকে পাঠানো জনাব মিনার রশীদের “ভূতের উল্টো পা এবং আমাদের সোজা গন্তব্য” শীর্ষক লেখাটি পড়লাম। তিনি আব্দুন নূর তুষারের লেখার উত্তর দিতে গিয়ে অদ্ভুত কিছু বিষয় উল্লেখ করেছেন। লেখার শুরুতেই তিনি ভূত বিষয়ক মজার একটা উদাহরন দিয়েছেন।
ভুতের উল্টো পায়ের কথা বলে কি বোঝাতে চেয়েছেন মিনার, সেটা স্পষ্ট নয়। ভুতের পা উল্টো না করে সোজা রেখেই পেছনে যাওয়ার জন্য জন্য তিনি রিভার্স মেকানিজমের ব্যবহারের কথা লিখেছেন। তারপর বলেছেন আমরা নাকি নিজের ভুল স্বীকার করতে চাই না। তারপর বলেছেন এজন্যই নাকি আমরা কল্পনায় ভুতের পা উল্টো করেছিলাম, সেটা আর সোজা করতে চাই না। তারপর তিনি ভুত মানে কি সেটা ব্যাখ্যা করেছেন।
তারপর বলেছেন “আই অ্যাম সরি” বলে শব্দটি নাকি আমাদের অভিধানে কম জায়গা পেয়েছে। তারপর ভূতের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, মরে যাওয়ার পর মাংসবিহীন যে কংকালটি ধরায় ফিরে আসে সেটাই ভূত।
প্রথম কথা হচ্ছে কংকাল মানেই মাংসবিহীন। মাংসসহ কংকাল হয় না। তার ভাষাজ্ঞান বেশ আধৃনিক বলতে হয়।
“আই অ্যাম সরি” তিনটি শব্দ নিয়ে একটি বাক্য হয়। এটাকে তিনি একটি শব্দ বলে উল্লেখ করেছেন। এটাকে এক শব্দ বলে তিনি কপোল কে কপাল বানিয়েছেন নিজেই। রিভার্সগিয়ার দিলে ভুতকে উল্টা হাঁটানো যেতো একথা বলে তিনি তার প্রকৌশল জ্ঞান বোঝাতে চেয়েছেন হয়তো। তবে একথাটা তার বিপক্ষেই গেছে।
কারন ভুতের পা উল্টা না করেও যদি তাকে সোজা হাটানো যায়, তাহলে শিক্ষিত মানুষ সেটাই চাইবে। আব্দুন নূর তুষার সেটাই চেয়েছেন। রিভার্স গিয়ার দিয়ে একটু পেছনে গিয়ে, তিনি ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে সাক্ষ্য প্রমাণ অনুযায়ী বিচার চেয়েছেন। বিচারে যদি প্রমানিত হয় যুদ্ধাপরাধ হয় নাই তাহলে অভিযুক্তরা খালাস পাবে, আর অপরাধী হলে শাস্তি পাবে। তার,দেয়া একটি যুক্তিরও সরাসরি উত্তর না দিয়ে ভুত, বানান ভুল আর সরি নিয়ে গল্প ফাঁদার মানে হল ক্যামোফ্লাজ করা বা শাক দিয়ে মাছ ঢাকা।
ভুল স্বীকার করেন নাই কে? তুষার তো বলেছেন শেখ মুজিবের সরকারের ভুল ছিল এবং অনেক ভুল শুধরানো গেলে এটাও শুধরাতে। আর রাজনীতিবিদরা নিজের ভুল স্বীকার করেন নাই, এজন্য ভুলগুলি কি আর ভুল নেই? মিনারের মতে কি ভুল স্বীকার না করলে সেটা শুদ্ধ হয়ে যায়? কারো ভুলের জন্য বা অবহেলায় বিচার না হলে, অপরাধ ন্যায় হয়ে যায়? আমাদের সমাজ ও রাজনীতি ভূত হয়ে পড়েছে, একথা বলেছেন মিনার। এই ভূত হবার সাথে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করার কি সম্পর্ক ? সমাজের ভূত হবার কারন কি এটাই যে ন্যায়বিচার চেয়েছেন তুষার এবং তার মতো আরো অনেকে? আলতাফ মাহমুদ কিংবা ডা. ফজলে রাব্বী কিংবা ডা. আলীম চৌধুরী হত্যার বিচার চাওয়া মানে কি ভূতের বিচার চাওয়া? মিনার লিখেছেন অতীতে কে তার ওপর অত্যাচার, অবিচার করেছিল সেই লিস্ট দেখে দেখেই ভূত ঘাড় মটকায়। আমাদের সমাজ নাকি সে চেষ্টাই করছে। তার মানে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবিরা ভূত আর আমরা ভুতের লিস্ট দেখে তাদের হত্যার বিচার চাইছি ? ছিঃ মিনার, ছিঃ!
তারপর বলেছেন ভুত নাকি অন্য ভুতদের ক্ষমা করে দেয়।
তারমানে কি আমরা ধরে নেবো যারা যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিতে বলছেন তারা ভূত? তাহলে তো মিনার নিজেই তার যুক্তি অনুযায়ী একজন ভুত। তিনি ন্যায়বিচার বা মানবাধিকারের প্রশ্নে নীরব। কথায় কথায় শুধূ উন্নয়নের দোহাই। তারপর দেশের প্রবীন কলামিস্টদের তিনি “বৃদ্ধ” বলে গালি দিয়েছেন, বলেছেন এদের অবসরের চিঠি নাকি কেবল আজরাইলের হাতে। তারপর নাইজেরিয়ার কোন স্বৈরশাসক এক ব্লন্ডের বুকে মারা গেছেন.... একথা বলে একটা অশ্লীল উদাহরন দিয়েছেন, যার সাথে তুষার বা শাহীনের লেখার কোন সম্পর্ক নেই।
তারপর মিনার বলেছেন পৃথিবীর প্রায় অর্ধশত বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক দেশের মানুষের সংস্পর্শে আসার সুযোগ তার হয়েছে। অনেক জায়গায় তার মনে হয়েছে নতুন প্রজন্মটি পুরনো প্রজন্মের চেয়ে উত্তম। বুড়োরা সহজ সমস্যার জটিল সমাধান দেয়। তরুণরা জটিল সমস্যার সহজ সমাধান বের করে ফেলে। এজন্যই তো তরুন মানসিকতা থেকে তুষার বলেছেন মুহিন এবং তার তরুন বন্ধুরাই একদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে।
মিনার কিন্তু তার বলা সেই বৃদ্ধদের মতো সহজ বিষয়টাকে জটিল করেই গেছেন। নিজের কথাকে নিজেই কিছুক্ষন পরপর বিরোধীতা করেছেন।
তুষার তার লেখায় জামাতে ইসলামের নাম বদল করা বা কোন রাজনৈতিক দলের নাম বলেননি। কিন্তু জনাব মিনার বুঝেছেন যে জামাতে ইসলামের কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেছেন জামাতের উপকার করে দেবে বুড়োরা কারন নাম বদলালে জামাতের আর নাকি দোষ থাকবে না।
এফিডেভিট করলে কি পাপ মোচন হয়ে যায়? একটা বিষয় স্পষ্ট বুঝতে হবে যে যুদ্ধাপরাধের দোষটা কোন দলের সব সদস্যের নয়। যারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন শুধু তাদের বিচার চাওয়া হয়েছে। সেই অপরাধী যদি এখন আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা জাসদ করেন, তবুও তার বিচার হতে হবে। তিনি অবসরে থাকলেও তার বিচার হতে হবে। এটা কোন দলের বিরুদ্ধে দাবী নয়।
অপরাধী যেই হোন, সেই অপরাধীর বিচার চেয়েছেন তুষার। আপনি ক বলতে কাঁঠাল বুঝে ফেলে প্রমান করে দিলেন যুদ্ধাপরাধী বলতে আপনি জামাতকে বোঝেন, যেমন শাহীন বুঝেছেন মাওলানাদের। তুষার কিন্তু স্পষ্ট বলেছেন, ঢালাওভাবে মাওলানাদের অসম্মান করাটা তিনি পছন্দ করেন না।
এরপর বলেছেন এ দেশের সব যুব শক্তি যৌবনের ধর্মে জেগে উঠলে উপরের একটি বাক্যে তা সমাধান করে ফেলতে পারতো। যুব শক্তি জেগে উঠলে কি তারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিত বলে আপনার ধারনা? তারপর নিজে নিজেই তুষারকে কলামিস্টদের প্ল্যাটফর্মে আমন্ত্রন জানিয়েছেন।
বলেছেন লাঠি নয়, কলম ধরতে। লাঠি দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে এমন কথা কোথাও তুষার বলেন নি। বরং লাঠির বিকল্প হিসেবে তিনি কলমকেই ব্যবহার করেছেন, এবং বিচার চেয়েছেন আইনের অধীনে। তারপর তিনি বলেছেন জনাব তুষার নৈতিকভাবে শক্ত একটা বিষয়কে অসঠিক সময়ে ও বেঠিক কর্তৃপক্ষের কাছে (জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার) বাস্তবায়নের চাপ দিয়েছেন এবং তার এ মতের সব বিরোধিতাকারীকে কৌশলে একই জায়গায় ঠেলে দিয়ে সমপরিমাণ বিভ্রান্তিতে জড়িয়ে ফেলেছেন।
বিভ্রান্তিতে তো আছেন মিনার।
তিনি স্বীকার করেছেন যে তুষারের অবস্থান নৈতিকভাবে শক্ত। তারপর বলেছেন সময়টা নাকি অসঠিক আর কর্তৃপক্ষ বেঠিক। ভাষাজ্ঞান অনুযায়ী অসঠিক আর বেঠিক অর্থ একই। মিনারের যুক্তি অনুযায়ী নীতির পক্ষে দাবীর সময় অসময় আছে? তারমানে সত্য বা ন্যায়ের পক্ষে দাড়ানোর আগে দেখে নিতে হবে সময়টা ঠিক কিনা? এটা সুবিধাবাদী মন্তব্য হয়ে গেলো না? অর্থাৎ আগে ভাও বোঝো তারপর নাও ভাসাও। মিনার সাহেব নীতির কথা বলছেন কিন্তু দাড়াচ্ছেন নীতির বিপক্ষে।
তুষার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে কারো বিচার চাননি। তিনি শাহীনের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা তৈরীর বিষয়টি কোন সমস্যা নয়। সরকার চাইলে এটা পারে। না করলেও কোন অসুবিধা নেই। পত্রপত্রিকা, বইপত্র এবং ইন্টারনেট, জীবিত স্বাক্ষীদের কাছ থেকেও তালিকা পাওয়া যাবে।
তিনি শুধু বলেছেন বিচারের দাবীটি সঠিক এবং ন্যায্য।
গো অর নো গো, গেটটি দেয়া হয়েছে হত্যা, ধর্ষন. অগ্নিসংযোগের ও অন্যান্য অপরাধের বিচারের নৈতিক অবস্থান নিয়ে। যিনি মনে করেন এসব অপরাধীর বিচার হওয়া উচিত নয়, তার কি দরকার আছে তুষারের লেখা পড়ে অযথা সময় নষ্ট করার? আর মিনারের গো অর নো গো প্রশটিœতো শিশুসুলভ। মা (গণতন্ত্র) কে অসুস্থ রেখে বাবার হত্যাকারী ধরতে গেলে, মা নাকি মরে যাবে। তাহলে আমাদের নাকি শতভাগ এতিম হবার সম্ভাবনা।
আপনার যুক্তিতে মা যদি হয় গণতন্ত্র, তাহলে বুঝতেই হবে বাবা হলো মুক্তিযুদ্ধের আক্রান্ত জনগোষ্ঠী। মায়ের অসুস্থতার একটি কারন যদি হয় বাবার হত্যাকারীর বিচার না হওয়া? তাহলে কিন্তু বাবার হত্যাকারীর বিচার করলে মা বেঁচে উঠবে শক্তভাবে। আমার তো মনে হচ্ছে বাবার হত্যার বিচার করলে মিনারের কোন নিকটাত্মীয় বা তিনি নিজেই এতিম হবেন। সেটাই হয়তো বিরাট সমস্যা।
এরপর প্রশ্ন করেছেন এধরনের নৈতিক গেট দেবার অধিকার লেখকের আছে কিনা? অবশ্যই আছে।
লেখক যদি নৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে থাকেন তখন তিনি সেটা বলতেই পারেন। আপনি নিজ্ইেতো বলেছেন তুষার নৈতিকভাবে শক্ত একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এরপর সুপুরুষ কোন বন্ধুর দিকে সুন্দরী মহিলাদের তাকানো এবং লিপস্টিকের দাগ, ইমরান খানের নাম এসব টেনে এনে সেক্সিস্ট মন্তব্যসমৃদ্ধ যে গল্পটি তিনি বললেন তার সাথে শাহীন বা তুষারের লেখার কোন সম্পর্ক নেই। ঘুরে ফিরে ব্লন্ড, সুন্দরী মহিলা, সুদর্শন পুরূষ, ইমরান খান, লিপস্টিকের দাগে গাড়ীর কাঁচ লাল, এসব বলার মধ্যে দিয়ে বিশেষ ধরনের উদাহরন ব্যবহারে মিনার তার আসক্তি প্রমান করেছেন, যার মধ্যে কোন যুক্তির লেশমাত্র নেই।
যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে তুষার কিছুই বলেন নাই।
দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের রাজনীতি করা এমনিতেই দেশের প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ। ফলে যুদ্ধাপরাধীরা শাস্তি পেলে এমনিতেই তারা রাজনীতি করতে পারবেন না। আর ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে তুষার যে যুক্তি দিয়েছেন,মিনার তার কোন উত্তর দেন নাই। এটা ঠিক না বেঠিক সেটা না বলে, আরো ১৩ মাস অপেক্ষা করতে বলেছেন সবাইকে। তাহলে জে এম বি আর হুজির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সময় ম্যান্ডেট নিল না কেন সরকার? আপনি কি বলতে চান ৭১ সালে যুদ্ধাপরাধীরা মানুষ মারলে সেটার বিচার করা যাবে না আর ২০০৭ এ মুফতি হান্নান মারলে বিচার করা যাবে?
তিনি এরপর বলেছেন আমাদের গণতন্ত্র আজ যে সঙ্কটে পড়েছে আসুন সবাই মিলে সেখান থেকে গণতন্ত্রকে প্রথম উদ্ধার করি।
২০০৮ সালে দেশে নির্বাচন হবে। ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরী হচ্ছে। সংস্কার চলছে নানা ক্ষেত্রে। দেশ যখন একটি সুষ্ঠু ওনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সমস্যা হলো সেই গনতন্ত্র শাহীন এবং মিনারের পছন্দ হচ্ছে না। তারা এর মধ্যে গভীর সংকট দেখতে পাচ্ছেন।
কারন সেই গণতন্ত্রে হয়তো যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে দেশের পতাকা নাও উড়তে পারে। সেই গণতন্ত্রে আওয়ামী লীগ, বিএনপির ক্ষমতার স্যান্ডউইচের ভাগাভাগিতে যুদ্ধাপরাধীদের মেয়োনেজ মাখামাখি নাও ঘটতে পারে।
এরপর জাহাজের পোর্ট ও স্টারবোর্ডের সাথে সমাজের উদাহরন দিয়ে বলেছেন এর মাঝখানে কোন বুদ্ধিজীবিকে বসালে নাকি তিনি পোর্টসাইডে গড়িয়ে পড়বেন। তার বক্তব্যের সহজ মানে হলো কেউ নিরপেক্ষ নয়। এটা অবশ্যই সত্য।
পক্ষ দুটি । একটি সত্য বা ন্যায়। অন্যটি অপরাধ, মিথ্যা বা অন্যায়। সত্য মানে মাঝখানে থাকা নয়। এজন্য বিচারের প্রতিমূর্তি চোখবাধা নারীমুর্তিটির হাতের পাল্লাটা একদিকেই কাত হয়।
সেটা ন্যায়ের দিক। ন্যায় অন্যায় পাল্লার মাপে কথনো সমান হয়না , হতে পারে না।
এরপর তিনি প্রাক্তন সিইসি আজিজের কথা টেনে এনে প্রমানের চেষ্টা করেছেন যে তার অপসারন চেয়ে শেষ পর্যন্ত আমরা নাকি গণতন্ত্রকে ডুবিয়েছি। কোথায় যুদ্ধাপরাধের বিচার আর কোথায় সিইসি আজিজ। তার মানে মিনার এর মতে ১/১১ এর পরিবর্তন গণতন্ত্রকে ডুবিয়েছে।
বাহ! এবার মনের ভেতরের আসল কথাটা বলেছেন তিনি। অথচ তিনি লিখেছেন “দুএকটা দুর্বল মুহূর্তে বিএনপির প্রতি গোপন প্রেম প্রকাশ করা ছাড়া এই এম এ আজিজরা তাদের অনিরেেপক্ষতা প্রদর্শনেরও সুযোগ পাননি। ” তার মানে মিনারের মতে বিএনপির প্রতি দুএকবার গোপন প্রেম প্রদর্শন, নিরপেক্ষতা?
তিনি উদাহরন দিয়েছেন বিএনপির ভাংগা গড়া আর আওয়ামী লীগের গোপালের সাথে ভাবের। এর সাথে তুষারের বা শাহীনের লেখার কি সম্পর্ক? আমার তো মনে হচ্ছে বিএনপির ভাঙ্গা গড়ার জন্য আপনার কান্নাকাটি যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য তুষারের দাবীর চেয়ে বেশী করুন এবং আর্তিপূর্ণ। বিএনপি ভাঙ্গছেন মান্নান ভূঁইয়া, সাইফুর রহমান, মেজর হাফিজ এর মতো সেই দলের প্রাক্তন ক্ষমতাধর মন্ত্রীরাই।
এটাই তো তাদের জাতীয়দাবাদী ঐক্যের নমূনা। এর সাথে তুষার বা শাহীনের লেখার সম্পর্ক কি? আর দল ভাঙ্গলে গণতন্ত্র কেন দুর্বল হবে। দলে দুর্বলতা থাকলে সেটা টিকবে না, নতুন দল হবে। এটাই গণতন্ত্র।
এরপর বলেছেন নিরপেক্ষতা নাকি কোন গুন নয়? এটা নাকি বাইরে থেকে আরোপিত অবস্থা।
তাহলে কোনটা গুন? পক্ষপাতিত্ত্ব? তাহলে বিচারক নিরপেক্ষ বিচার করলে কি আপনার মতে সেটা একটা আরোপিত অবস্থা? তারপর তুষারের লেখা নিয়ে কথা বলা বাদ দিয়ে জিয়া কেন গণতান্ত্রিক সেটা বোঝানোর জন্যে জামির চৌধুরী নামে একজনকে জ্ঞান দিতে শুরু করেছেন। আপনি যেন সামুরাই তরবারী। এক লেখার কোপ মেরে তুষার, জামির সবাইকে টুকরো করে ফেলছেন।
তুষার বলেছিলেন ১. সব অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। ২. যুদ্ধাপরাধীর তালিকা তৈরীতে প্রয়োজন সদিচ্ছা।
৩. যুদ্ধাপরাধী ও মাওলানা সাহেবরা এক নন। ৪. আমাদের সংবিধানের পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্ট সংশয় ও আইনের বিচার স্থাপনে আমাদের অনীহা জাতীর অনৈক্যের একটি কারন। ৫. ধর্মহীন রাজনীতি বলে কিছু নেই। মানূষ ধার্মিক হলে রাজনীতিও ধার্মিক হয়। ৬. দেশের আইন অনুযায়ী বিচার করলে যারা অপরাধ করেননি তাদের ভয় পাবার কিছু নেই।
আপনি এসব যুক্তির কোন উত্তর না দিয়ে ধান ভানতে শিবের গীত গেয়েছেন। কোথায় যুদ্ধাপরাধ, কোথায় ভুত, কোথায় ইমরান খান, কোথায় ব্লন্ড আর লিপন্টিক, কোথায় সি ই সি আজিজ আর কোথায় বিএনপির ভাঙ্গন? লেখার শেষে এসে টেনে আনলেন জামির চৌধুরীকে আর চেষ্টা করলেন জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিক কিনা সেটা প্রমান করতে।
শুরুতে আপনি যে ভূতের গল্প বলেছিলেন সেটাই আপনাকে বলি। রিভার্স গিয়ার দিলে ভুত পেছনে যায়। কিন্তু যে ভূতের গিয়ার বক্স নষ্ট আর স্টিয়ারিং এ গন্ডগোল সেটা একেকদিকে একেক গতিতে ধায়।
তখন সেটাকে লোহার দরে বেচতে হয়। ইংরেজীতে একে বলে স্ক্র্যাপ। এরকম স্ক্র্যাপ আর না লিখলে হয় না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।