বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বরাবরই যেকোনো সামরিক শাসন-অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ হয়ে থাকে। বিক্ষোভ হয়। স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্রবিক্ষোভ বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি স্বৈরশাসকেরও গদি ছিনিয়ে নেয়। শিক্ষকদের মুক্তির যে আবেদন আসছিল, তার প্রতি সরকারের এই হলো 'সম্মানপ্রদর্শন' ২জনকে মুক্তি।
"শিক্ষকরা রাজনীতি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অধঃপাতে নিয়ে যাচ্ছে", এই ফালতু কথা দয়া করে কেউ বলবেন না। মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলে যারা বলে বসেন, শিক্ষকরা ক্লাশ না করিয়ে খালি রাজনীতি করায়, গোপনে ষড়যন্ত্র করে- তাদের কথার গ্রহণযোগ্যতা এ রায়ে ভীষণ কম। কারণ প্রথমতঃ কোনো ম্যাসাকারে শিক্ষকরা ইন্ধন দেননি। কোনো গোপন শলাপরামর্শও তারা করেননি। অথচ রাষ্ট্রপক্ষ থেকে শিক্ষকদের বিচার প্রকি্রয়া থেকে শুরু করে সব সময় শিক্ষক প্রসঙ্গ এলেই এই প্ররোচনা ও উস্কানির কথাটা উঠে আসে।
তাহলে আদালতে যখন প্রমাণ হলো, তারা এই দু'য়ের কোনোটিই করেননি, এরপর নিশ্চয় এই অপবাদ থেকে অন্ততঃ তাদের রেহাই মিলবে। এবার আসুন মৌন মিছিলটির প্রসঙ্গে, যে মিছিলটিতে অংশ নেয়ার কারণে ৪ শিক্ষকের সাজা হলো। মিছিলটির উদ্দেশ্য ছিলো খুবই পরিষ্কার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ আগস্ট সংঘটিত ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদের বহিপ্রকাশ। লক্ষ্য করুন আদালত তার রায়েই কিন্তু সুস্পষ্ট বলে দিচ্ছে, ওই দিন মৌনমিছিল হয়েছিলো। তার মানে মিছিলে কোনো জঙ্গী শ্লোগান তো ছিলোই না, মিছিল ছাড়া মিছিলকারী শিক্ষকদের অন্য কোনো নীলনকশাও (উস্কানি বা প্ররোচনা) ছিলো না।
আদালত এই মিছিলটির জন্যও হয়তো সাজা দিতেন না। কিন্তু মিছিলটি হয়েছিলো জরুরি অবস্থার মধ্যে এবং আদালত মনে করেছে, এই মিছিলে অংশ নেয়ার কারণে ৪ শিক্ষক জরুরি বিধিমালা ভঙ্গ করেছেন। ব্যস, বিষয়টির ইতি টানা যায়। আইনের দৃষ্টিতে শিক্ষকরা কতোটুকু অপরাধ করেছেন, তা তো পরিষ্কারই। এবার আসুন নিজেরা নিজেদের প্রশ্ন করি, রাষ্ট্রীর আইনের মারপ্যাচ বাদে নৈতিকতার দিক থেকে তাদের অপরাধটি কি একেবারেই আকাশ ছোঁয়া সাইজের?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।