আজকাল ঢাকা শহরে জোর গুজব, সেনাবাহিনী নাকি মোটা অংকের টাকা ঘুশ খাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যাবসায়ী স্বিকার করলেন এমপি পাস এ কেনা তার এক গাড়ির ঝামেলা মেটানোর জন্য এক মেজরকে ধরে তিনি সেনাবাহিনীর উচু পদের এক অফিসারকে ৪০ লাখ টাকা ঘুশ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্হ কর্মকর্তারা নাকি ১-৫ কোটি টাকার মতো মোটা অংকের ঘুশ গ্রহন করে বড় ব্যাবসায়িদের দুর্নীতিবাজদের তালিকা থেকে বাইরে অথবা তালিকায় নাম থাকলেও তাদের ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকছেন। একটু খোজ নিলেই দেখা যাবে, দুর্নীতিবাজদের ৫০ জনের দ্বিতীয় তালিকার মাত্র ৯ জনকে আটক বা তাদের অর্থের হিসাব দিতে বলা হয়েছে, বাকি সবাই দিব্বি নিশ্চিন্তে প্রকাশ্যে চলাফেরা করে বেরাচ্ছেন। সেনাপ্রধান বারেবারেই প্রায় প্রতি সপ্তাহেই আমাদেরকে ফ্রিডম অফ প্রেস এর কথা স্মরন করিয়ে দিচ্ছেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যদি আসলেও বহাল থাকতো, তাহলে কি আমাদের দেশের নির্ভীক সাংবাদিকরা সেনাবাহিনীর দুর্নীতির এই গুজব নিয়ে কিছু লেখালেখি করতেন না?
ভুলে যাই আমরা শুধু, আমাদের দেশে দুর্নীতি ঢুকিয়েছেন হল একজন সাবেক সেনাপ্রধান, এরশাদ সাহেব।
তাহলে সেই সেনাবাহিনীকেই আমরা আবার এতো গুরু দায়িত্বভার দিয়ে কিভাবে বিশ্বাস করি?
দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান ঠিকই বলেছেন, "দুর্নীতি আমাদের অভাবের নয়, স্বভাবের।"
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।