আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাবধান মোবাইল অপারেটর’রা !!! প্রতিবাদ যে miss-call দিয়ে হতে পারে” তার উদাহরণ আমরা নিজে।(আপডেটেড সময়ঃ দুপুর ৩:১০ মিনিট। ২৭/০১/১৩)

প্রতিদিন অন্তত একটা ভালো কাজ করার চেষ্টা করুন আপডেট ৪: ২৭ জানুয়ারী/১৩ সময়ঃ দুপুর ৩:১০ মিনিট, সবাইকে First Phase এর বিশাল কন্ট্রিবিউশনের জন্য ধন্যবাদ । আমরা কৃতজ্ঞ । অনেকেই জানতে চেয়েছেন,প্রখ্যাত সংবাদপত্রের অনলাইন ভার্সনে কি নিউজ আসবে ? আমরা সবিনয়ে বলছি - সম্ভবত না । সবসময়ই দেখা গেছে সংবাদপত্রের দুই এক জন সাংবাদিক-যারা অনলাইনে বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে সোচ্চার থাকে,তারা নিজেদের ছাড়া আর কোনো মুভমেন্ট নিয়ে আগ্রহী হয় না । বন্ধুরা, এটা অনুধাবন করা অসম্ভব নয় - এই সর্বকালের সর্ববৃহৎ অনলাইন মুভমেন্টে সবাই স্বতস্ফূর্ত ভাবে অংশ নিয়েছেন কোনো এনজিও'র ব্যানার ছাড়াই,কোনো ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া,কোনো সংবাদপত্রের সাংবাদিক ও চ্যালাপ্যালা সহযোগে পারস্পরিক পিঠ চাপড়ানো ছাড়াই ! এখানে সবাই যুক্ত হয়েছেন নিজ নিজ দায়িত্বে,নিজের দাবী আদায়ের আন্দোলনে ।

এখানে নেতা হয়ে যাবার সুযোগ খুবই কম । আমরা গর্বের সাথে জানাতে চাই , আমরা এমন একটি অনলাইন মুভমেন্ট শুরু করেছি,যেখানে আড়াই লক্ষ ফেসবুক ইউজার যুক্ত হয়েছেন,প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন ত্রিশ হাজার ইউজার ! হ্যাঁ ! আমরা জানি ত্রিশজন লোকের হাতে চল্লিশ ফুটের ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ সভাও পত্রিকায় নিউজ হবে,যারা সব (!) অনাচারের প্রতিবাদ করেন কিন্তু বিজিএমইএ' অবৈধ ভবন নিয়ে না লিখে সাঙপাঙ সমেত বিজিএমইএ'র সামনে শুয়ে পড়েন এবং সেটাও নিউজ হয়ে যাবে, পঞ্চাশজন লোকের বিশ গজি স্থানে গ্যাংনাম স্টাইলে নৃত্যও ছাপা হয়ে যাবে - কিন্তু আমাদের আড়াই লক্ষাধিক ইউজারের এই জাগরন নিউজ হবে না । কারন এখানে সবার স্বার্থ জড়িত , এখানে অন্তত প্রিন্ট মিডিয়ার স্বার্থসিদ্ধি হবে না । আমরা এতে ভীত নই,আমরা সন্তুষ্ট । আমরা আরেকবার দেখিয়ে দিতে পেরেছি অনলাইনের সেই শক্তি -যার কারনে প্রিন্ট মিডিয়া একে অপছন্দ করছে ।

অনলাইন আপনার আমার সেই স্থান-যেখানে কারো চক্ষু রাঙ্গানি,জোর খাটানো বা নিজের মত চাপিয়ে দেয়া চলে না । বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানীর কাছ থেকে বিজ্ঞাপনে অনলাইনের তরুনেরা চলছেনা- বরং আমাদের কাছ থেকেই উচ্চমূল্যে তারা ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রি করছে । অথচ এই অনাচারের এই বিশাল প্রতিবাদের পরও প্রিন্ট মিডীয়ার চুপ করে থাকাটা মোবাইল কোম্পানীর আজ্ঞাবহ থাকাই নির্দেশ করে । প্রমান হলো আবারও, আপনার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য অনলাইনের বিকল্প নেই । অনেক ধন্যবাদ সবাইকে,যারা শত ব্যস্ততার মাঝেও মিসড কল চালিয়ে গেছেন ।

নেটওয়ার্ক জ্যাম করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো না । সকাল থেকে ৪ টি ঘন্টা ক্রমান্বয়ে জাংক কল করে ,কোম্পানীর নেটওয়ার্ক ব্যস্ত রেখে '০' টাকা ইনকাম !- আড়াই লক্ষ তরুনের একটি ন্যায্য দাবীতে একত্রিত হবার পাশাপাশি এটিও বিশাল একটি অর্জন ! দেখো অপারেটররা,আমরা প্রতিবাদী হয়েছি আগেই -এখন একত্রিত হওয়াও শুরু করেছি ! আমরা বেশি কিছু করতে পারিনি,শুধু ডাক দিয়েছি । সবকিছুর জন্য আপনারা ধন্যবাদ পাবেন । আপনাদের সবাইকে আমাদের স্যালুট । স্যালুট সেই মা'কে যে নিজের মেয়েকে মিসড কল দিয়েছেন প্রতিবাদে,স্যালুট সেই বাবাকে-যে ছেলের কাছে ইভেন্টের কথা শুনে আজ কল রিসিভ করেন নি ,স্যালুট সেই প্রেমিকা কে,যে তার প্রেমিককে বারবার ফোন দেয়ার পরও না ধরায় রাগ করেনি - সে জানে আজ কেন ছেলেটি ফোন ধরছেনা ! স্যালুট সেই শিক্ষককে,যে ক্লাসে বারবার মিসড কল বাজতে দেখেও রাগ করেন নি - তিনিও জানেন আজকের প্রতিবাদ কেন ! স্যালুট সেই অপারেটরের কর্মীকেও,যিনি প্রতিবাদের কারন জানার পরও তার নিজের নাম্বার থেকে মিসড কল দিয়েছেন,মিসড কল দিতে নাম্বার পাঠিয়েছেন ।

স্যালুট ফেসবুক । আমাদের একত্রিত করার সুযোগ তৈরী করে দেয়ার জন্য । রেডি আপ । Second Phase : সন্ধ্যা ৭-রাত ৯টা । আপডেট ৩: ২৭ জানুয়ারী/১৩ সময়ঃ দুপুর ২:০৭ মিনিট, ঘোষনা-- ফেজ ওয়ান - সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা।

ম্যাসিভ রেস্পন্স ! ফেইজ টু - সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ৯ টা। কাপছে বাংলাদেশ ! মিসড কল - আমার প্রতিবাদের হাতিয়ার। আপডেট ২: ২৭ জানুয়ারী/১৩ সময়ঃ দুপুর ১:৩১ মিনিট, এত মানুষ যে সারা দিবে তা আমি/আমরা কল্পনা ও করতে পারিনি ........এখানে দেখে আসুন কিভাবে মিস কল দিতে হয় । Click This Link শেষবারের মত মনে করিয়ে দিই- ১.সকাল ১০ থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত মিসড কল করুন। এরপর সাথে আবার সন্ধ্যা ৭ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত সময় ঠিক করা হয়েছে ২.অন্তত ২৫ টি মিসড কল করুন।

ছোট ছোট পালস আকারে অথবা ৩০ সেকেন্ডের লম্বা মিসড কল। পরিচিত নাম্বার বা নিজের নাম্বার হলে ৩০ সেকেন্ড ধরে মিসড করুন । নতুবা ছোট করে প্রচুর মিসড কল করবেন । ৩.দুইটা হ্যান্ডসেট থাকলে একটী সাইলেন্ট করে আরেকটি থেকে অটো রিডায়াল করে রাখুন । ৪.কোনো ভাবেই - আবারো বলছি কোনোভাবেই ১০-২ টা পর্যন্ত সময়ে কল রিসিভ করবেন না ।

পরবর্তীতে কল ধরতে না পারার কারন জানান,কিন্তু আজ এই সময়ে কল ধরবেন না। ৫.সম্ভব হলে নিজের করা মিসড কলের বা পাওয়া মিসড কলের স্ক্রীন শট ইভেন্টে দিন । অন্যরা উৎসাহ পাবে । আন্দোলন সফল হোক । সবাইকে অসংখ্যা ধন্যবাদ ।

আপডেট : ২৭ জানুয়ারী/১৩ রাত ১২:২৬ মিনিট. বিঃ দ্রঃ যারা সকাল ১০ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত মিসকল দিতে পারবেন না, তারা মিসকল দিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত তবুও মিস করবেন না মিসকল দেবার সুযোগ! আন্দোলনের সাথে থাকুন। ভুমিকা - ২০০৬ সালে গ্রামীনফোন বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা EDGE শুরু করার আগ পর্যন্ত ডায়াল আপ কানেকশনই মূল ভরসা ছিলো । VSAT এর মাধ্যমে এতদিন দিয়ে যাওয়া ধীরগতির ইন্টারনেট সার্ভিস কিছুটা গতি পায় ২০০৬ সালে , যখন বাংলাদেশ যুক্ত হলো ISCC(International Submarine Cable Consortium) এর SEA-ME-WE-4 কেবলে । ব্যান্ডউইডথের দামও তখন ছিলো অবিশ্বাস্য রকমের বেশী – প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইডথের দাম ছিলো ৮০০০০ হাজার টাকা,ইন্টারনেট তখনো তরুনদের হাতে সহজলভ্য হয় নি, গনমানুষের কাছেও না । ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইডথের দাম কমিয়ে দেন ২৭০০০ টাকায় ।

এর পরপরই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার । ইন্টারনেট সার্ভিস তৃনমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেবার প্রত্যাশায় তারা এক এক ধাপে ব্যান্ডউইডথের দাম কমানো শুরু করে । ২৭০০০ টাকা থেকে তারা ২০০৯ সালে প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইডথের দাম কমিয়ে আনে ১৮০০০ টাকায়, পরবর্তীতে ২০১২ সালে আবারো কমিয়ে আনে ৮০০০ টাকায় । একইসাথে পরবর্তীতে প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইডথের দাম ৮০০০ থেকে ৫০০০ টাকায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে BTRC . কেন দাম কমাচ্ছে ? ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট সার্ভিস তৃনমূলে পৌঁছে দেয়ার কথা সরকার বলছে । একইসাথে সরকার জানাচ্ছে বাংলাদেশ SEA-ME-WE-4 সাবমেরিন কেবলে যুক্ত থেকে ৪৪.৬ গিগাবিট ব্যান্ডউইডথ পেলেও ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ১৫ গিগাবিট ব্যান্ডউইডথ ।

তাছাড়া ২০১৩ সালের জুনে আরো ৯৬ গিগাবিট ব্যান্ডউইডথ যুক্ত হতে যাচ্ছে । এই বিশাল পরিমানের ব্যান্ডউইডথ যেন অব্যবহৃত না থাকে, সেই জন্য এবং আই এস পি (ISP) ও মোবাইল অপারেটরদের চাপে সরকার দাম কমিয়েছে । এই কমদামে বিক্রি করা ব্যান্ডউইডথের সুফল কি আমরা পাচ্ছি ? না । আপনাদের মনে থাকার কথা , ২০০৬ সালে EDGE সার্ভিস চালু করা গ্রামীনফোনের ইন্টারনেট খরচ এখনো সেই আগেরমতই আছে । ২০০৯ সালের ১ জিবি ইন্টারনেটের প্যাকেজের দাম এখনো ৩৫০ টাকাই আছে ।

এর মাঝে সরকার ঠিকই দুই দফায় দাম কমালেও তারা কমায় নি । একই কথা খাটে বাংলালিংক,এয়ারটেল,রবি সহ অন্যান্য অপারেটরদের ক্ষেত্রেও । সবাই .০২ কিলোবাইট / পয়সা হিশাবে আমাদের কাছ থেকে ইন্টারনেটের চার্জ নিচ্ছে । আপনারা খেয়াল করুন, প্রতি ১০ মেগাবাইট ইন্টারনেটের প্যাকেজ এয়ারটেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ১০ টাকা (ভ্যাট ছাড়া)পড়বে , অথচ একই কোম্পানী ভারতে (টুজি নেটওয়ার্কে) ১০ রুপীতে (বাংলাদেশী ১৪.৮০ পয়সা) ১২৫ মেগাবাইট ইন্টারনেট দিচ্ছে ! একইভাবে বাংলাদেশের গ্রামীনফোনের মূল কোম্পানি টেলিনরের ভারতীয় অংশ ইউনিনর ৯ রুপিতে (বাংলাদেশি ১৩.৩০ পয়সা) ৬০ মেগাবাইট ইন্টারনেট দিচ্ছে ! বাংলালিঙ্কও চালাচ্ছে ১০ মেগাবাইট ১০ টাকার প্যাকেজ, রবিও সেই একই ডাকাতি চালিয়ে যাচ্ছে । এভাবেই সরকার দাম কমিয়ে গেলেও আমজনতা কোনো রেহাই তো পাচ্ছেই না, বরঙ অন্য দেশের তুলনায় আমাদের কাছ থেকে দামও বেশী রাখা হচ্ছে ।

শুধু ইন্টারনেটের খরচই বেশি ? না । আমরা এত উচ্চমুল্যে ইন্টারনেটের নামে যা কিনছি আমাদের কষ্টার্জিত পয়সায়,তার স্পীড নিয়ে কে সন্তুষ্ট ? গ্রামীনফোনের এভারেজ স্পীড থাকে ১০-১৯ কেবিপিএস , বাংলালিংকের অবস্থা আরো খারাপ । রবি কি দিচ্ছে তা কেউই বলতে পারছেনা , এয়ারটেলও তার ব্যতিক্রম নয় । অথচ টু-জি কানেকশনের স্পীড ৩৮৪ কিলোবিট পার সেকেন্ড পর্যন্ত হতে পারে, আমরা টাকা দিয়ে কতটুকু পাচ্ছি ? একইসাথে প্রতিদিন বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর দিনে-রাতে গাদাগাদা স্প্যাম ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে । কখনো ‘ভালো মুসলিম পাত্রীর খবর’ জানাতে (বাংলালিংক) , কখনো ‘আমি রেশমা,বন্ধু হতে ডায়াল করো **** নাম্বারে’ (এয়ারটেল) ইত্যাদি বিব্রতকর ম্যাসেজ ।

তাছাড়া সরকার ১০ সেকেন্ড পালস রেট নির্ধারন করে দেয়ার পর কল ড্রপের ( হুট করে কানেকশন কেটে যাওয়া ) পরিমান বেড়ে গেছে ! দরকারে কাস্টোমার কেয়ারে ফোন দিতে হলেও টাকা কাটছে, অথচ বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালের আগস্টে সব টেলিকম কোম্পানীকে নির্দেশ দিয়েছিলো- ১২১ নাম্বারে টোল ফ্রি রাখতে,অর্থাত এই নাম্বারে ফোন করা হলেও যেন টাকা কাটা না হয় । সেই নির্দেশও কি এরা মেনেছে ? বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে টিভি-পত্রিকা ছেয়ে ফেলার দিকে এদের যত মনোযোগ , ঠিক ততই অনীহা ইউজারদের সুবিধা দেখার ক্ষেত্রে । কি করতে চাচ্ছি - আমরা অফলাইনের শান্তিপ্রিয় মানববন্ধনে বিশ্বাস রাখতে পারছি না । যারা এভাবে দিনের পর দিন লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে, তারা আমাদের শান্তিপূর্ন মানববন্ধনে কান দেবে – এটা আশা করা যায় না । সুতরাং আগ্রাসী ভুমিকা নিতেই হয় ।

তাই আমরা ঠিক করেছি , নির্দিষ্ট একটি তারিখে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা সবাই মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ব্যস্ত রাখবো , কিন্তু এক পয়সাও খরচ করবো না । আর সেই উপায় হলো মিসড কল । একটি নির্দিষ্ট তারিখে পিক আওয়ারে আমরা সবাই যদি গনহারে পরিচিতজনদের মিসড কল দেয়া শুরু করি , তবে মোবাইল অপারেটরদের বি টি এস ব্যস্ত থাকবে ঠিকই,কিন্তু যেহেতু আমাদের কারও কোনো খরচ করতে হচ্ছে না, তাই আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না । যা ক্ষতি হবার হবে কোম্পানীর,কারন সেই সময় আমরা তাদের নেটয়ার্ক ব্যবহার করেছি ঠিকই কিন্তু কোন টাকা দিচ্ছিনা! আমরা অনেক মানুষ যদি একত্রিত হতে পারি,তবে কোম্পানীর ক্ষতিটা নেহায়েত কম না । যদি ৫০০০ হাজার মানুষ ইভেন্টে যোগ দিন এবং প্রত্যেকে তিনঘন্টায় মাত্র ২০ টা মিসড কল করেন , তিনঘন্টায় ১ লাখ মিসড কল হচ্ছে , যেগুলোর অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলো ঠিকই – কিন্তু কোনো ইনকাম করলো না,বরঞ্চ তাদের সেলুলার ট্র্যাফিক বিজি করে রাখছে ! তাছাড়া এই সংখ্যা যদি আরো বিশাল হয়,তবে আমাদের দাবীর প্রতি তাদের কর্নপাত করতেই হবে ।

আমরা জানি , এই সংখ্যাটা ২০০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে , ক্ষতিটা আক্ষরিক অর্থেই বেশি হবে । জয়েন আস ! - যেহেতু সরকার খরচ কমিয়েছে,সুতরাং যৌক্তিকভাবেই কম খরচে ইন্টারনেট সার্ভিস চাই । - স্প্যাম ম্যাসেজের অবসান চাই । - ভালো নেটওয়ার্ক চাই । - সম্পূর্ন অনলাইনে এই প্রতিবাদ, এর জন্য আপনার রাস্তায় থাকা দরকার নেই ।

আপনি আপনার বাসায় বসেই,অফিসে থেকেই অথবা যাত্রা পথেও আমাদের সাথে সংযুক্ত হতে পারেন । আপনি সিলেট থাকতে পারেন , আপনি ঢাকায় থাকতে পারেন , আপনি ভোলায় থাকতে পারেন – কিন্তু আপনি একইসাথে বাকি সবার সাথে এই অভিনব প্রতিবাদে অংশ নিতে পারেন । আপনি অফলাইনে বা অনলাইনে আপনার বন্ধুদের সাথে কথা বলুন , সবাইকে জানান - আমরা এইভাবে আর ডাকাতি দেখতে পারি না । সবাইকে জানান,এবার আমরা তাদের গাঁট কাটবো । সবাই বোঝান – অপারেটরদের না ভোগালে তারা আমাদের কথা শুনছে না ।

সবাইকে বলুন – প্রিন্ট মিডিয়া বিজ্ঞাপনের টাকা উপার্জন করে অপারেটরদের কাছে জিম্মি ,আমাদের ভোগান্তির কথা কখনোই ছাপাবেনা, তারা আমাদের পক্ষে অপারেটরদের উচ্চমূল্যের ইন্টারনেট নিয়ে কখনোই বলবে না । আমরা ফেসবুককেই বেছে নিয়েছি সবার সাথে একত্রিত হবার স্থান হিসেবে , এখান থেকেই শুরু হবে সেই প্রতিবাদের ভাষার..... যা অপারেটরদের বাধ্য করবে সার্ভিস চার্জ কমাতে । শুধু নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট কয়েকটি ঘন্টা আপনি মিসড কল করে যান, ২০...৩০...৫০ টি । যত বেশি মিসডকল করবেন, আমাদের কাছে অপারেটরদের মাথা নত করার সম্ভাবনা ততই বাড়বে । অনেক তো ভুগেছি ,আসুন এবার তাদের ভোগাই ।

মিসড কল – আমার প্রতিবাদের হাতিয়ার Reference: (i) Click This Link (ii) https://www.facebook.com/duurzodhon (iii) https://www.facebook.com/tanzirislambritto ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.