বিষন্ন দিনের, বিষন্ন সময়ের রূপকথা
সে, একটা স্বপ্নকে ছুঁড়ে দিয়েছিলো, আকাশে...
চেয়েছিলো, স্বপ্নটাকে দিয়ে সুবিশাল আকাশ ছুঁতে,
সে এঁকেছিলো তাতে, স্বপ্নের অবয়বে পৃথিবীর সমস্ত সুন্দরের রূপ ।
ধরণীর সময়ে, সযতনে, স্বপ্নটা তার ময়ূরপঙ্খী উড়ায়, আকাশের নীলে... ।
না...,
তারপর, কোন দুর্ভেদ্য কালো মেঘ এসে তার স্বপ্নটাকে ঢেকে দেয়নি;
পূ্র্বকোণ থেকে কোন ঝড়ো হাওয়া এসেও স্বপ্নটাকে উড়িয়ে নেয়নি ।
মরুর প্রখর সূর্যতাপ স্বপ্নটাকে পোড়ায়নি... পোড়াতে পারেনি,
মৌসুমী প্ররোচনায়, খেয়ালী প্রকৃতির প্রচন্ড কোন বৃষ্টিও, কাকভেজা করেনি তাকে ।
স্বপ্নটা, যখন প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে বিশাল নীলিমা..., বিধাতার আশীর্বাদে ;
বেড়ে উঠেছে শাখা প্রশাখায়, নিবিড় মমতায় মনকে বাসন্তী রঙে রাঙিয়ে... ;
দ্বিকবিজয়ের আনন্দে তখন তা আকাশে ভাসছিলো স্বপ্নিল ছন্দে, রাগে, অনুরাগে...
গাইছিলো হৃদয় হতে উৎসারিত ভালোবাসার মমতময়ী আবেগস্পর্শী কোন গান ।
তখনি । ঠিক তখনি...
জয়ের শুভলগ্নে, ধূসর গোধূলি বেলায়, সে অবাক হয়ে দেখলো ;
তাহারি শুভাকাঙ্খী, তাহারি প্রিয় ভালোবাসার মানুষ, ভালো মানুষ,
সেই আকাশ ছুঁয়ে যাওয়া স্বপ্নটাকেই গোড়া থেকে উপড়ে ফেললো !!!
স্বপ্নহরণ..., পরিশেষে । ।
হা হা হা... । হা হা হা... ।
প্রখর তাপ, ঈষাণ কোণের বৈশাখী ঝড়,
ঝড়ো বৃষ্টি, হিমেল হাওয়া কিংবা কালবৈশাখী মেঘ...
যতটুকু পাষাণ হতে পারেনি;
যতটুকু অবহেলায় কোন স্বপ্নের আবেশ বিনাশ করেনি –
একজন মানুষ! একজন প্রিয়তা! পেরেছে এভাবেই, আরেক প্রিয়’র স্বপ্ন হন্তারক হয়ে ।
এখন আর সে স্বপ্ন দেখে না ।
এখন আর সে স্বপ্ন বোনে না ।
এখন আর সে স্বপ্নটাকে নাটাইয়ের সূতায় বেঁধে আকাশে উড়ায় না ।
কি আর হবে স্বপ্ন দেখে ?
কি’ইবা হবে স্বপ্ন দেখিয়ে...
যখন এক প্রিয়তা কি প্রচন্ড অবহেলায়ই না...
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নকে নিমিষেই উপড়ে ফেলে ।
যখন ভালোবাসার চোখগুলো, ভালোবাসার হৃদয় গুলো,
জগতের লোভের মোহে মুহূর্তেই অন্ধ হয়ে যায় ।
তোমরা । হ্যাঁ তোমরা...
তোমরাই স্বপ্নভূক । ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।