পুরুষদের বলছি। জীবনে একদিন না একদিন নারী আসবেই, এ নিয়ে তাড়াহুড়োর কিছু নেই। কাউকে ভালো লাগল, আর সঙ্গে সঙ্গে প্রেমে পড়ে গেলেন কিংবা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন, এমন করাটা হবে বোকামি। বরং সঙ্গিনী নির্বাচন করুন একটু ভেবেচিন্তে।
ভাবছেন, সঙ্গিনী নির্বাচন করবেন কীভাবে? আপনার কাজটা সহজ করে দিতে পারে এই প্রতিবেদন।
সাত ধরনের নারী আছে যাদের সব সময় এড়িয়ে চলা উচিত, তা সে অন্য যত গুণেরই অধিকারী হোক না কেন।
দ্য বিগ বস: সুন্দরী নারী। প্রাথমিক আচরণেও আপনার কাছে বেশ মার্জিত মনে হলো। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই টের পেলেন, সে আপনার সব কিছু ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতে চায়। ধরুন, আপনি কোনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছেন।
সে আপনার কাছে জানতে চাইবে, ওই ‘বন্ধু’কে কীভাবে চেনেন, পরিচয় হলো কীভাবে, কী কী কথা হলো—সব খুলে বলতে হবে তাকে। আপনি কীভাবে ভবিষ্যতে এগিয়ে যাবেন, জীবনের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত, সব ঠিক করার চেষ্টা করছে মেয়েটি। প্রাথমিক পরিচয়ের পর মেয়েটির মধ্যে এমন কিছু দেখতে পেলে ভুলেও মন দেওয়া-নেওয়া করবেন না।
সবকিছুতেই অস্পষ্টতা: মেয়েটি কোনো কিছুই স্পষ্ট করে বলে না। সব সময় আপনাকে অনুমান-নির্ভর অবস্থায় রাখে।
সে আপনাকে ভালোবাসে কি না, সেটাও বোঝার জো নেই। এমনকি ‘হ্যাঁ’ বললেও আপনি দ্বিধার মাঝে থাকেন। এ ধরনের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে নিজের জীবনটাকে ‘অনিরাপদ’ অবস্থায় ফেলবেন না।
তুমি আমার মতো হবে: আপনি কী খাবেন, কোন কাপড় পরবেন, কোন ধরনের ছবি দেখবেন, গান শুনবেন—সবকিছু নির্ধারণ করে দিতে চাইছে মেয়েটি। কোনো বিষয়ে একমত না হলে মেয়েটি এমন আচরণ করল, যেন বড় কোনো অপরাধ করে ফেলেছেন আপনি।
ভুল করেও এমন ‘গুণ’সম্পন্ন মেয়ের দিকে পা বাড়াবেন না।
সব সময় ঈর্ষান্বিত: মেয়েটির মনে সব সময় এমন ভাবনা কাজ করে, আপনি যেকোনো মুহূর্তে তাকে ছেড়ে যেতে পারেন। ধরুন, আপনি কোনো নারী সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন। সেটা সে পছন্দ করছে না। সব সময় আপনাকে আগলে রাখার চেষ্টা করছে।
সম্পর্কে কখনোই সে সুখী নয়। এ ধরনের মেয়ের থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকবেন।
তুমিই আবার সব: মেয়েটির চিন্তাভাবনা সবকিছু কেবল আপনাকে ঘিরে। আপনার ওপর সে পুরোপুরি নির্ভরশীল। আপনাকে ছাড়া এক মুহূর্তও জীবনকে কল্পনা করতে পারে না।
এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা পেয়ে প্রথমে অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে। তবে কিছুদিন পর এই ভালোবাসাই আপনার জীবনটাকে ‘বিষিয়ে’ তুলতে পারে। কারণ, প্রতি মুহূর্তে সে আপনার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইবে। ‘তোমাকে ভালোবাসি’—কথাটা দিনে কয়েকবার না বললে মেয়েটির মনে হবে, তার জীবনটা শেষ হয়ে গেছে।
আমার মা-বাবা যা বলবে তা-ই হবে: মেয়েটি জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে মা-বাবার ওপর নির্ভরশীল।
ব্যক্তিগত বা অর্থনৈতিক সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সে তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এ ধরনের মেয়ে থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। ভালো থাকবেন।
অন্যরা আমাদের চেয়ে সুখী: মেয়েটি সব সময় অন্যদের সঙ্গে তার জীবনের তুলনা করছে। অন্য বন্ধুরা অপেক্ষাকৃত ধনী, সুখী, সফল—এসব সে মেনে নিতে পারছে না।
অন্যদের মতো হতে না পেরে ভেতরে ভেতরে সে পুড়ে যাচ্ছে। আর যা-ই হোক, এমন মেয়ে নিয়ে শান্তি পাওয়ার আশা করাটা ভুল হবে।
যথার্থ জীবনসঙ্গী নির্বাচনে উপায়গুলো বাতলে দেওয়া হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে। এগুলো ব্যক্তিগত জীবনে প্রয়োগ করবেন কি না, সেটা আপনার ব্যাপার। যাঁরা এরই মধ্যে জীবনসঙ্গী বেছে নিয়েছেন, মিলিয়ে নিতে পারেন তাঁরাও।
নিজের ভবিষ্যত্ সম্পর্কে একটা ধারণা পেলেও পেতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।