জেগেও যে ঘুমের ভান করে তাকে জাগানো যায় না।
বিভত্স দৃশ্য। নৃশংস হত্যাকান্ড নাকি গণহত্যা? রক্ত রঞ্জিত একজন একপায়ে লেংচাতে লেংচাতে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে চাইছে। ইতস্তত, বিক্ষিপ্ত ছড়ানো ছিটানো মৃতদেহ।
বেনজির ভুট্টোকে নিয়ে সমর্থকদের গাড়িবহরের মিছিলটি ধীর গতিতে এগুচ্ছিল।
মাঝখানে আকষ্মিক বিস্ফোরণ। আগুনের গোলা উঠে গেল আকাশের দিকে।
রাত দেড়টা থেকে আলজাজিরার ব্রেকিংনিউজে বেনজিরের গাড়িবহরে হামলার খবরটি দেখতে দেখতে যেমন লাগছিল তাই শেয়ার করছি ব্লগের বন্ধুদের সঙ্গে। এর কিছুক্ষণ আগেই পোস্ট করেছিলাম একটি নতুন ব্লগ 'একটি বিতর্ক : কে জিতলেন বেনজির নাকি মোশাররফ?'। পরমুহূর্তে টিভির পর্দায় বোমা হামলার লাইভ সম্প্রচার দেখতে দেখতে আগের পোস্টটি রীতিমতো ডেড হয়ে গেল।
ওই বিষয়ে নিজেরই এখন এই মুহুর্তে বিতর্ক করতে ইচ্ছে করছে না।
খবরে কেউ বলছে ৭ জন, কেউ বলছে ৩০-৩৫ জন নিহত। বেনজিরের খুব কাছেই হামলাটি হয়। তিনি অবশ্য অক্ষত আছেন। বেনজির জঙ্গিদের বিরোধীতা করে আসছেন জোরালোভাবে।
তাই তিনি তাদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন!
মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। টিভির পর্দায় দেখতে দেখতে চোখে ভাসছিল রমনা বটমূল, পল্টন, যশোর, ময়মনসিংহের সিনেমা হল, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, শাহজালালের মাজারের বিভত্স দৃশ্যগুলো। ঢাকা, সিলেট, যশোর, করাচি, লন্ডন, মাদ্রিদ, নিউইয়র্ক- বিশ্বের সর্বত্র আজ জঙ্গিবাদের থাবা। ইসলাম ধর্মের নামে এভাবে মানুষ হত্যা? আমিও এসব স্থানের কোনোটিতে থাকতে পারতাম। আপনিও।
কিম্বা আমার-আপনার বাবা, মা, সন্তান যে কেউ এর শিকার হতে পারেন।
কি করবো আমরা? এই হত্যাকারীদের হাতে জিম্মি হয়ে থাকবো? নাকি রুখে দাঁড়াবো? কিভাবে রুখবো এই সন্ত্রাসবাদ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।