কেএসআমীন ব্লগ
প্রেট্রোবাংলা প্রতি মাসে ভর্তুকী বাবদ সরকারের কাছে ২৫০ কোটি টাকা চেয়েছে। ৬৭ টাকা অকটেনের লিটার প্রতি দাম - তারপরও। কারণ বিশ্ব বাজারে নাকি অশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি দাম বর্তমানে সর্বোচ্চ, ৮৮ ডলার।
কিন্তু এখনও সরকার প্রতি ঘন মিটার সিএনজি ২.৪৫ টাকা দরে পাম্পের কাছে বিক্রি করে। পাম্প প্রতি ঘন মিটারে লাভ করে ৬ টাকা।
এক ঘনমিটারে একলিটার তেলের চেয়ে প্রায় ১০% বেশী গাড়ি চলে।
অকটেনের দাম হয়তো এবার ৭৫ বা ৮০ টাকাও হতে পারে। গত ৫/৭ বছরে তেলের দাম বহুগুণ বেড়েছে। সিএনজির দাম বাড়েনি কেন? আগের একটি পোস্টে আমি উল্লেখ করেছিলাম যে, ৭.০০ টাকায় উত্তোলিত গ্যাস ২.৪৫ টাকায় ভর্তুকী দিয়ে বিক্রয় হয়। কাদের স্বার্থে? আমাদের বোধোদয় কি গ্যাস শূন্য হওয়ার পর হবে? কমদামে গ্যাস বিক্রিতে কারা লাভবান হচ্ছে? পাজেরো, প্র্যাডো সব গাড়িই তো চলছে।
বাসের ভাড়াতো এক পয়সাও কমেনি। সিএনজি স্টেশনের মালিকেরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।
সিএনজির ঘনমিটার প্রতি কমিশন ৪ টাকা করতে হবে।
সিএনজির ঘনমিটার প্রতি সরকারী দাম কমপক্ষে ১৫ টাকা করতে হবে। অকটেনের সাথে সবসময় এডজাস্ট করে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
অকটেনের ৩০% এর কম যেন না হয় সেরকম নীতিমালা তৈরী হওয়া দরকার।
তা না করে মাটির নীচের মূল্যবান সম্পদ দ্রুত ও সস্তায় নিঃশেষিত করে পথের-ফকির পথে বসে যাওয়ার নীতি পরিহার করতে হবে আমাদের। এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই বিদেশীরা ফর্মুলা দেবে না....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।