হেথায় কিছু লিখব বলে চায় যে আমার মন, নাই বা লেখার থাকল প্রয়োজন!
শয়তানিটা আমার ছোট ভাই তালহার।
ছোট্ট একটা খেলনা কুমির কোথা থেকে যেন পেয়েছে - সেটাকে ইচ্ছে করে এমন সব অদ্ভুত অদ্ভুত জায়গায় রাখে যে হঠাত চোখে পড়লে আঁতকে উঠতে হয়। সেদিন বাথরুমে গিয়েছি। হাত বাড়িয়ে সাবানের কেসটা হাতে নিতে গিয়ে দেখি তার পাশ থেকে টিকটিকি জাতীয় কি যেন একটা উঁকি মারছে। আতঙ্কে আমার হাত অবশ হয়ে গেল (আমি আবার একটু বেশি রকমের ভীতু কি না, তাই)।
অবশ্য আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সিরতের অধিকাংশ বাংলাদেশীদের বাসার মতো আমাদের বাসাটাও অনেক পুরানো আমলের। ফলে এর বাথরুমের দেয়ালের ফাটল টিকটিকির জন্য অতি উত্তম বাসস্থান। প্রতিদিন রাতেই বিশাল বিশাল ড্যাবড্যাবে শরীর নিয়ে টিকটিকিগুলো দেয়ালে এবং ছাদে ইতস্ততঃ হাঁটাহাঁটি করতে থাকে এবং কিছুক্ষণ পরপরই লাফ দিয়ে একটা করে মাছি জিহ্বা দিয়ে চট করে মুখের ভিতর নিয়ে গিলে ফেলে - উহঃ কী বিভত্স সেই দৃশ্য!
যাই হোক, আমার হাত অবশ হলেও চোখ দুটো অবশ হয় নি। এবং সেই চোখ দিয়ে নিরীক্ষণ করে বুঝলাম টিকটিকির মতো প্রাণীটা জীবন্ত নয়।
কাজেই আটকে রাখা নিঃশ্বাসটা আস্তে করে ছেড়ে দিলাম। তাও ভালো আমি জানতাম যে আমাদের ঘরে একটা খেলনা কুমির আছে এবং তালহা সেটাকে মাঝে মাঝেই এরকম জায়গায় রাখে মানুষকে চমকে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই তথ্য জানে না এমন কেউ যদি এই দৃশ্যটা প্রত্যক্ষ করে, তাহলে ভয়ের চোটে কুমির বলে যদি চিত্কার নাও দেয়, মাইক্রোকুমির বলে যে চিত্কার দিবে, তাতে আর সন্দেহ কি? অবশ্য যদি সে আমার মতো ভীতু হয় আর কি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।