আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"ধর্ম মারো, মানুষ বাঁচাও" নাকি "মানুষ মারো, ধর্ম বাঁচাও" !!

ব্লগারদের মুক্তির দাবীতে সব অন্ধকার হয়ে আছে। যাদের আলো হাতে পথ দেখানোর কথা ছিল, তারা এখন ঘর অন্ধকার করে বসে আছেন। আমাদের দাবী ছিল যুদ্ধপরাধের বিচারের, আমাদের দাবী ছিল জামাত–শিবির নিসিদ্ধের, এই দাবীতে এই ব্লগ গুলোই আমাদের দিক–নির্দেশনা দিয়েছিল। আজো আমাদের দাবী আদায় হয়নি, এর মাঝে জামাত-শিবির ধূর্ত সব চাল চালছে। তার মোকাবেলা করতে গিয়ে সরকার পর্যন্ত হিমশিম খাচ্ছে।

ঠিক এই সময়ে সবগুলি ব্লগের একসাথে ব্ল্যাকআউটে যাওয়াটা কতটুকু যুক্তি-যুক্ত? ইয়েস, ব্লগার গ্রেফতার এর প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ, অ্যান্ড ইয়েস, মৌলবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হওয়া উচিৎ... এবং এটাও সত্যি সেই আন্দোলন হতে হবে পরিকল্পিত। যুদ্ধপরাধের বিচারের আন্দোলনের মাঝখানে, হুট করে ব্লগার গ্রেফতার, আর সাথে সাথে তাদের মুক্তি চেয়ে সব অন্ধকার করে রাখলে যুদ্ধপরাধের বিচারের আন্দোলন বাঁধাগ্রস্ত হবে, এবং তার পাশাপাশি এই অন্ধকার কখনোই আটককৃত ব্লগারদের মুক্তি দেয়ায় সহায়তা করবে না। ব্লগই যদি বন্ধ থাকে, তবে তাদের স্বপক্ষে জনমত তৈরি করবে কারা? পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। আজ এই যে যুদ্ধের পরিস্থিত তৈরি হয়েছে, এর পেছনে অনেক দিনের ছাই চাপা আগুন কাজ করছে। ব্লগে একদল বলে গেছেন “ধর্মই সকল ধ্বংসের মূল, ধর্মকে মেরে ফেল, মানুষ বাঁচাও”, আরেক দল বলে গেছেন, “মানুষই ধর্মগুলিকে ধ্বংস করছে, মানুষগুলিকে মেরে ফেল, ধর্মকে বাঁচাও”।

এই দুই দলের বিরুদ্ধেই রুখে দাড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে “মানুষই ধর্মকে বাঁচায়, ধর্মই মানুষকে বাঁচায়”। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.