আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বিরোধীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৪

ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে সূ’রা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে বর্ণিত সকল বর্ণনাই মওজু’ বা জাল। নাঊযুবিল্লাহ! এর জাওয়াব হলো- কাফির, মুশরিক, ইহুদী, নাছারাদের কাছে ইসলামী শরীয়তের সমস্ত বর্ণনা বা দলীলই মওজু’ বা জাল। ফলে, তারা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর কোন বর্ণনাই গ্রহণ করে না বা মানে না। যেমন এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে, একবার যামানার মুজাদ্দিদ ও ইমাম, ইমাম আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে এক খ্রিস্টান বাহাছ করার জন্য আসলো। ইমাম আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রথমেই সেই খ্রিস্টান ব্যক্তিকে বললেন, আপনি কি কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস স্বীকার করেন? সে ব্যক্তি জবাব দিল যে, আমি ঐসব কোনটিই স্বীকার করি না।

তখন হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, তাহলে আপনার সাথে বাহাছ করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি চলে যান। একইভাবে বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও ইমাম, মুজাদ্দিদ আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম যখন কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস থেকে অসংখ্য দলীল-প্রমাণের মাধ্যমে যামানার তাজদীদী মুখপত্র ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ’-এ ফতওয়া প্রকাশ করলেন যে, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম ও সাইয়্যিদে ঈদে আকবার অর্থাৎ মহান ও বড় দিন বা ঈদেরও সাইয়্যিদ বা শ্রেষ্ঠ এবং এ ঈদ পালন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয। এবং তা রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত লাভের কারণ, সর্বোপরি আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনাদের মুহব্বত ও সন্তুষ্টি পাওয়ার মাধ্যম বা ওসীলা। তখন ইহুদী, নাছারা, কাফির, মুশরিকদের এজেন্ট ও অনুসারী উলামায়ে সূ’রা কোনরূপ দলীল-প্রমাণ ব্যতীত মনগড়াভাবে প্রচার শুরু করলো যে, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে বর্ণিত সকল বর্ণনাই মওজু’ বা জাল।

নাঊযুবিল্লাহ! অতএব, যামানার তাজদীদী মুখপত্র ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ’-এ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-এর স্বপক্ষে যেসব আয়াত শরীফ, হাদীছ শরীফ এবং অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদগণের কিতাবের বর্ণনা বা উদ্ধৃতি তথা ইজমা’ ও ক্বিয়াস থেকে দলীল হিসেবে পেশ করা হয়েছে। উলামায়ে ছূ’দের ক্ষমতা থাকলে তারা যেন সেসব দলীল মওজু’ বা জাল প্রমাণ করে। কিন্তু তারা প্রমাণ করতে পারেনি এবং ক্বিয়ামত অবধি তা পারবে না। (চলবে ইনশাল্লাহ) সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বিরোধীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বিরোধীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জবাব-২ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বিরোধীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৩ মন্তব্য, প্রথম পর্বে প্রকাশ করুন।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.