র্ধমীয় বিশ্বাস ও ধর্মীয় অনুভূিত উভয়ই মনস্তািত্বক কাঠামোয় সৃষ্ট ও পুষ্ট । কারো ধর্মীয় বিষয়ে আঘাত করা কারো জন্যই সঠিক বা ঠিক নয় । প্রথম আলোর ফ্রিল্যান্স কার্টুনিষ্ট আরিফুর রহমান কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়েছে বা দেয়নি আমি সে বিতর্ক তুলতে যাচ্ছি না । তবে বর্তমানে বাংলাদেশের অনেকে এ ঘটনাকে ধর্মীয় অনুভুতিতে আাঘাত হিসেবে যে মনে করছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। যারা তার কার্টুন প্রকাশকে হযরত মুহাম্মদ (স কে অবমাননা হিসেবে মনে করছেন এবং এ নিয়ে বিভিন্ন বক্তৃতা-বিবৃতি করে নবীজিকে সম্মান দিতে চাচেছন সেসব কার্টুন-বিরোধিরা প্রকৃত হিসেবে উক্ত কার্টুনিষ্ট এর চেয়ে নবীজির অবমাননা করার জায়গা করে দিচেছন বা এক অর্থে বেশী অবমাননা করছেন বলে আমার পরিসংখ্যান সে দিকে কথা বলে।
কীভাবে ? আমি বিষয়টির স্পষট করার জন্য প্রথমে একটি বাস্তব গল্পের (মজার)অবতারণা করতে চাই।
'আমার র্পাশ্ববর্তী গ্রামে একজন পানিতে বেশিরভাগ সময় কাটাতো আর আওয়াজ করত এজন্য তার প্রতিবেশীরা তাকে কোলা (কোলা স্হানীয় শব্দ, এর অর্থ কুনো ব্যাঙ) বলে ডাকতো । বিষয়টিকে সে তার জন্য অবমাননাকর মনে করল। এনিয়ে তার পরিবারের সাথে আলোচনা করল যে "কোলা" নাম ঘুচানোর জন্য কী করা যায়। সিদ্ধান্ত নিল যে "কোলা" নামটি বাদ দেয়ার জন্য নিজ গ্রাম ও পাশ্ববর্তী গ্রামের মুরূববীদের তার বাসায় দাওয়াত দিবেন এবং অনুরোধ করবেন যেন আর তাকে "ফজলু কোলা" বলে কেউ না ডাকে।
নিমম্ন্ত্রণ পেয়ে দুই গ্রামের মুরুব্বীরা যখন তার বাড়িতে আসতেছিলেন তখন গ্রামের লোকজন জিজ্ঞেস করে কোথায় যাওয়া হচেছ এবং কেন যাওয়া হচ্ছে ? মুরুব্বীরা জানায় "ফজলু কোলা"র বাড়ি যাচ্ছি তার নামের সাথে কোলা শব্দটি বাদ দেয়ার জন্য। কী ঘটল ? ঘটনা তার হিতে বিপরীত হল । কেমন করে? গ্রামবাসীর কাছে আলোচনার বিষয়ব্স্তু হলো 'কোলা' নামটি। যে জানত না সেও জেনে গেল, ছড়িয়ে পড়লো গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে মানুষের মুখে মুখে । আজও তাদের গোষ্ঠীর সকলের নামের পরে "কোলা" টাইটেলটি লাগানো হয়।
বর্তমানে প্রযুক্তি ও বিভিন্ন হাইব্রিড মিডিয়ার বদৌলতে যেকোন ঘটনা ঘটার সাথে সাথে সকলের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। প্রতিক্রিয়াও হচেছ দ্রুত। তবে কার্টুনটি প্রকাশের পর সেই দৈনিকের মোট পাঠকের সামান্য অংশ পড়েছে। কিন্তু যখন প্রতিবাদ ও সরকারের প্রেস নোট জারী হতে থাকে তখন তা দেশী-বিদেশী সকল মিডিয়ার মাধেমে সকলে জেনে যায় এবং জানতে চায় আসলে ঐ কাটুনে কী লেখা আছে । অর্থ দাড়ায় কার্টুন বিরোধীরা বেশীজনকে পড়ার সুযোগ করে নবীজিকে বেশী অবমাননা করার সুযোগ করে দিয়েছে আর কিছু লোক এ নিয়ে মাতামাতি শুরু করে বিভিন্ন ফায়দা নিচ্ছে।
বিশেষ ফায়দা নেয়ার জন্য মুল জায়গা থেকে সরে গিয়ে বিভিন্ন ব্ক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে । নবীজির সম্মান রক্ষা তাদের মুল উদ্দেশ্য নয়, ভিন্ন উদ্দেশ্য বাসতবায়নের জন্যই এসব ব্ক্তব্য-বিবৃতি ও সমাবেশ করা হচেছ কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
মুলত: কার্টুনিষ্ট এর চেয়ে কার্টুন-বিরোধিরা নবীজির অবমাননা করছে বেশী বলে আমার মণন হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।