আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাণ্ডারী হুঁশিয়ার!!

ধুলো থেকে আগমন আবার ধুলোতেই প্রত্যাবর্তন

অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া,জানেনা সন্তরণ, কাণ্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি -পণ! সকল ঈমানদার মুসলিম ভাইদের প্রতি আহ্বান করছি - প্রথম আলো বিষয়ক এই ঘটনা এখানেই ক্ষ্যান্ত দেয়া হোক। অপরাধিকে গ্রেফতার এবং বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা তাদের উপযুক্ত শাস্তি পাবেই। তাই সেটা নিয়ে আমরা আর বাড়াবাড়ি না করি। আবার ব্লগেও কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বলে যাচ্ছে-এটা ছিল একটা শিশুতোষ কৌতুক! আরে বেটা, শিশুতোষ কৌতুক কি এই একটাই ছিল দুনিয়াতে? ওরাকি জানেনা, এইসব বিষয় খুবই স্পর্শকাতর? কৌতুকটি শিশুতোষ হতে পারে কিন্তু, " মুহাম্মদ বিড়াল" (নাউজুবিল্লাহ, আল্লাহ এবং মুহাম্মদ সাল্লেল্লাহু আলাইহিসসালাম এর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী) এই রকম ঘৃণ্য শব্দ ব্যাবহার কোনমতেই শিশুতোষ হতে পারেনা।

অনেকেই তুবড়ি ছুটাচ্ছেন, এই রকম কৌতুকতো ছোটবেলায় অনেক বলেছি,শুনেছি। আপনারা বলে এবং শুনে থাকতে পারেন কিন্তু এটা ছিল একটা লিখা, আর মুখের কথার চাইতে হাতের লিখার একটা আবেদন সবসময়ই বেশি থাকে যা অনেকের মনেই গভীর দাগ কাটতে পারে- এতকিছু বোঝেন উনারা এটা বোঝেননি? এটা কোন ভুল নয় যে দুঃখ প্রকাশ করলাম আর সব শেষ হয়ে গেল, এটা একটা পাপ, আর প্রত্যেক পাপেরই একটা শস্তি হওয়া উচিত। তবে তা যেন সীমার মধ্যে থাকে। ড্যানিশ এক পত্রিকা একবার এরকম একটা ঘটনার জন্ম দিয়েছিল। সাত সমুদ্র তের নদীর পারের দেশ বাংলাদেশেও তা নিয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছিল।

ডেনমার্কের ঐ ঘটনাকি আমাদের ২৩ বছরের এই শিশু আরিফ শোনেনি কখনও? ডেনমার্কের পণ্য বর্জন করায় তাদের শেয়ার সূচক শূণ্যের কোঠায় নেমে যায়নি? তারাকি ক্ষমা চায়নি? আর এটাতো খোদ বাংলার মাটিতে বসেই এহেন জাহিলি কর্ম কাণ্ড!!! তাতে প্রতিবাদ করায় আমাদের কিছু ব্লগারের হৃদয়ে চরম চোট লেগেছে!!এইসব ব্লগারের জ্ঞান আসলেই শিশুতুল্য। চিরকাল এমন করেই কিছু ইসলাম বিরোধী বাপে তাড়ানো মায়ে খেদানো অকালকুষ্মান্ড জন্ম নেবেই। তারা যতই চিল্লাফাল্লা করুকনা কেন ইসলামের শক্তি কখনই দমে যাবেনা। ইসলামকে সুউচ্চে উঠানোতে এক অর্থে নিজের অজান্তেই কাজ করে যাচ্ছে এইসব উঁই পোকার দল! বলা বাহুল্য,উঁই পোকা জন্মান্ধ! "নাইন ইলেভেনের পর ম্যারিকাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহনকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে"- অষ্ট্রেলিয়ান চ্যানেল এস বি এসের ' কারেন্ট আ্যাফেয়ার' এ একজন ম্যারিকান সমালোচকের এই প্রমানিত সত্য কথার পর এ ব্যাপারে আর বিশেষ কিছু বলার অপেক্ষা রাখেনা। ইসলামের অবস্থান সব সময়েই সুউচ্চে।

শান্তির এই ধর্ম বিরোধীদের পাল কে উপরের দিকে তাকিয়ে থুথু ফেলতে দিন, উপরে থুথু ছুড়ে মারলে সেই থুথু নিজের গায়ের উপরেই পড়ে! আমরা আবারো যাব সকল নোংরা ধুয়ে ফেলার পানি হিসেবে আল্লাহর কালাম নিয়ে তাদের কাছে, মেনে নিলে নিল নইলে নিজের থুথুর সমুদ্রে তাদেরকে স্নান করতে দিন। কোন একজন আরিফের অনিচ্ছাকৃত বা ইচ্ছাকৃত ধৃষ্টামীতে ইসলামের পশম পর্যন্ত নড়ানো যাবেনা জানি। কিন্তু তবুও যেহেতু আমরা মানুষ এবং ধর্মের ব্যাপারে খুবই স্পর্শকাতর তাই এধরণের নষ্ট কর্ম আমাদের মেনে নিতে খুবই কষ্ট হবে জেনেও আমি বলছি,যেন কোন প্রকার বাড়াবাড়ি না করা হয়। আমরা যতবেশি এটা নিয়ে তাদের কথার জবাব দিতে যাব ততবেশিই তারা বিকৃত এইসব কথা বলে তৃপ্তি পাবে, তাদেরকে এই তৃপ্তিটা পেতে না দেই। আইন চলুক তার নিজস্ব গতিতে।

একেকজন গ্রেফতার আর বরখাস্তের প্রতিবাদ করতে করতে মুখ দিয়ে ফেনা তুলে ফেলছে, টপলিস্টে উঠার ধুম পড়ে যাচ্ছে। তাদেরকে ফেনা তুলতে দিন, টপে উঠতে দিন। নামের মাঝে 'রহমান' আর শেষে ' আহমেদ' লাগালেই মুসলিম হয়ে যায়না। এরকম ভাবে এরাও মুসলিমের বেশ ধারী সাক্ষাত শয়তান! শয়তানের সাথে তর্ক করে নিজের সময় নষ্ট করা বোকামি হবে। তারাতো এটাই চায়! তাই আসুন তাদেরকে তাদের মত পর্বতের পাদদেশে মাথা কুটে মরতে দেই।

কেননা, মাথ দিয়ে পর্বত ঠেললে কেবল নিজের মাথাই ক্ষয় হবে সর্বংসহা পর্বতের তাতে কিছুই আসবে যাবেনা। এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার, আজ পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের, কাণ্ডারী হুঁশিয়ার!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।