প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে চৌমুহনী তৌসিল অফিসে গিয়েছিলাম জমির খাজনাদিতে। সবার চেয়ে কম বয়সী তৌসিলদার তার পিত্র সমতূল্য সুলতান মিয়াকে ডেকে বললেন উনার জমির পরিমানটা হিসাব্ করে দিন , বৃদ্ব সুলতান মিয়া প্রায় ১ ঘন্টা রেকর্ড বুক দেখে আমার জমির পরিমান হিসাব করলেন, তারপর তা দিলেন কমবয়সী ঐ তৌসিলদারের কাছে। তৌসিলদার আমাকে বললেন আপনার ৯০০ টাকা খাজনা এসেছে আমি বললাম ঠিক আছে আমাকে রশিদ দিন, বললেন একটু অপেক্ষা করুন দেখি কিছু কম করা যায় কিনা? একটু পরে আমাকে ৫২৭ টাকার রশিদ দিলেন আমি যথারীতি ৫৫০ টাকা দিলাম ,এবার তিনি বললেন আমি আপনার এত টাকা কম করে দিয়েছি এই টাকাতে হবে না কম পক্ষে ৬০০ টাকা পুরিয়ে দিন, কি আর করা ৬০০ টাকাই দিলাম। টাকা দেওয়ার পর জিজ্ঞাসা করলাম আমাদের ভিপি কৃত সম্পত্তির খাজনা নিয়েছেন কিনা? ( ভিপি কৃত সম্পত্তির খাজনা সরকার নেয় না তার পরও কিছু কিছু কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে খাজনার রশিদ দিয়ে থাকেন) বললেন ভিপির খাজনা এখন নেওয়া যাবে না আপনি একসময় বিকালে সাড়ে চারটার পরে আসবেন তখন নিরিবিলি থাকবে, কেউ থাকবে না, তখন তা নেওয়া যাবে। আমার বুঝতে বাকী রইল না কেন ভিপি কৃত সম্পত্তির খাজনা আমাকে নিরিবিলিতে দিতে হবে? নিরিবিলিতে উনি আমার সাথে দরকষাকষি করতে পারবেন যা এখন মানুষের সামনে করতে পারছেন না।
আশ পাশের দোকান দারদের সাথে আলাপ করে জানা যায় অফিস টাইমের পরেও প্রায় রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত চলে এই অফিসের কাজ, কি কাজ হয় তখন তা পাঠক আশা রাখি বুঝতে পেরেছেন। পরে অবশ্য আমি আর যাই নাই।
এই হলো আমাদের সরকারের ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের কার্যকলাপ।
এই রকম চিত্র বাংলাদেশের প্রায় সরকারী অফিসের। কবে এইসব অফিসের কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালনে নীতিবান হবেন,এবং সাধারন জনগনের ভোগান্তি কম হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।