সালিমা বিচ থেকে ফেরার পথে আরো কিছু স্পট ঘুরে আসি। আসতে আসতে পথে পাথর দিয়ে বানানো কিছু সুন্দর জিনিস (সম্ভবত বৌদ্ধদের প্রার্থনা করার জিনিস) দেখলাম। খুবই সুন্দর লাগছিল দেখতে। এখানে কাঠ দিয়ে সুন্দর সুন্দর চেয়ার-টেবিলও বানানো ছিল। সেখানে আমরা কিছু ছবি তুললাম।
এরপর আমরা ব্রোঞ্জের তৈরী বিরাট একটা বৌদ্ধ মূর্তি দেখতে যাই। তার আশে পাশে আরো অনেক ছোট ছোট বৌদ্ধ মূর্তি আছে। সবগুলিই দেখতে খুব সুন্দর এবং আকর্ষনীয়। এখানে ছোট করে হলেও আরো অনেক জীবজন্তু দিয়ে সুন্দর একটা পার্ক তৈরী করা হয়েছে। এখানে আমরা অনেক ছবি তুললাম।
এত সুন্দর যে এখান থেকে আসতেই মন চাচ্ছিল না।
৩.০০ টার দিকে আমরা মার্কেটে যেয়ে কিছু কেনাকাটা করি এবং লাঞ্চ করে ৪.০০ টার দিকে কাউন্টারে ফিরে বাসের অপেক্ষায় থাকি। সারারাত সারাদিন না ঘুমানোর ফলে প্রচন্ড ক্লান্ত লাগছিল। ঘুম ঘুম ভাব আসলেও ঘুমানোর উপায় নেই দেখে সোফাতেই একটু জিরিয়ে নিই। এরপর ৬.০০ টায় বাস আসলে আমরা বাসে উঠি।
অবশেষে বাস ব্যাংককের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিল। দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর একটি যাত্রার জন্য আমরা প্রস্তুত হলাম।
হারজাই থেকে ব্যাংকক পর্যন্ত বেশীরভাগ সময়ই আধো ঘুম আধো জাগরণের মাঝে কাটিয়ে দিলাম। মাঝে বাস কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব রেষ্টুরেন্টে থেমেছিল খাওয়ার জন্য। এরপর আবার সেই একঘেয়ে ক্লান্তিকর যাত্রা।
সকালের দিকে সামান্য কিছু সময়ের জন্য রিফ্রেশের টাইম দিয়ে আবার যাত্রা করে। অবশেষে সকাল ৮.৩০ টার দিকে দীর্ঘ যাত্রার অবসান ঘটিয়ে আমরা ব্যাংকক এসে পৌছায়।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।