আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুর্নীতি ও গনতন্ত্র : থাইল্যান্ড

সহজ মানুষের মতন করে দেখতে চাই

সারা বছরই দুনিয়া জুড়ে থাইল্যান্ডের দুর্নীতি নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়ে থাকে। গত কিছুদিন থেকে থাকসিন এ আলোচনার মধ্যমণি হয়ে রয়েছে। দুর্নীতির দায়ে থাকসিন সরকারকে হঠিয়ে সামরিক সরকার ক’ বছর সেদেশকে শাসন করেছে। দুর্নীতি বিরোধী অনেক আইন করেছে, থাকসিনের দলের অনেক নেতাকে কে সাজা ও রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করেছে, তার দলকে ভেংগে থাকসিন বিরোধী নতুন দল করিয়েছে, তাকে সহ তার দলকে ব্যান্ড করেছে। এত কিছু শেষ করে নতুন সংসদ নির্বাচন দিয়েছিলো সরকার।

থাকসিন তখনো বাইরের বিভিন্ন দেশে ”মাইনাস” অবস্থায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছিলো। তার দলের যে কজনের বিরুদ্ধে রাজনীতি করতে কোন বাধা ছিলো না তারা কয়েক মাসের মধ্যে নতুন করে দল গড়ে নির্বাচনে অংশ নিলো। নির্বাচনী প্রচারে তারা কোন রাখ ঢাক না রেখেই ভোটারদের বললো ”তোমরা যদি থাকসিনকে ভালোবাসো তবে আমাদের ভোট দাও”। থাকসিন বিরোধী সব দল জোট বেধে নির্বাচন করলো দুর্নীতি ও থাকসিন মুক্ত থাই সমাজ গড়ার আহ্বান রেখে। নির্বাচনে থাকসিনের দলকেই জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসালো।

পরাজিত হবার পর থাকসিন বিরোধীরা (যার মূল শক্তি হোল শিক্ষিত জনগোষ্ঠি ও থাই সুশীল সমাজ) লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচী নিয়ে রাস্তায় নামলো আর এর সাথে আদালত প্রচলিত বিচার প্রক্রিয়ায় এক দুর্নীতির মামলায় থাকসিনকে অপরাধী সাব্যস্ত করে কারাদন্ডে দন্ডিত করলো। আপাতত: এ পর্যন্তই। সামনের ঘটনা কি দাঁড়ায় জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন যদি এ সরকারের পতন ঘটিয়ে আবার নির্বাচন হয় সেখানেও থাকসিনের দল জয়লাভ করবে। যতই ”দুর্নীতিবাজ” হিসাবে সে অভিযুক্ত হোক না কেন।

এই অক্টোবরে পুরো থাইল্যান্ড জুড়ে চালানো এক জরিপে দেখা গেলো - জনগণের ৬৩% মনে করে যদি কোন সরকার দেশের ও দেশের মানুষের উন্নতী সাধন করতে পারে তবে তার দুর্নীতিকেও তারা মেনে নিতে পারে। এর অনেক কিছুইকি আমাদের দেশের সাথে মিলে যায় না?


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.