আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাওলা ইয়া সাল্লি ওয়াসাল্লিম



সমগ্র সৃষ্টিজগতের সর্বপ্রথম সৃষ্টি প্রিয় হাবীবের সত্বা, আর তাঁর সম্মানেই সাজানো হয়েছে সাত আসমান আর জমীনকে। তাঁকে সম্মানিত করার জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে নভোমন্ডল, ভূমন্ডল, প্রানীকূল আর মানবজাতি। পৃথিবীতে প্রথম মানব তাঁর ভূলের ক্ষমা পেয়েছিলেন এই হাবীবের সম্মানে আর শেষ মানব পর্যন্ত প্রত্যেকেই তার জীবদ্দশায় অসংখ্যবার করুণাধারায় স্নাত হবে তাঁর উসিলায়। আরবের নিরক্ষর মরু রাখাল যাঁর সমসাময়িকগণের কাছে পরিচিত ছিলেন আল আমীন নামে, তিনিই হলেন সাইয়েদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়িন, ইমামুল হারামাইন। সবুজ গম্বুজের ছায়ায় বিশ্রামরত এই সত্বা তাঁর মাওলার নিকট এতটাই সম্মানিত, তিনি সমগ্র উম্মতের মুক্তি আর সফলতা রেখেছেন সুন্নতের পূর্ণ অনুসরণের ওপর।

আর জীবনের বরকত হাবীবের ওপর দরুদ ও সালাম পাঠে। দরুদ এমনই এক আমল যার গ্রহণযোগ্যতার জন্য কোন শর্ত নেই। যেকোন অবস্থায় যে কেউ যেকোন ভাবে প্রিয় হাবীবের ওপর সালাম পাঠালে তা কবুল। সোনার মদীনায়, রাওজার সামনে শুনালে তিনি নিজে শুনেন আর দূর থেকে পড়লে মালাইকাগণ তা পৌঁছে দেন। যে কেউ একবার সালাম পাঠ করবে, তার বিনিময়ে দশটি নেকীর প্রতিদান পাবে, তার দশটি পাপমোচন হবে আর তার জন্য দশটি সম্মান বৃদ্ধি করা হবে।

অসংখ্য হৃদয়স্পর্শী আর দিল জুড়ানো দরুদের মধ্যে বিখ্যাত একটি হল শারফুদ্দীন আল বুসিরীর কাসিদাই বুরদা বা রুমালের কাব্য। এর পেছনের ঘটনা অত্যান্ত চমৎকার ও আশ্চর্যজনক। শারফুদ্দীন বুসিরী ছিলেন বিখ্যাত সভাকবি ধরণের কেউ যার মূল দক্ষতা ছিল বাদশায় আর সম্রাটদের দরবারে তাদের প্রশংসামূলক স্তুতি দ্বারা তাদের মনঃতুষ্ট করা। কোন এক সময় পক্ষাঘাতের কারনের তার জীবন সংশয় দেখা দেয় ও তখনকার প্রচলিত চিকিৎসায় তার রোগমুক্তি অসম্ভব হয়ে পড়ে। প্রচলিত চিকিৎসায় বিফল হয়ে তিনি অলৌকিক সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন।

তাই নিজের মুক্তির উসিলা হিসেবে মানবশ্রেষ্ঠর স্তুতিমূলক এক সুদীর্ঘ গাথা রচনা করেন। দশটি অধ্যায়ে বিভক্ত একশ ষাটটি পংক্তির এই ছন্দোবদ্ধ গাথাটি অসম্ভব নবীপ্রেমের নিদর্শন। রচনা শেষে নিজের অসহায়ত্বের জন্য সুদীর্ঘ প্রার্থনার পরে নিদ্রার কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। স্বপ্নযোগে মদীনার নূরের সাথে তার দেখা হয়ে যায়। নিজের রচিত প্রশংসাগাথাটি নিবেদন করেন মানবশ্রেষ্ঠর নিকট।

অতঃপর নিজের অসুস্থতার বিষয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন। মহামানবের পবিত্র হাতের স্পর্শে তাৎক্ষণিত সুস্থতা ফিরে আসে, আর স্বপ্নে দেখতে পান নবীর পবিত্র রুমাল প্রাপ্তি। ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজেকে সম্পুর্ণ সুস্থ পান শারফুদ্দীন বুসিরী আর নিজের শরীরে জড়ানো দেখতে পান স্বপ্নের সেই রুমাল। সেই থেকে ছন্দোবদ্ধ সুমধুর এই প্রশস্তিগাথাটি আজ পর্যন্ত নবীপ্রেমিকদের হৃদয় জুড়িয়ে আসছে। সম্পুর্ণটির পঠন পাওয়া যাবে এখানে (রিয়েল প্লেয়ার লাগবে) উইকিতে কিছু তথ্য আহমেদ বুখাতির এর পঠন।

(কিছুটা টেকনো ইফেক্ট ব্যাবহার করা হলেও একদম মন্দ না)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.