জীবনে সুখের মূল কথা হল - এই পৃথিবীর কেউ বা কোন কিছুই তোমার জন্য নয়।
এক ঝটিকা সফর শেষ করলেন ইন্টেলের চেয়ারম্যান। অনেক আশা করেছিলাম এবার হয়ত এদেশের কিছু হবে। এ নিয়ে এই ব্লগে একটি লেখাও লিখেছিলাম।
প্রথমে ধারনা করা হয়েছিল সম্ভাবনা থাকলে ভাল ধরনের বিনিয়োগ হবে।
পরে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু এখন তাও নেই।
সরকারী প্রচারযন্ত্রগুলো "ওয়ার্ক এহেড" প্রোগ্রামকে সফলতা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। আসল কথা হল - আগামী ২ বছর তো বটেই, ভবিষ্যতেও সম্ভাবনা খুব একটা আছে বলে মনে হল না।
কেনই বা থাকবে? সরকার এই সফরকে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেয়নি।
মিডিয়াতেও আসেনি এই ব্যাপার এত গুরুত্ব দিয়ে। এই দেশে এত ভাল ভাল তথ্য প্রযুক্তিবিদ রয়েছে, তাদেরকে কেন ডাকা হল না? ড: জাফর ইকবাল, জাকারিয়া স্বপন, ড: কায়কোবাদ। এদেশের অনেকের সাফল্য আছে, যা প্রচার পায়নি।
আসলে তথ্য প্রযুক্তিকে Thrust sector বললেও এই নিয়ে কোন নীতিমালা নেই। কিছুদিন আগে তথ্য প্রযুক্তির একটি বিশ্ব সম্মেলন এ সরকার তার প্রতিনিধি পাঠায়নি,যার ফলে আগামীবার যে সম্মেলন এই দেশে হওয়ার কথা ছিল, তা এখন চায়না তে হবে।
সরকারী প্রতিনিধির সব খরচ দেয়ার জন্য ইউএনডিপি টাকা নিয়ে তৈরি ছিল, কিন্তু বর্তমান সরকার যোগাযোগ করেনি।
যদি ইন্টেলের চেয়ারম্যানের সফরটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তথ্য প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে কমিটি করে দেয়া হত, তাহলে হয়ত কিছু একটা হত। কারন, তারা অন্তত জানেন কি বলতে হবে, কোনটা দেখাতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার কথা শুনে হাসি পেল। তিনি কি মনে করেছিলেন যে, ইন্টেলের চেয়ারম্যান তার কথা অনুযায়ী এদেশে বিনিয়োগ করবেন।
আমরা মনে হয় খুব বেশি ধনী হয়ে গেছি যে ইন্টেলের চেয়ারম্যানের সফরকে গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন মনে করিনি।
যারা এ নিয়ে আমার আগের লেখাটি পড়েন নি, তাদের জন্য এর লিংক দিলাম :[wjsK=http://www.somewhereinblog.net/blog/jubokblog/28727757]
সম্ভাবনা ছিল ভিয়েতনামের মত আইটি সেক্টরে একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে ওঠার। নিজেদের কারনেই সুযোগ হারালাম, এমন সুযোগ যা একবার-ই আসে।
তাই মনটা প্রচন্ড খারাপ। প্রচন্ড...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।