যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
ফারুকী এখন খুব জনপ্রিয় একজন মেকার । তার জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ বোধহয় সবকিছুর সহজবোধ্য উপস্থাপন । আমার কাছে তিনি ফিল্মমেকার নন বরং ছোটপর্দার তুখোর নির্মাতা ।
সেটা ভিন্ন প্রসংগ । তবে ফারুকী বা তার ভাই-ব্রাদারদের তৈরী বিজ্ঞাপন গুলো সবসময় বেশ সফল । তবে সবচেয়ে সময়োপযোগী বিজ্ঞাপনটি আমার মনে হয়েছে একটেল এর ফান্ড লোড এর বিজ্ঞাপনচিত্রটি । যারা এখনও বিজ্ঞাপনটি দেখেননি তাদের জন্য সারসংক্ষেপ : অফিসের একজন বেয়ারাকে একটেল ফান লোড এর জন্য দোকানে পাঠান । সেটা দেখে আরেকজন সহকর্মী বলেন আপনি যে ইউনুসকে পাঠাচ্ছেন ওকি পারবে ? ও যা বোকা !! তখন ভদ্রলোক ইউনুসকে ঢেকে পাঠান , তারপর প্রশ্ন করেন বলতো তোর হাতে আঙ্গুল কয়টা ?? বেচারা বার দুইতিনেক গননা করে অনেক কষ্টে শিওর হয় যে পাচঁটা ।
তেমনি আরেকবার প্রশ্ন করেন ডান হাত কোনটা ?? তখন বেচারা অনেক দ্বিধান্বিত হয়ে শেষ পর্যন্ত লিখে শিওর হয় তার ডানহত কোনটি ??
কি আজিব !!
তারচেয়েও আজিব আমাদের দেশ । দিনেরাতে আমরা সাম্রাজবাদ বিরোধী শ্লোগান দেই আর শয়নে স্বপনে পাশ্চাত্য !! দেশটা বিশ্বব্যাংকের প্রিসক্রিপশনে রসাতলে গেল হুংকার দিয়ে আবার তাদের অনুগত , তাদের প্রভুত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ পাওয়া নোবেল বিজয়ী বলি স্বাগতম !!!
অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পর্দা কাপিয়ে তিনি একেবারে নোবেল হাতে এসে হাজির হলেন । আর ভাবলেন তিনি বোধহয় প্রভুদের যেভাবে জয় করেছেন তেমনি সব জয় করে ফেলবেন । কিন্তু যতোখানি পর্দা কাপিয়ে তার হাজির হ্ওয়া তেমনি নিরবেই সটকে পরা । আমরা ভেবেছিলাম তার বোধহয় বোধদয় হয়েছে ।
না তিনি আবার হাজিরা দিলেন । বর্তমান সরকারের কার্যকলাপের প্রস্বস্তি গাইতে তিনি হাজির । আর মাত্র ১৫ মাস সময় দিলেই নাকি চমকের আর অন্ত থাকবে না । সবাই সেই রূপকথার গল্পের দেশ পেয়ে যাবে । তার আকার প্রকার কি ? সেখানে কি শুধু মানুষ হওয়া খেয়ে বাচেঁ ?? হাতে হাতে হাত তালি দিলেই কি সব হাজির হবে ?? না আমরা তা জানি না ।
তবে হবে । কি হবে ??? কিছু একটা তো হবে ।
তবে আমরা কি সবাই ঋণগ্রহিতা হয়ে যাব ?? দেশের অর্থ টেলি নর এর মতো আর কোন মাল্টি-ন্যাশনাল গ্রুপের মধ্যদিয়ে বাহিরে পাঠাব ??
কিন্তু আমরা তো আর পারি না । সাত মাসেই আমরা কাহিল । আমরা কিছু বলতে পারিনা ।
জেলের ভয় , জুলুমের ভয়ে আমরা ভীত । সংস্কার আর দুর্নীতি মুক্তির জোয়ারে আমরা বঙ্গোপসাগরে ভেসে যাচ্ছি । এতো ভালো ভালো আমরা তো চাই নি । আমরা সুখ চাইনা , চাই শুধু স্বস্তি ।
ফারুকীর কেবলা ইউনুসের মতোন আমরা আর কোন ইউনুসকে বারবার হাতের আঙ্গুল গুনতে দিতে চাই না ।
আমরা মাত্র ১৫ মাসেই সব শুধরাতে চাইনা । ভয় দেখিয়ে জোর খাটিয়ে তো কোন ভাল কিছু কার সম্ভব নয় । আমরা স্বস্তফূর্ত ভাবে সব সংস্কার করব , দেশের , দশের । ইউনুসের ইজি লোড নয় প্রয়োজনে কষ্টসাধ্য-দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার জনগন করবে । অন্যদের করিয়ে দেয়ার দরকার কি ??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।