তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
ইন্টার্ন থেকে শুরু করে প্রায় দুই বছর একই রুমে একই বসের সাথে। বস বলতে শুধুই ইন্টার্নশীপের বস ছিলো। বাকী সময়টাতে অন্য বসের আন্ডারে কিন্তু একই রুমে।
অনেক অনেক স্মৃতি এই রুমে।
কোম্পানিতে আমার পজিশন বেড়েছে সাথে আমার বসেরও। তাই এখন দু'জনকে দুই রুমে যেতে হচ্ছে। কোন কোন দিন অফিসের কাজ রেখে ২/৩ ঘন্টা আড্ডা চলতো। আড্ডাটা বেশির ভাগ সময়ে পরিবার,ধর্ম,রাজনীতি, কালচার থেকে শুরু করে যতোটুকু যাওয়া যায়। বস হলেও আমরা সময় সময় একে অপরকে গালগালি করতাম।
কঠিন কঠিন সব গালপালি। এগুলো ম্যানেজার শুনলে খবর ছিল।
অফিস অথবা ব্যক্তিগত কোন সমস্যা হলে শুধু বল্লেই হতো। কোথায় উকিল, ডাক্তার ফোন করে সমস্যা সমাধান।
এয়াপোর্টের পাশেই আমাদের অফিস।
রুমের একপাশ শুধু কাচ দিয়ে ঢাকা। জানালার পর্দা সরালেই দেখা যেতো প্লেনগুলো উড়ে যেতে। এখন বিল্ডিংয়ের অন্যপাশে ১৭ তলায় আমার অবস্হান। ওখান থেকে প্লেনগুলোকে নামতে দেখা যায়। প্লেনের চিহ্ন দেখে বুঝা যায় কোন দেশে প্লেন ল্যান্ড করছে।
এয়ারপোর্টটাও পৃথিবীর ব্যস্ততম।
আমি ও আমার বস দু'জন খুবই অগোছালো। আমার টেবিলের অবস্হা দেখে বস ছবি তুলে রেখেছে। সত্যি বলতে কি, আমার কিছু করার নেই। এতো ডিভাইস টেষ্ট করতে হয় বিভিন্ন সময়ে যে টেবিলটাকে গোছানোর সময় পাওয়া যায় না।
তারপরও এখন অনেক গোছানো। মাঝে মাঝে তো টেবিলে কফির কাপ ৫/৬ টা জমে যায়।
এখন বড়ো রুমে যাচ্ছি। যদিও দু'মাস একজনের সাথে শেয়ার করতে হবে। তারপর আমি একা ঐ রুমে।
তবে আগের মতো আর আড্ডা হবে না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।