মিডিয়া
টুইন টাওয়ার ধ্বংস হবার কয়েকদিন পরের ঘটনা। আমেরিকার ভিসা মোটামুটি বন্ধই বলা চলে। আমি তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। লাইব্রেরির নিচে বসে আমি ,সোহরাব, রাজু তিনজনে মিলে সিরিয়াস মিটিং এ বসেছি।
দোস্ত লাইফ নিয়ে কে কি ভাবছিস?
সোহরাব বললো, 'দোস্ত আমেরিকা, আমি প্লেনের চাক্কার সাথে বাইন্ধা হইলেও আমেরিকা যামু।
'
আমি বলেছিলাম তুই পারবি। তোর অনেক সাহস। রাজুর টার্গেট আই বিএরএমবিএ। চান্স না পেলে সরাসরি নর্থসাউথে।
আমি বললাম আমেরিকার ভিসা দোস্ত আমারে দিবনা।
লাল সিল খাওয়ার চেয়ে ইউরোপে ট্রাই করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন গুলোতে হাসতে হাসেত যে গল্প হয়েছিল আজ তা বাস্তব।
এখন ছেলে মেয়েরা কি ভাবে জানিনা। হয়তো ইউরোপের লাড্ডু খাবার প্রহর গুনছে কেউ কেউ?
তবে অনেকেই যে বিলেতে আসতে চায় তা বুঝি বন্ধুদের মেইল পেয়ে। আমার এক ব্যংকার ভাই বেতন পায় ৫০ হাজার।
বলি তোমার বিলেতে আসার দরকার নাই, তবুও তার মাথায় পোকা.....
সে আসবেই । আমি বলি, আমি তোআমার কাজ শেষ হলেই ফিরবো, তবুও মানতে না রাজ...
চলতি মাসের প্রথম দিকে হলিডে মেকার্স ভিসা নিয়ে প্রথম আলোতে একটা রিপোর্ট লিখেছিলাম। বৃটিশ সরকার পুনরায় হলিডে মেকার্স স্কিম চালু করেছে। ভালো কথা , তবে সবাই এই ভিসার জন্য হামলে পড়া মনে হয় ঠিক হবে না।
এই ভিসা দুই বছরের জন্য দেয়া হলেও এই ভিসার আওতায় ভিসা নবায়ন সম্ভব নয়।
পুনরায় দেশে ফেরত যেতে হবে। তাই স্টুডেন্টদের জন্য এই স্কিম ভালো হবেনা।
স্টুডেন্ট ভিসা রিনিউ করা গেলেও হলিডে মেকার্স স্কিমে এই সুযোগ নেই।
তাই স্টুডেন্টরা সাবধান !!!
খুব জলদি এই বিষয়ে আমি লিখবো। চলতি সপ্তাহে একটু বিজি তাই লিখার সুযোগ হচ্ছেনা।
তবে স্টুডেন্টরা সিদ্ধান্ত নেবার আগে বুঝে শুনে নিয়ম কানুন ভালো মতো জেনে সিদ্ধান্ত নেবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।