আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নীতিহীন রাজ্যে, দুর্নীতি তাড়াতে, খাটছে কতজন, না জানে কত ভাড়াতে! আপন পকেটে সাঁটাতে!

"বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না। "শিহরণে সত্তায় তুমি, হে আমার জন্মভূমি"

শিক্ষক বলেছিলেন আমাদের দেশে দুর্নীতির মধ্যে যে নীতি থাকে সেটাও নেই। আমরা সবাই ছাত্রসুলভ বিস্ময়ে সে জিনিসটা জানতে চেয়েছিলাম। উত্তর ছিলো -দুর্নীতির একটা অংশ মনে করো ঘুষ খাওয়া। অর্থাত টাকার বিনিময়ে একজন তোমার কাজা করে দেবে।

এখন পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে ব্যাপারটা এমন যে তোমার কাছ থেকে ঘুষও খাবে আবার কাজটাও করে দেবে না। সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা একধরনের ইউটোপিয়া ছাড়া আর কিছু নয়। তাহলে কি আমরা ভালোর পথে হাঁটার চেষ্টা একেবারেই বাদ দিয়ে দেব? হাঁটা বাদ দেব না কিন্তু প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হতে হবে হাঁটার। একদিকে মুখে ফেনা আইন সবার জন্যে সমান আরেকদিকে আইনকে কেটে ছিঁড়ে এমন একটা রূপ নিজের সুবিধামতো দিলাম যে আইনের নিজের অবস্থাই বানরের পিঠা ভাগের মতো তাহলে তো সব সেলফ কন্ট্রাডিকটরি হতে বাধ্য। আমার বিল্লি আমারে কয় মিঁয়াও... আমি ট্যাক্স দেই, ভ্যাট দেই, আমার কাছ থেকে রাজস্ব আয় সরকারের।

সেই টাকায় ’জলপাই’ বাগান এর গাছদের খাওয়া পোশাক সব। সেই জলপাই আমার খেয়ে আমার সন্তানকে বিষ প্রয়োগে হত্যার ব্যবস্থা করবে তা আমরা ’জরুরী’ অবস্থার দোহাই দিয়ে সয়ে যাব। যদি বলি সবকিছুর পেছনে মার্শাল চিপস সেটের সূক্ষ্ম খেলা চলছে? বেশি চাপাচাপিতে ব্রেইন অন নি এর হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করতে পারে, তখন আলু ও যাবে চিপস ও আর তৈরী হবে না। পূর্ববর্তী কোন সাফারি কোটের মতো গান পাউডারে পুড়ে যাবার সম্ভাবনা থেকেই যাবে। নিজের সীমানায় গিয়ে মিঁয়াও করো আমার বাচ্চার গায়ে নোংরা হাত দিও না ভুলেও।

ব্যাংকারদের সাথে থিংক ট্যাঙ্কার 'উ' সাহেব বলেছেন ব্যাংকাররা ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছেন। আহা, উহ্ উহ্ কি জ্ঞান! ব্যাংকাররা নিজের পায়ে আটমণি কুড়াল মারার জন্যে মুখিয়ে আছে। সহজ হিসাব দেই একটা - জীবনে আমি কিছু ধরেন আমদানী করিনি। এখন 'উ' এর উতসাহে চাল আমদানী করব। লাইসেন্সও করলাম।

এলসি খুলবো ধরেন একলাখ ডলারের। এখানে ব্যাংকে আমাকে কিছু মার্জিন দিতে হবে। এই সর্বনিম্ন দশ পার্সেন্ট। তাহলে দশ হাজার ডলার। মার্জিন দিলাম।

আমার টাকার উতস কি? খুলবেন এলসি, আনবেন চাল, হবেন ব্যবসায়ী? কোন মধ্যম মানের ব্যবসায়ী নিজের তহবিল থেকে একবারে দশহাজার ডলার সাদা দেবার ক্ষমতা রাখে? ব্যাংকার এক্ষেত্রে কিভাবে আমাকে সাহায্য করবে? বলবেন পথ! জানার আগ্রহ রইলো। কোন ক্ষমতা বলে এবং কোন প্রশাসনিক পদাধিকার বলে 'উ' ব্যাংকারদের সাথে বৈঠক করেন সেটা এই অধমের জানার বড় খায়েস। যেহেতু 'উ' একটি স্বরবর্ণ এবং এই 'উ' নিজের ঘোষণামতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অধিগ্রহণ করেনি, সেই খায়েশও না কি নেই। তাহলে কেন তার মত বিনিময়? ফখরু কি কোথাও মুরগি শিকারে গিয়েছে যে 'উ' তার প্রক্সি সার্ভার হিসেবে কাজ করবে? কোন অধ্যাদেশের অধীনে একটি স্বাধীন দেশের 'জলপাই' প্রধান ‌'ক্রীড়া পরিষদের' প্রধান হন! এখানে কোন আইন, কোন সংবিধান কাজ করে? আমি জানি না। অজ্ঞতার আঁধার দূর করবার আহ্বান থাকলো কেউ এ সম্পর্কে জেনে থাকলে।

'অলিভ' বলেছেন খাদ্যদ্রব্যের আমদানীর ক্ষেত্রে সুদের হার হ্রাস করে দিলে সেই দ্রব্যের মূল্য হ্রাস পাবে, মানুষ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির হাত থেকে রক্ষা পাবে। হাহ্, হাহ্ - ব্যবসায়ীদের মুনাফার হার বাড়বে, এর ভিন্ন কিছু হবে না। বাজি ধরেন এই নাদানের সাথে। বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা... বিচারপতি আব্দুর রউফ মধুর এক বাণী দিয়েছেন -৭২এর সংবিধান করার সময় ইন্দিরা গান্ধী শেখ মুজিবের কানে কানে ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাপারটি বলেন এবং সংবিধানে যুক্ত করান। ধন্য শেখ মুজিবের কান।

আমরা ধন্য রউফের প্রকৃত পরিচয় জানতে পেরে। বিচারপতি লতিফুর রহমান পালিয়ে গেছেন নিজের বিচারের ভয়ে, রউফ কি এ বয়সে দাঁড়ি হারাতে চান মনে করেন ধর্মনিরপক্ষেতার সমর্থক, বাংলাদেশপ্রেমী কোন বাংলাদেশী বাঙ্গালীর কাছে? বিচারপতিদের বিচার হয় ভুলে গেলে মস্ত ভুল করা হবে। ধ্বংসের এ মাতম... কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক দুর্নীতি করেছেন সেজন্য কি সেই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিতে হবে? পারটেক্স গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, হামীম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ ইত্যাদি ইত্যাদি বুঝলাম মালিকরা অবধৈ ওয়েতে বাণিজ্য করেছে। তাদের ধরেছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটাকে কি বাঁচানো যায় না? প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই ,অনেক দক্ষ চালক আছে তাদের কে দিয়ে দেন, মনিটরিং করেন, দরকার হলে সরকার থেকে এক বা দুজনকে সেই নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে এসাইন করে দিন।

একটা প্রতিষ্ঠানে ১৪০০০ লোক কাজ করা মানে, ১৪০০০ ফ্যামিলি, এক ফ্যামিলিতে ৫জন সদস্য থাকলে ৭০,০০০ লোকের জীবন জীবিকা, যাদের ,'অলিভ' উর্দি দেখে পেটের ক্ষুধা নিবৃত হবে না। ধুঁকছে প্রাণ... গতবছর ব্যাংকিং খাতে প্রবৃব্ধির হার ছিলো ১৮%, এবছর প্রথম ছ'মাসে প্রবৃদ্ধির হার ২.৫%। গত আটমাসে একটাকার নতুন ঋণ দিতে পারেনি এমন ব্যাংকের শাখা আছে। মানুষ ফিক্সড সঞ্চয় ভেঙ্গে ফেলছে। ৩৩০ এমপি মিনিস্টারের ব্যাংক একাউন্টের হিসাব দিতে দিতে ব্যাংকারদের দৈনন্দিন কাজ শিকেয় উঠেছে আর 'উ' বলছেন ব্যাংকাররা হয়রানি করছে।

তাদের তারেক আব্বারা কি করেছে তারা জানে না? ব্যাংকারদের সাথে চোটপাট এ তথ্য রাখা হয়নি কেন, সেটা করা হয়নি কেন...তারা যে কারণে তারেকদের দুর্নীতির লাগাম টানতে পারেনি সে কারণে ব্যাংকাররা ঐ এমপি মিনিস্টারদের তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। গার্মেন্টস সেক্টরে অনেক কারখানায় সেপ্টেম্বরে কোন অর্ডার নেই। এমন ও কারখানা আছে যারা অর্ডার যেহেতু নেই, ইউটিলিটি খরচ কমাতে সপ্তাহে ৪-৫দিন কারখানা বন্ধ রাখছে। দেশের সামগ্রিক অবস্থা এই। সেখানে কাকে গ্রেফতার কিসের কি তাতে আমাদের এই ক্ষীণপ্রাণদের আসলে কিছুই যায় আসে না।

আমি জানি কালকে আমাকে ৯০টাকার উপরে লিটার দরে সয়াবিন কিনতে হবে। ৩৫টাকা কেজি দরে আমি যে চাল খাই তা সামর্থ্য থাকলে কিনতে হবে। এবং আমি জানি যদি টাকা থাকেও আমি বাজারে কোন তরকারী নাও পেতে পারি। কারণ বন্যায় সব তলিয়ে গেছে। সেভাবে সাপ্লাই নেই।

সুদিনের স্বপ্ন দেখার শক্তি নেই। পেটে ভাতে বাঁচবো সেই দুয়ারও খোলা নেই। যে অবস্থা তাতে 'জলপাই' এর মাংসও মানুষ খেয়ে ফেলতে পারে। ছোট্ট একটা নমুনা দেখিয়েছে ঢাকা ভার্সিটির অপুষ্টিতে ভোগা ছেলেমেয়েগুলো। আমরা আমজনতা ভাতে টান পড়লে 'জলপাই' খেতে লবণ নিয়ে ঢাকা ভার্সিটিতে যোগদানও করতে পারি।

সেই সম্ভাবনার দ্বার কি নিজেদের শাসনতান্ত্রিক ব্যর্থতায় কেউ খুলে দিতে চান?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.