আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আকাশ এত মেঘলা, হাতি নাচে একলা, এখনি আসবে বাঘমামা! কিন্তু বাঘ মামা কেন নেংটা?-লেডিস সেন্ট'স পাজল!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

মল্লিক সাহেবের মেজাজটা বিলা হইয়া কৈলাসে চইড়া রইছে, মাগার কোনো দিক-বিদিক পাওয়া যাইতাছে না। হঠাত মাথায় বুদ্ধি নাযিল হইলো, ডাক পড়লো সকল কাজের কাজী এলাকার ডায়মন্ড বয়, পুইট্টা মিয়া ওরফে পিন্টু। তাহাকে পাইয়া মনের কথা উগলাইয়া মল্লিক মিয়া বয়ান মারিল অনেকটা এরকম,"পুইট্টা থুক্কু পিন্টু, আমার পেয়ারের ডলারের খতনা করাইবার চাই, মাগার কারে কি দায়িত্ব দিয়া কি অকাম ঘটানোর সুযোগ দিয়া কোন ফ্যাসাদে পড়ি বুঝবার পাইতাছি না। " -চাচাজান, চিন্তা নিয়েন না, আমিতো আছি।

ডলারের খতনার দায়িত্ব আমার! মল্লিক মিয়া শান্তির নিশ্বাস বুলেটের গতিতে ছাইড়া দিলেন। মল্লিক মিয়া বেশ দুর্বল চিত্তের। এদিকে খতনার জন্য হুজুর থিকা শুরু কইরা হাজাম পর্যন্ত ঠিক করা হইলো। হাজাম ঠিক করা হইলো এ কারনে আদরের দুলাল ডলারের দাদা বিশ্বাস করে হাজাম দিয়া খতনা করলে নাকি বিশেষ ছোয়াব হয় আর উনি এই খতনার ছোয়াব থিকে বন্ঞ্চিত হইবার চাননা। যথাসময়ে খতনার আয়োজন শুরু হইলো।

আমরা দল বাইন্ধা ডলারের কান্দন-কুদন দেখতে গেলাম। দেখি ডলার একটা মোড়ায় গুটিসুটি মাইরা বইসা আর সামনে নিজ কর্মরত মতি হাজাম, আর ডলারের সাথে অভয়দানকারী পুইট্টা মিয়া। অদূরে দাদা বসে আর পাশে দাড়িয়ে চিন্তিত বাবা। যখন খতনা শুরু হবে সবাই উত্তেজনায় চুপচাপ, ডলার কাপছে, ওর বাবা চোখ বন্ধ করে। এমন সময় পুইট্টা মিয়া সাহস দিতে গিয়ে বয়ান মারলো,"মতি ভাই, আমারটার সময় উল্টাপাল্টা কইরা হাসপাতালে ৭ দিনের লিগা পাঠাইছিলেন, সেইদিনের যন্ত্রনার কথা এখনও ভুলিতে পারি নাই।

ডলারের ক্ষেত্রে সেই ভুল জানি না হয়! ডলার ডরাইয়ো না, আমিতো আছি, কিছু হইলে হাসপাতাল তো কাছেই। " এই ডায়লগ শুইনা মতি হাজাম বইলা উঠলো," ধুর মিয়া, এই ঘটনা এখনও মনে রাখছো, কওনের আর জায়গা পাইলা না!" ডলার ততক্ষনে অজ্ঞান, বাবা শুনে বুকে হাত দিয়ে ওখানেই বইসা পড়লো, আর ওর দাদা হাতের কাছে থাকা একটা লাঠি নিয়া পুইট্টার পশ্দাদ্দেশে গুতা মেরে বললেন," ফুট্ আকাইম্মা!" যাই হোক, অজ্ঞান ছেলের খতনা করা যায় না বলে ডেট আর হাজাম দুইটাই রিশিডিউল করা হইলো কিন্তু ডলারকে পরে হাসপাতালেই যেতে হয়েছিলো। (ক্লোজআপহাসি) আমাদের এলাকায় এক জগতবিখ্যাত ইন মিরপুর-বদমাইশ পুলা আছে নাম মোবারেছ। আমার কোনো এক পোষ্টে ওর একটা বদগিরির উদাহরন দিয়েছিলাম। প্রবাদ আছে, ও নাকি সর্বদাই ওর মাথা নামক শয়তানের ল্যাবরোটরিতে চিন্তা করে কি কইরা নতুন রকমের শয়তানি করা যায়, এবং ওর মাথাটা এক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।

তো মোবারেস ওর এক বন্ধু (আনফর্চুনেটলি ঐ বন্ধুটি আমার মামতো)কে নিয়ে স্টেডিয়ামের সামনে থিকা হানিফ বাসে উঠলো। ওদের পাশের সিটে একটা সুন্দরী মেয়ে বসে বেশ রাফচিক টাইপ গেটাপ নিয়ে। তা মোবারেস যৌবনের ঢেউ উতলা হইয়া শখ উঠলো কথা বলার, কিন্তু কি দিয়ে শুরু করবে সেইটা মাথায় এন্ট্রি মারতাছিলো না। হঠাত কেলায়িত বদনে বইলা ফেললো," আপা, আপনের স্যান্ডেলটা বেশ সুন্দর!" মেয়েটা শুনে একটু ন্যাকামো ভঙ্গীতে বইলা উঠলো ," তাহলে স্যান্ডেলটা খুলে লাগাই আপনাকে?" তখন আবার মোবারেসের পাশেরটা বললো,"আপা, আপনার ড্রেসটাতো খুব সুন্দর!" মেয়েটার পাশে বসা বুড়া ইঙ্গিত ধরতে পাইরা ফিক করে হাইসা উঠলো! নিউ জেনারেশন- পুরা পাংখা! __________________________________ আমার লেখা, "আজাইরা বইসা গজাইরা গীত: গাইবেন উস্তাদ গুজরান খা!" পোষ্টে আমি এক বন্ধুর কথা লিখেছেন যে অলটাইম আধ্যাত্নিক ভাবে থাকে। এককালে আমরা ওকে বলতাম ওবড় হয়ে ছোটখাতো পীর হবে যার নাম হবে মোবিল বাবা (কারন ও ম্যাকানিক্যালের ছাত্র)।

যাই হোক ভাবুক লোক নাম নিয়ে ভাবে না, ভাবে কাজ নিয়ে। একদিন ক্লাস চলছিলো এবং ও বরাবরই মেয়েদের পিছনে বসে ( আমি একবার জিজ্ঞাসা করছিলাম "দুস্ত ক্লাসে এত জায়াগা থাকতে মাইয়াগো পিছনে বইসা কি দেখো?" ও কিছু বলার আগে আমার এক বন্ধু বলছিলো, " কোন মাইয়া কোন সেন্ট মারে তার লিস্টি বানাইতে!" তারপর থেকে টানা ১বছর ২মাস ৩দিন ২ ঘন্টা ১০মিনিট পর কথা বলেছিলো, তাও আবার আমি টয়লেটে ছিলাম আর ও বাইরে থাকায় সহ্য করতে না পাইরা তাড়াতাড়ি বাহির হওনের আর্জি জানাইছিলো)। তো ক্লাসে পড়ানোর সময় হঠাত স্যার লক্ষ্য করলেন, ও উদাস মনে মাইয়াগো পিঠের দিকে তাকাইয়া আছে। স্যার হঠাত ডেকে বললেন, "কি করছো?" ও বললো" স্যার আপনার লেকচার শুনছিলাম। " -তাহলে বলতো এনট্রপি কি? ও আমতা আমতা করতে লাগলো।

স্যার বললেন, " বেরিয়ে যাও। " ততক্ষনে গল্প খানা ক্যাম্পাসে দক্ষিণা হাওয়ার আগে ছড়িয়ে পড়লো আর আমরা যখন চায়ের কাপে ক্যান্টিনে এই গল্প শুইনা ধোয়া উড়াইতে ছিলাম, তখন ও আসলো। -কিরে পিছন দিয়া কি দেখতাছিলি? তখন ও বয়ান করলো যৌবনে শুনা বিখ্যাত ২ টা আনসলভড পাজল: প্রথম পাজল: পথ হারিয়ে ফেলেছে দুই পথিক কোনো এক মরুভূমিতে। পথিকের একজন ছিলো কানা আরেকজন বোবা সাথে আত্নভোলা। তো বোবার হঠাত মনে পড়লো কানার একমাত্র বৌ ডেড খাইছে।

এখন বোবা কানাকে কিভাবে বোঝায় ওর বৌ ডেড খাইছে? দ্বিতীয় পাজল: এক রাস্তা এক জায়গায় এসে দুদিকে চলে গেছে। রহিম তার গন্তব্যের দিকে এগুতে এগুতে এখানে এসে থামলো। তার গন্তব্য এ দুপথের কোন একটা মাথায়। দুপথের শুরুতে দুজন ব্যাক্তি দাড়িয়ে আছে, যাদের মধ্যে একজন লোক সত্য বলে আরেকজন লোক মিথ্যা বলে সর্বদা। কিন্তু রহিম জানে না কে সত্য বলে কে মিথ্যা বলে।

এখন রহিমকে এমন একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে হবে যাতে সে যে কাউকেই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করুক না কেন সে যেন তার উত্তর বুঝতে পারে যে সে কোন পথে যাবে। আমার প্রথমে মনে হয়েছিলো খুব সোজা প্রশ্ন, কিন্তু অনেক পুলাপান এর উত্তর দিতে পারে নাই, আর বাকীরা এই পাজল দুটোর নাম দিয়ে দিলো "লেডিস সেন্টস পাজলস" ( সবার ধারনা মেয়েদের পিছনে বসতে বসতে ও এই পাজল খানা আবিস্কৃত হয়েছে)। আমরা এ আবিস্কারের স্বীকৃতি স্বরুপ এক কাপ চা খাইয়ে দিয়েছিলাম, পরে ও আমাদের সবার বিলসহ নিজেরটা দিতে হয়েছিলো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।