নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .
আজ অনেকদিন পর বাহিরে বেরুবার সুযোগ পেয়েছিলাম। কোথায় যাব এই গরমে তার চেয়ে কোন ইন হাউসে সময় কাটানোটাকেই শ্রেয় মনে করলাম। তাই বসুন্ধরা সিটিতে ঢু মেরে আসতে মন চাইল, কিছুক্ষন ফুড কোর্টে তারপর সিনেপ্লেক্সে শেষ শো-টা দেখে বাড়ী ফিরব এমনই মনস্থির করে রওনা দিলাম।
যতক্ষনে পৌছুনোর কথা তার একটু বেশী সময়ই লাগল। রাস্তায় জ্যাম ছিল, তারপরেও হাতে সময় নিয়েই বের হয়েছি, বসুন্ধরাতে ঢোকার মুখেই খেয়াল করি টিভি মিডিয়ার বিভিন্ন শিল্পীরা সেখানে দাড়িয়ে বর্ণার্তদের জন্য সাহায্য সংগ্রহ করছেন, যাই হোক কিছু একটা সাহায্য দিয়েই ভিতরে প্রবেশ করতে যাব তখনই খেয়াল করি অন্য আরএকটি প্রতিষ্ঠানও সেখানে বণ্যার্তদের সাহায্যের অর্থ সংগ্রহের কাজ করছে। সেখানেও কিছু দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই একটি দরিদ্র এবং কঠিন রোগে আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসার অর্থ সাহায্যের জন্য ডোনেশন বক্স বসানো হয়েছে, সেখানেও কিছু না দিয়ে আর যেতে পারলাম না।
যাই হোক ফুড কোর্টে বেশ কিছুক্ষন সময় নিয়েই আছি, হঠাৎই মনে হল আমি আজ এখানে এই ঠান্ডা হাওয়ায় লাল নীল আলোর নীচে কত আনন্দেই সময় কাটাচ্ছি অথচ বন্যা দুদর্শগ্রস্থরা কতই না অসহায়, দুবেলা দুমুঠো খেতে পারছেনা, পানি সরবরাহের অভাব, চিকিৎসার অভাব, কত বিপদেই না তারা পড়েছে এরকম আরো সাত পাচ ভেবে আর সিনেমার টিকেট কাটা হলনা, দেখাও হলনা, বেরিয়ে ফিরে এলাম।
আসলে কিছু কিছু সময় মানুষের এমন কষ্টগুলো দেখে আর ভাল লাগেনা। কত কষ্ট করতে পারে মানুষ ! মানুষের কষ্টের সীমা কত? নাকি এর কোন সীমা - পরিসীমা নেই?
তবুও বিকেলটা মন্দ যায়নি বসুন্ধরা সিটিতে, গিয়েছিলাম এক উদ্দেশ্যে কিন্তু সেখানে গিয়ে একপ্রকার বণ্যাদুর্গতদের জন্য বেশ সাহায্য করে এসে ভালই লাগছে, মানুষের জন্য মানুষই দাড়াবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।