বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছি মিসির আলী স্যারকে একটা ধাঁধা দিয়েছিলাম। তিনি ৩ দিন ভেবেও উত্তর বের করতে পারেন নাই। বলছিলাম, আপনি জ্ঞানী মানুষ, একটা শিল্লুক ভাঙান তো দেখি, স্যার
এমন একটা গাছ, যেটার জন্য কোনো মাটি লাগে না
পানি লাগে না
সার লাগে না
কিন্তু নিমিষেই সেই গাছের ডালপালা বাড়ে, বাড়তেই থাকে।
গাছটার নাম কি?
গাছটার নাম হচ্ছে গুজব। বাংলাদেশে গুজবের ফলন ভালো, দ্রুত এর ডালাপালা গজায়, শাখাপ্রশাখা বাড়ে।
ঘটনাটা খুলে বলি।
কালকে এক ব্লগারের লেখা পড়ছিলাম। সে মোবাইল ফোন নিয়ে দারুন একটা লেখা লিখছে। মোবাইল ফোনের কারণে বাংলাদেশ ধেই ধেই করে এগিয়ে যাচ্ছে। লেখা পড়ে আমি মুগ্ধ ।
ভাবলাম মোবাইলের যেহেতু এতো গুণ, তাইলে এক কাজ করি, একটা মোবাইল ফোন কিনে ফেলি।
যদিও মোবাইল ফোন হিমুর মূল দর্শনের বিরোধী, তবুও এই লেখা পড়ে মনে হলো, মোবাইল ছাড়া জীবন অচল, হিমুগিরি চালানোও অসম্ভব।
কিন্তু, আমি হিমু মানুষ- মোবাইল কেনার টাকা পাবো কোথায়?
এজন্য বললাম, দেখি রূপার কাছে বলে। কমেন্ট নং ৫ দ্রষ্টব্য।
সেই ব্লগার সাথে সাথে উত্তর দিতে গিয়ে বলে ফেললেন, রূপা ভাবীকে এক্ষুণি বলুন।
আমি পুরাই হতভম্ব। রূপাকে তো আমি বিয়েই করিনি। সে ভাবী হলো কি করে? নাকি রূপাকে অন্য কেউ বিয়ে করেছে।
ব্যাস, গুজব ছড়াতেই থাকলো। রূপার সাথে গোপনে আমার বিয়ে হয়েছে, হিমু নম্বর টু নামে আমাদের একটা পুত্র সন্তানও আছে।
গুজবের চোটে বাজারে কানপাতা যাচ্ছে না। মাজেদা খালাও আমাকে ঠেসে ধরেছেন, বল, ঘটনা কি? তলে তলে লদকালদকি করে বেড়াস। পিটিয়ে হাড় মাংস বের করে ফেলবো।
আমি কোনোক্রমে মাজেদা খালার হাত থেকে পালিয়ে এসেছি।
এমনকি এই গুজবে বাদলও খানিকটা বিভ্রান্ত।
গুজবের কথা রূপারও কানে গেছে। সে দারুন ক্ষেপে আছে।
মোবাইল তো দূরের কথা ; ফেব্রুয়ারিতে নতুন একটা হলুদ পাঞ্জাবি দেয়ার কথা ছিল , সেটাও বাদ।
ঠিক করেছি, আজ সারা রাত রূপার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবো।
দেখি তার মান ভাঙে কিনা?
আপনারা দোয়া রাইখেন।
দোয়াটাই আসল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।