ব্যবসা ও নিরাপত্তার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার।
সন্ত্রাসী হামলায় চোখের পলকে আকাশছোঁয়া সেই দুটি ভবন মাটিতে মিশে যায়। কিন্তু থেমে থাকেনি আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন। সেই হামলার ক্ষত শুকিয়ে আবারও মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। এবার একটি ভবনই সেখানে দাঁড়াচ্ছে ফের আকাশ ছুঁয়ে দিতে।
বিশাল বাজেট হাতে নিয়ে এর নির্মাণ শুরু হয় ২০০৬ সালের ২৭ এপ্রিল। প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হচ্ছে এই ভবনটি নির্মাণে। মধ্যে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দায় কাজ অনেকটাই থমকে গিয়েছিল, তবে থেমে নেই এখনো। ফ্রিডম টাওয়ারের সেই গর্ব যেন বুকে রেখেই চলছে এর নির্মাণ কাজ। এবারের টাওয়ারটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের চতুর্থতম উঁচু ভবনের একটি।
প্রায় ৫টি বেইজমেন্টসহ এর ফ্লোর ধরা হয়েছে ১০৪টি। পুরোটা মেঝে থাকছে ৩,৫০১,২৭৪ বর্গফুটের। শুধু উঁচুই নয়, বিশালাকার এই ভবনটি ব্যবহার হবে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানির অফিস হিসেবে। তা ছাড়াও দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণেরও একটি অংশ হবে এখান থেকেই। এবার নিরাপত্তার জন্য রয়েছে আরও অনেক আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
যে কোনো এরোপ্লেন এর দিকে ছুটে এলেই শক্তিশালী রাডারের নিখুঁত গণনায় সেটিকে ভূপাতিত করার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা এতে রাখা হচ্ছে। ধীরে ধীরে কাজ এগিয়ে চললেও এর মূল অংশের নির্মাণ কাজ অনেকটাই শেষ। ভেতরের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ছাড়া টপ সাজানোর কাজটুকু চলছে।
এক নজরে
নাম : ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার
আর্কিটেক্ট : ডেভিড চাইল্ডস
চালু হবে : ২০১৪ শুরুর দিকে
উচ্চতা : ১,৭৭৬ ফুট বা ৫৪১.৩ মিটার
খরচ : আনুমানিক ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
যা থাকছে : অফিস, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, যোগাযোগ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।