নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই
দেশী ইকমার্সের ব্যবচ্ছে(২):
বাংলাদেশী ইকমার্স গুলো মুলত প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে টার্গেট করে করা। যারা প্রবাসে থাকেন তারা প্রবাসে বসে দেশে বন্ধু-বাণ্ধব স্বজনদের উপহার পাঠাবেন এমন উদ্দেশ্য নিয়েই মুলত এসব ইকমার্সের কার্যক্রম। পাশাপাশি পরিবারের দৈনন্দিন বাজার পাঠানোরও ব্যবস্থা আছে বিশেষ করে চাল-ডাল-লবন-তেল-মাছ-মাংস ইত্যাদি।
পুবেই বলেছি যে আমাদের ইকমার্স সাইটগুলির পন্যের দাম অনেক। কেন দাম বেশি তাও বলেছি।
অনেক ইকমার্স চালু করা হয়েছিল একদম বাজার দরে। অর্থাত আপনার বাড়ির পাশে দোকানের দামেই পাবেন পন্য। কিন্তু দুই-তিন মাস পরেই দেখা গেল তারা পন্যের দাম দ্বিগুন-তিনগুন করে ফেলে। আসলে করে ফেলে না করতে বাধ্য হয়।
যেহেতু দেশীয় ইকমার্সের টার্গেট কাস্টোমার প্রবাসী বাংলাদেশী এবং এর কার্যক্রম শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তাই এর মার্কেটটিও খুব ছোট।
এই ছোট মার্কেটেই আবার অনেক প্রতিযোগী। ফলে কেউই যে খুব ভাল অবস্থায় আছে তাও না। আবার পন্যের মুল্য কমিয়ে যে অনেক কাস্টোমার পাবে তেমন সম্ভবনাও নেই। ফলেই এভাবেই অধিক মুল্যের কেনাবেচাই চলছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই বিষয়টা মেনে নিয়েছে।
বাংলাদেশী কিছু ইকমার্স রয়েছে যারা বিদেশেও পন্য পাঠায়। অর্থাত আপনি আমেরিকায় বসে ইউরোপের বন্ধুকেও উপহার পাঠাতে পারবেন কিন্তু দাম এবং ডেলিভারী চার্জ অত্যাধিক। কারন বাংলাদেশ থেকে পন্যটি DHL, FEDEX, UPS ইত্যাদির মাধ্যমে পাঠাতে অনেক খরচ। হয়তো ১০০০ টাকা দামের একটা শার্টের সাথে আরো ১০০০ টাকা যোগ করতে হবে ডেলিভারী চার্জ বাবদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।