আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে ইকমার্স-৪

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই

কিভাবে বানাবেন ইকমার্স সাইট ইকমার্স সাইটের জন্য প্রয়োজন একটি সুন্দর ও ছোট নাম। যেন সবাই সহজে মনে রাখতে পারে। এবং আপনার কাজের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন হয়। নামের পরে আসবে সাইট হোস্টিং। ভাল হোস্ট সার্ভার না হলে সাইট ওপেন হতে দেরী হয়।

তাই একটু বেশি টাকা দিয়ে হলেও ভাল হোস্টিং সার্ভারে সাইট হোস্ট করাই ভাল। ডোমেইন এবং কমপক্ষে ৫০০মে.বা. স্পেস সহ ১ বছরের জন্য চার্জ লাগবে কমবেশি ৪০০০.০০ টাকা। প্রতি বছর রিনিউ ফী সমপরিমান। ডোমেইন এবং হোস্টিং এর পরে আসবে ইকমার্স সাইট এর জন্য ভাল স্ক্রিপ্ট এবং ডিজাইন। ইকমার্সের গুরুত্বপুর্ন অংশ এটি।

স্ক্রীপ্ট এবং ডিজাইনের তিনটি গুরুত্বপুর্ন অংশ রয়েছে। একটি হচ্ছে ইউজারদের জন্য, দ্বিতীয়টি এডমিনের জন্য এবং তৃতীয়টি নিরাপত্তার বিষয়। ইউজার অংশে ইউজাররা কত সহজে এবং কম সময়ে নিজেকে সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে বাজার করতে পারবে। দরকারী পন্য সহজে খুজে পাবে। পন্য বিভিন্ন ক্যাটেগরীতে বিন্যস্ত থাকবে।

সঠিক পন্য সঠিকভাবে উপস্থাপিত হবে এবং পন্যের যথাযথ বর্ননা এবং ছবিও গুরুত্বপুর্ন। কারন একজন ক্রেতা ইকমার্সে পন্যের ছবি এবং বর্ননার উপরেই নির্ভরশীল। কাজেই যত সুন্দর ছবি এবং যত ভাল বর্ননা থাকবে ততই ভাল। হাজারো পন্য থেকে দরকারী পন্য খুজে বের করতে সার্চের সাহায্য নিতেই হয়। তাই সার্চ অপশনটি যত শক্তিশালী হবে তত ভাল।

সঠিক পন্য কম সময়ে খুজে বের করতে পারে এমন অপশন যে কোন ইকমার্স সাইটের জন্য আদর্শ। এডমিনের জন্য দরকার একটি শক্তিশালী এডমিন প্যানেল। যেখানে পন্যের ক্যাটেগরী, পন্য, ছবি ইত্যাদি সহজে যোগ করা, বাদ দেয়া, পরিবর্তন করা যায়। ক্রেতার তালিকা, তাদের বাজারের তালিকা সহ বিভিন্ন সুবিধা যুক্ত থাকে। এডমিন প্যানেলটি এমন হওয়া উচিত যেন ইন্টারনেটে স্বাভাবিক ধারনা থাকা যে কেউই সহজে এটি পরিচালনা করতে পারে, তার ওয়েব ডিজাইন বা প্রোগ্রামিং জ্ঞান থাকার দরকার না হয়।

যেহেতু একজন ক্রেতা তার এবং তার ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দিয়ে বাজার করবে সেহেতু তার সকল তথ্য গোপন থাকতে হবে এবং কোনভাবেও তা অন্যের কাছে প্রকাশের সুযোগ রাখা যাবে না। তার ক্রেডিট কার্ডের নাম্বারটি, পাসওয়ার্ড ইত্যাদি যেন কেউ কোনভাবেও জানতে না পারে তার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অর্থের লেনদেন একজন ক্রেতা আপনার ইকমার্স সাইট থেকে পন্য কিনে তার মুল্য পরিশোধ করবে। অনলাইনে কয়েকভাবে মুল্য পরিশোধ করা যায়। ক্রেডিট কার্ড, ইচেক, পোপ্যাল।

আপনার ইকমার্স সাইট থাকলেও অর্থের লেনদেনের জন্য আপনাকে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিতে হবে যারা আপনার লেনদেনে সাহায্য করবে। যেমন একজন তার ক্রেডিটকার্ড দিয়ে মুল্য পরিশোধ করবে কিন্তু তার কার্ডে পর্যাপ্ত অর্থ আছে কি না, বা কার্ডটি নকল কি না ইত্যাদি বিষয়ে নিশ্চয়তার জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা আপনাকে এসকল বিষয়ে সাহায্য করবে বিনিময়ে একটি সার্ভিস চার্জ কেটে রাখবে। এরকম সার্ভিস দেয় পেপ্যালডটকম(http://www.paypal.com), টুচেকআউটডটকম(http://www.2co.com), মানিবুকার্সডটকম(http://www.moneybookers.com)এদের যে কোন একজনের কাছে একটি একাউন্ট খুলতে হবে যেখানে ক্রেতার ক্রেডিট কার্ডের থেকে কেটে রাখা অর্থ জমা থাকবে। বাংলাদেশ থেকে পেপ্যালে সরাসরি একাউন্ট করা যায় না। একাউন্টের জন্য আমেরিকা বা ইউরোপ বা যে সকল দেশ থেকে একাউন্ট করা যায় এমন কাউকে দিয়ে একাউন্ট করিয়ে তার একাউন্ট ব্যবহার করতে হয়।

টুচেকআউটডটকম এ এই সমস্যা নেই। আপনার একাউন্টে জমা অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে আনতে পারবেন। ইকমার্স সাইট স্ক্রীপ্ট আপনি ফ্রি পেতে পারেন। ভাল স্ক্রিপ্ট ১০০ থেকে ১০০০ ডলারে পাবেন। বাংলাদেশেও অনেকে আছেন যারা অনেক ইকমার্স সাইট তৈরী করেছেন।

বাংলাদেশে ইকমার্স সাইট ডিজাইন এবং অন্যান্য বিষয় সাহায্য করতে পারে এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের ওয়েব এড্রেস: http://www.ecommercehouse.us http://www.webbangladesh.com http://www.dhaka-bd.com http://www.bizbangladesh.com http://www.arfitech.com http://www.fornix-soft.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.