পাগলা ছেলের... আউলা ব্লগ... যা বুঝি তাই লিখি... মাথা কম ঘামাই
হে হে হে অনেক স্ট্রাগল করার পরে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড গতকাল কম্পিউটার কিনলো।
শালা অনেক খুশি এখন, পারলে ধেই ধেই কইরা নাচে। কিন্তু আপনাদের আজকে বলবো এই পিসি কিনার পিছনে মজার ঘটনা। গতকাল সক্কাল সক্কাল বের হলাম ওকে নিয়া ফরম জমা দিবো বইলা। বেচারার থেকে জানতে পারলাম যে ওরে বাসা থেইকা আব্বু আম্মু ঘুরাইতেছে পিসি কিনার কথা বইলা।
বিভিন্ন ডেট দিচ্ছে আর ডেট পিছাচ্ছে। আমি বললাম দেখ দোস্ত তুমি জি,পি,এ ফাইভ পাইছো মাগার তুমাকে এখনো পিসি কিনে দিচ্ছে না এইডা কিন্তু অবিচার সম্পূর্ণ।
এরপরে কথাটা পুরা ঔষধের মত কাজ হইলো। শালায় এমন চেতা চেতলো, কয় আসলেই তো দোস্ত ঠিকই কইছস। অখন কি করা যায়?
আমি কইলাম দেখ সোজা আংগুলে ঘি উঠবো না, তুই বেঁকে বস এমনিতেই পিসি পাইয়া যাবি।
তারপরে সে আমার কাছে পরামর্শের জন্য চাপা চাপি শুরু করলো।
তখনই শয়তানি বুদ্ধি পাইলো মাথায় আমি কইলাম দেখ তুই তোর মাকে ফোন কইরা বল আমি আজকে বাসায় যামু না পিসি না কিনে দিলে। কথাটা আসলে স্বাভাবিক লাগে শুনতে কিন্তু অই বেচারার জন্য সবচেয়ে দুঃসাধ্য কাজ হইলো ওটা। এমনিতেই ওএ ফ্যামিলি অনেক রিস্ট্রিক্ট কোথাও গেলে ওর বাপ-মা মিনিটে মিনিটে ফোণ করে। আর ওর মা তো হইলো মহিলা সন্ত্রাসী আমরা বলি।
তখন বেচারার চোখ কপালে উঠলো কয় দোস্ত আমি আম্মাকে ফোন করে এই কথা বলবো? যা অসম্ভব।
তারপরে আমি ওকে বুঝাইলাম দেখ এইটা একটা বিদ্রোহ ইতিহাসে বিদ্রোহ ছাড়া কোন আন্দোলন সফল হয় নাই। তোকে এইটা করতেই হবে অবিস্মরনীয় ঘটনা মানুষ তোকে মনে রাখবে কম্পিউটারের জন্য ইখতিইয়ার উদ্দিন তারিকের বিদ্রোহ। হেহেহেহেহেহ।
অনেক পাম্প করলাম ওকে, পাম্পিং করতে করতে আমারই অবস্থা খারাপ শেষ-মেশ অবশ্য যা চাইলাম তাই হল ফোন করলো এবং রীতিমত সত্যি সত্যিই আন্টিকে ঝাড়ি মারলো।
আমি বললাম কাজ শেষ মোবাইল বন্ধ কইরা রাখ। এরপরে বেচারা ঘামতেছে গল গল কইরা আমি বললাম আহারে তুই ফান্দে পা দিয়েছিস তোর আরো শনি আছে কপালে।
এরপরের ঘটনা অনেক সংক্ষিপ্ত কিন্তু জটিল, আমার বাসায় ভাত খাওয়াইলাম কোচিং এ পাঠাইলাম বললাম ৯ টার আগে বাসায় যাবি না। আমি তোদের বাসায় বাসায় বলবো তোর পক্ষ হয়ে দ্যান ফোন করে তোকে বলবো বাসায় আসতে। গো-বেচারা তাই করলো।
আমি করলাম উলটা বিকেলে ওর আম্মুকে বললাম আহা তারিক আসে নাই? ও তো আমার সাথে দুপুর পর্যন্ত ছিলো এরপরে কই গেলো? দেখছেন আমাকে বলেও গেলো না আন্টি, দারুন রেজাল্ট পেলাম ওর ছোট ভাই এসে বলল ভাইয়ার উপর ১৪৪ ধারা। বড় ঘাপলা করলাম ৭ টার দিকে ওর আব্বুর মোবাইলে ফোন কইরা পিনিক মারলাম, ছেলেটা একদম গেছে আংকেল রাত বিরেতে বাসার বাইরে, মেজাজ সব দিক থেকে হট কইরা সাড়ে নয়টায় তারিক রে ফোন দিয়া বললাম বাসায় যা কম্পিউটার ফাইনাল। হি হি হি
পরদিন মাইর খাইয়া তক্তা খবর দিলো ওর ছোট ভাই রিফাত। ঘটনা দেখতে বাসায় গিয়া শুনি কম্পিউটার কিনতে বাইর হইছে মাত্র। আমি বললাম যাক বাচ্ছি আমার সাত খুন মাফ, পিসি কিনা হচ্ছে তারিকের।
আজকে একটু আগে আমাদের ডেকে খাওয়ালো, আমার দিকে তাকায় ফ্যাল ফ্যাল করে আর মিটি মিটি হাসে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।