যা তুমি আগামিকাল করতে পার, তা কখনো আজ করতে গিয়ে ভজঘট পাকাবে না...
স্যারের নামটা না বলি। বেসিকালি সহজ সরল লোক। পড়াতেন মোটামুটি। বিষয় কেমিস্ট্রি।
কলেজের বাইরেই ভিডিওর দোকান।
সেটা ৯২ সাল। ভিসিডি কি জিনিস আমরা তখনো জানি না। ভিডিও মানে ভিএইচএস ক্যাসেট। নরমাল ইংলিশ মুভির ভাড়া ১০টাকা, হিন্দী ১৫টাকা আর মাল-মশলা ২০টাকা। সুমন পিন্টুর আর্ট ফিল্ম তখনো কল্পনার বাইরে।
সেই সময়ে আমাদের স্যার গেলেন কলেজের গেটের পাশের ভিডিও দোকানে। সেখানে বসা রনি। স্যার চিনতে পারেননি, সোজা গিয়ে বললেন-
: ইয়ে, একটা ক্যাসেট দাও তো বাবা।
: কোনটা দিমু স্যার, হিন্দী নাকি ইংলিশ?
: বোঝোইতো, তোমাদের বউদি বাসায় নাই, ওইসব একটা দাও।
রনি মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করে, কোনটা দিমু স্যার, টু নাকি থ্রি?
স্যার বলেন, এইসব তো বুঝিনা, টু কোনটা, থ্রি কোনটা?
: স্যার, থ্রি হইলো ডাইরেক্ট, আর টু হইলো ধাপে ধাপে।
: দাও, তাহলে ধাপে ধাপেটাই দাও।
সপ্তাহখানেক পরের কথা। কেমিস্ট্রি ক্লাস চলছে। স্যার ক্লাসের মাঝখানে পড়া ধরছেন।
: বল দেখি, লাস্ট বেঞ্চ, মিডল ম্যান, ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা এই ইকোয়েশনের সমাধান কি?
রনি দাড়িয়ে বলে, এইটা পারি স্যার, তবে ডাইরেক্ট কমু নাকি ধাপে ধাপে কমু?
স্যারের চেহারা সাদা।
এক সেকেন্ড পরেই বললেন, বুঝেছি বুঝেছি, তুমি পারবা। বস, এইবার আমরা নেক্সট ইকোয়েশনে যাই...
এর পর থেকে রনিকে কোনেদিন কেমিস্ট্রি ক্লাসে পড়া দিতে হয় নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।