নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই
যিনি লেখেন তিনি লেখক, সে হিসাবে আমিও লেখক। তবে, আমি লেখক হলে একটি কথাই বারবার মনে হয়-
"তেলাপোকাও একটি পাখি
মদনও একটি লেখক"
এনি ফ্র্যাংকের ডায়েরী পড়ে হঠাত মনের মধ্যে ভাব উঠলো ডায়েরী লিখতে হবে। গ্রামের মধ্যে ডায়েরী পাবো কোথায়? সাদা কাগজ কিনে মহা উতসাহে লিখা শুরু করলাম। ৩দিনের পর থেকে অনিয়মিত এবং সপ্তাহানতে বন্ধ হয়ে গেল।
একবার এলাকার কিছু সমস্যা নিয়ে পত্রিকায় লেখা পাঠালাম।
সম্ভবত সেদিন লেখা বাছাইকারী অফিসে ছিলেন না। আমার লেখা পত্রিকায় চলে এলো। আমারে পায় কে। সমস্ত গ্রাম আমার লেখা পড়ে দীর্ঘদিন ধরে।
সায়েন্সফিকশনের ভক্ত খুব ছোট থেকেই।
এসএসসি পরীক্ষার পর নিজেই একটি গল্প লিখে ফেললাম। দুজন নায়ককে রকেটে করে সুর্যে পাঠালাম, যেখানে সুর্যের কেন্দ্র বরফের মতো ঠান্ডা এটা প্রমান করা ছিল ।
প্রেমে পড়লে সবাই নাকি কবিতা লেখে। আমি বাদ যাব কেন? লিখলাম। শুধু কবিতাই না।
কয়েকটা গানও। আমার মতোই একটি ব্যান্ডদল গানটিতে সুর দিয়ে দিব্বি চালিয়ে দিল। যদিও এপর্যন্ত কোন শ্রোতার কানে তা পৌছেনি।
নিজের কাসুন্দি ঘাটার কারন হলো সা.ইন। সা.ইনের একজনের আমন্ত্রনে এখানে আসা।
যখন আসি তখন কোশিকদার "আগুনের পরশমনি" শুরু হয়েছে। "ত্রিভুজ এবং ফজলে এলাহী" সে সপ্তাহের সেরা ব্লগার হিসাবে তাদের ছবি লাগানো ছিল। চলছিল প্রাপ্তিকে নিয়ে মানবিক কার্যক্রম।
ইন্টারনেটে বসে কোন সফটওয়্যার ছাড়া বাংলা লেখা যায় এই সুখানুভুতিতেই আমার সা.ইনে লেখা শুরু। ঠিক লেখা বললে ভুল হবে, বলা যায় লেখার প্রচেষ্টা।
যায়দিন ভাল, আসে দিন খারাপ। এটা অনেকে মানলেও আমার কাছে প্রতিদিনই মোটামুটি সমান লাগে। এটা সত্যি শুরুর সামহোয়্যারে প্রতিদিন, প্রতিটি লেখা ছিল পড়ার মতো আর প্রতিটি সদস্য একজন আরেকজনের আত্নীয়র মতো। সময় গেছে সদস্য সংখ্যা বেড়েছে। মতের অমিল বেড়েছে।
বড় পরিবারে যেটা হয়।
সা.ইনে মাঝে মাঝে কিছু বিতর্ক, কিছু সমস্যা ঝড়ের মতো আসে আবার চলে যায়। এটাই স্বাভাবিক। মতের অমিল স্বাভাবিক।
সাম্প্রতিককালে সা.ইন বাদেও দুটি ব্লগের নাম নিয়মিত শোনা যাচ্ছে।
সচলায়তন এবং প্যাচালী। দুটি ব্লগই আমি দেখেছি। দুই জায়গাতেই আমাদের পরিচিত অনেক সুপিরিচিত ব্লগারগন লিখছেন। কিন্তু অবাক হয়ে দেখছি কিছু ব্লগার আছেন যারা এটি মেনে নিতে পারছেন না। তাদের মতে সা.ইনকে নষ্ট করে তাদের আবির্ভাব, বা সা.ইনের কেউ সেখানে লিখলেও তারা ভাল চোখে দেখছেন না।
আবার কেউ আছেন সা.ইন একটি পচা সাইট এবং তাদের টা ভাল এটা দিয়ে এখানে অহরহ পোষ্ট দিচ্ছেন। আবার কারো মতে সচালায়তন একটি কষ্টের ফসল।
বাংলায় শুধু মাত্র একটি ব্লগ থাকবে এটা আর যে কেউ চাইতে পারে, আমি চাই না। ব্লগের সংখ্যা যত বাড়বে ততো বাংলার প্রচার প্রসার বাড়বে। হয়তো এইসব ব্লগে লিখতে লিখতেই আগামির রবিঠাকুর, নজরুল, শরত, হুমায়ুন আহমেদ আসবে।
এদের মধ্যে থেকেই বের হবে শামসুর রাহমান বা আল মাহমুদ। পরিধি যত ব্যপক হবে আমরা লেখকও ততো পাবো। ভিন্ন ভিন্ন লেখা পাবো। সবার নিজস্ব একটা ষ্টাইল থাকে। ইততেফাক, প্রথম আলো, যুগান্তর, সমকাল বা আমাদের সময় যার নামই বলেন না কেন।
সবাই যে যার জায়গায় স্বতন্ত্র। তাদের চিন্তা চেতনা, ধ্যান ধারনা, লেখার ধরন, পরিবশনের ধরন সব আলাদা। আর আলাদা বলেই হয়তো এক চ্যানেলের খবর ভাল লাগে তো আরেক চ্যানেলের নাটক, আরেক চ্যানেলের টক শো। চ্যানেল যত বাড়ে নায়ক-নায়িকা, কলাকুশলী তারা ততো খুশি হয়। কারন তাদের ডিমান্ড ততো বাড়ে।
ব্লগ যতো বাড়বে, যারা লেখক তাদের ডিমান্ড ততো বাড়বে। পাঠকরাও খুশি হবে ভিন্ন ভিন্ন ব্লগ পড়ে। হয়তো আগামিতে প্রতিটি রাজনৈতিক দল, ধর্মের আলাদা আলাদা ব্লগ থাকবে। এবং আমি মনে করে থাকা উচিত।
চালু হওয়া সকল ব্লগকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং যারা আগামিতে আসবে তাদের আগাম শুভেচ্ছা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।