যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
আবেগ বড়ো ভালো জিনিস । ইগোটা ও ভালো । আমি যদি ব্যক্তি আমার সম্মানই না রাখতে পারলাম তাহলে কিসের গোত্র,কিসের সমাজ,কিসের বিশ্ব ।
তবে কথা আছে । আবেগ এবং ইগো'কে ম্যানেজ করাটা মনে হয় ভালো ।
ভালো এ অর্থে, যেনো শেষ পর্যন্ত আবেগ এবং ইগো দুটোই টিকে থাকে ।
কোনো কোনো মন্তব্য ধ্বংসাত্নক । তবে মন্তব্য কার কাছ থেকে এসেছে সেটা ও বোধকরি বিবেচ্য । আরিফ জেবতিক কিংবা নজমুল আলবাবের কথা বাদ দিলাম । সচলায়তনের অন্য কেউ যদি,সচলায়তনে আমাকে নিয়ে কোনো নেগেটিভ মন্তব্য করেন-আমি সেটা ভেবে দেখবো, আমি তার ব্যাখ্যা দাবী করবো, আমি জানতে চাইবো কার্যকারন ।
সামহোয়ারে হলে তা করবোনা। সরাসরি পালটা আঘাত করবো ।
এই পার্থক্য কেনো? কেনো নয়? এই পার্থক্য আছে বলেই, সামহোয়ার আর সচলায়তন এক নয় বলেই-আমি, আমরা সচলায়তনে । এখানে যে কয়জন আছি আমরা, প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছে পরিস্কার থাকার সুযোগ আছে ।
উৎস'র মন্তব্য শুভ'র খারাপ লাগতে পারে ।
উৎস সচলায়তনের যতোটুকু,শুভ ও তো ততটুকুই । সে কারনেই তো শুভ সচলায়তনে । শুভ কি উলটো প্রশ্ন করতে পারতেননা?
উৎস'কে চেপে ধরতে পারতেননা? এক উৎস'র মন্তব্যে শুভ সচলায়তন ছেড়ে গেলেন শুভ, বাকী বন্ধুরা যে ডাকছে তাকে এর কোনো মুল্য নেই? শুভ'র বন্ধু হিসেবে তো আমিই আক্রান্তবোধ করছি । নিজের ইগোটাই বড় করে দেখলেন মিয়া, অন্যরা যে কতোটুকু ভালোবেসে আপনাকে ধরে রাখতে চাইছে, তার কানাপয়সা দাম দিচ্ছেন না?
আরিফ প্রশ্ন তোলেছে,সহবন্ধুরা কেনো শুভ কে ডিফেন্ড করলোনা? ডিফেন্ড করা হতো, যদি এটা সামহোয়ার হতো । এটা সচলায়তন ।
এখানে কেউ ছাগু নয় । আমার মতো মনে হয় অন্য সবার স্বাভাবিক প্রত্যাশা ছিল শুভ নিজ থেকে এটার প্রতিবাদ করবেন । এটা না করে তিনি ব্লগ ছেড়ে দিলেন, তার নিজস্ব ব্লগে গিয়ে প্রতিবাদলিপি লিখলেন । সাদিকের হাতে অস্ত্র গেলো এটা নিতে ক্যারিকেচার করার ।
নজমুল আলবাব মামুকে ও বলি, ব্যক্তিগত ব্যখ্যানের কোনো দরকার নাই মামু ।
এখানে কেউ কেউ কাউকে কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি । বাকি সব একজন আরেকজনের লেখা থেকে । আমার লেখা আমাকে যেভাবে চেনাবে,অন্যরা ও আমাকে সেভাবেই চিনবেন । মাহবুব সুমন, ফ্রুলিংক্স এরা যতোই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লাফাক, তাদের প্রিয় ব্লগার তালিকায় যখন আস্তমেয়ের নাম থাকে, তখন তাদের অবস্থান সন্দেহমুক্ত নয় ।
রাগইমন পাগলী হতে পারে কিন্তু তার বাবা খুবই বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ।
এই রাগইমন যখন আস্ত কিংবা ত্রিভুজের সাথে ব্যাক্তিগত সখ্যতা দেখায়- তার অবস্থান আমার কাছে ঘোলাটে হয়ে যায় । এমনকি জামাল ভাস্করের বাসায় ত্রিভুজ কি করে দাওয়াত খেতে যায়, সেটা ও আমাকে ভাবায়? ভুলে যাওয়া ভালো নয়, এই আস্তমেয়ে ব্লগের পাতায় লিখেছিলো- গোলাম আজম মহান নেতা' ।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হাজার হাজার পাতা আমি লিখে যেতে পারি, বিশাল বিশাল সব আবেগ দেখাতে পারি কিন্তু বাস্তব জীবনে যদি আমি নিজেকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের স্পর্শ এড়িয়ে যেতে না পারি- আর কেউ আমার এই অবস্থানের সমালোচনা করে, দায়ভারটা কার ?
কথা বললে অনেক বলা যায় । কথা না বাড়িয়ে ও বোঝে নেয়া সম্ভব যদি বোঝার ইচ্ছে থাকে । সচলায়তনে আমরা যারা আছি,তাদের জন্য এই বোঝাটাই জরুরী ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।