কপিরাইট © সংরক্ষিত.. লিখিত অনুমতি ছাড়া প্রকাশ নিষেধ
শওকত ওসমান লিখেছিলেন 'ক্রীতদাসের হাসি'। আমি লিখছি হারাধনের।
***
প্রথম প্রথম দশটি উইকেট ছিল। গেল লংকা পার।
আমি হারাধন বসলাম ক্রিকইনফোর সামনে।
দিনশেষে বাহাদুর পুতেরা ৮৯ রানের বিশাল ইনিংস ঘোষনা করায় যারপরনাই খুশি হয়ে নিজের বেহুদা খরচ করা ৩২ ওভার টাইমের দুঃখ ভোলার জন্য আইলাম সামহোয়্যার 'ইনে' ইন করতে।
হারাধনের কয়েক পোলায় মিল্যা এই 'ইন' অর্থাৎ কসাইখানায় তখন এক ছাগল বানাইতাছে। ছাগলে মাপ চায়, পোলারায় কি তাতে থামে! বাজারে খাশীর মাংসের যে দাম!
কাঠাল পাতা চাবাইলে আবার আমার গ্যাস হয়। বুঝলাম, এইখানেও আমার ভাত নাই।
গেলাম বাড়িত্।
যাই দেহি, একরাশ আন্ধাইরের মইধ্যে আমার বউ ঘর আলো কইরে বইস্যা আছে। ক্যামনে কি। হাউজ হোল্ড কাজকর্মে আমার মন নাকি বড্ড উচাটন। তাই থার্মোমিটারের পারদ উপ্রে। রাগনে যদি এমন আলো দেয়, তাইলে বিজলী বাতির ঠ্যাকা কিয়ের মোর বাড়িত্ থাকনের?
গেলাম বাজারে।
বাজারে যাইয়া দেখি আমার পরফেসরও সেইখানে। আমি লুকাই বউয়ের পিছে, তিনি লুকান আনারসের ঝাপির পেছনে। কিছুক্ষণ এইভাবে কাটলে পর সারাদিনের একমাত্র বাহাদুরির টাইমটা চলে আসে।
আস্ত হাতির খাবার কিনে ব্যাংক কার্ডটা এগিয়ে দিয়ে পিন দিতে গিয়ে দেখি নাম্বার গেছি ভুলে।
আর মনে পড়ে না।
তারপর আর কিছু বলতে হবে? (হারাধনের হাসি)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।