যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
পৃথিবীতে তিন প্রকারের মানুষ আছে বলে গুনীজনরা বলেন। প্রথম দলে আছে স্বল্প সংখ্যক মানুষ - যারা ইশারায় বা ভাবসাব দেখে শিখে।
দ্বিতীয় দলে আছেন বিরাট অংশের মানুষ যারা ঠেলা খাইয়া বা ঠেইক্কা শিখে..
আর শেষ দলে আছে একদল যারা জীবনেও শিখে না। এর কারন হয়তো এরা প্রতিবন্ধী বা শিখতে আসলেই অপারগ। হয়তোবা শিখার জন্যে যে নূণ্যতম শিক্ষা সেটাই তাদের নাই।
আমি নিজেকে দ্বিতীয় দলের একজন মনে করি। এবার আপনারা ঠিক করুন কে কোন দলে।
কাল রাতে ঘুমাতে যাবার আগে দেখলাম চারটা পোস্ট পড়েছে -বিষয় বস্তু একটাই - যা কইছি ঠিক আছে। একজন মানুষ যদি ক্ষমা চাইতেও না জানে বা না শিখে তাকে কিভাবে শিখাবেন! সে কি তাহলে তৃতীয় দলভুক্ত - যে জানেই না কিভাবে শিখতে হয় অথবা প্রতিবন্ধীতার কারনে শিখতে অপারগ?
যাই হোক, এগুলো হলো ভাবের কথা । এবার আসল কথায় আসি।
শুরু করি একটা গল্প দিয়ে।
এক গ্রামের এক টাউট গ্রামবাসীদের এতো বেশী বিরক্ত করেছে যে -গ্রামবাসী তাকে সালিশ করে গ্রাম থেকে বের করে দিয়েছে। গ্রাম থেকে বের হয়ে টাউট ভাবছে এখন কোথায় যায়। কি করবে ইত্যাদি ইতাদি। এই সময় এক সাধু সেই পথে হেটে যাচ্ছিল।
টাউট বাবাজী কোন সময় নস্ট না করে সাধুর পিছনে হাঁটা দিল। বেশ কিছুটা পথ হাঁটার পর সাধু তাকে প্রশ্ন করলে - সে কাঁদো কাঁদো হয়ে যা বললো তার সারাংশ হলো সে জীবনে অনেক পাপ করেছে এখন সেই পাপ মোচনের জন্যে সাধুর হাত ধরে কোন তীর্থে যেতে চায়। সাধু জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে সাথে নিয়ে হাঁটা শুরু করলো।
পথিমধ্যে এক বাড়ীতে বিয়ের ভোজ চলছিলো। সাধুকে দেখে বিয়ে বাড়ির লোকজন সাদরে ভিতরে নিয়ে গেল।
তার শিষ্যসহ সসন্মানে খাবার দাবার দিলো্। খাওয়া শেষ করে শিষ্য চুপি চুপি তার মিষ্টির রস মাখানো হাতটা একটা খুঁটির মধ্যে মুছে সাধুর পাশে এসে বসে থাকলো।
সেই মিষ্টির রস খেতে এলো পিপড়া - সেই পিপড়া দেখে টিকটিকি লোভ সামলাতে না পেরে খুটিতে নেমে এলো। টিকটিকে দেখে বিড়াল দূর থেকে তার নিজ স্বভাবগুনে লাফ দিয়ে একটা টিকটিকি ধরে ফেললো। সেটা দেখে একটা নেড়ি কুকুর যে সকাল থেকে লাথি-গুতা খেয়ে প্যান্ডেলের বাইরে শুয়ে ছিল - নিজের কর্মসক্রিয়তা প্রমানের সুযোগ নিলো।
লাফিয়ে পড়রো বিড়ালে উপর। বিড়ালটা চতুরতার সাথে সরে গেলেও নেড়ী কুকুরটা পড়লো বর পক্ষের সবচেয়ে বদরাগী মানুষটার গায়ে। তারপর ঘটনা দ্রুত অবনতি হতে লাগলো - এক পর্যায়ে দেখা গেলে বিয়ে বাড়ীর দিকে পুলিশের গাড়ী যাচ্ছে আর কিছু আহত মানুষকে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ঘটনার পুরো সময়টা সাধু আর তার নতুন শিষ্য এক কোনায় বসে কোন রকম নিজেদের রক্ষা করেছে।
তারা আবার রাস্তায় বের হতেই সাধু শিষ্যের কাছে জানতে চাইলো - এতো ঘটনা ঘটলো কিন্তু শিষ্য যেভাবে পুরো বিষয়টা আনন্দের সাথে উপভোগ করেছে তাতে মনে হচ্ছে এই ঘটনাটা সে আগেই জানতো।
শিষ্য সরল স্বীকারোক্তি - মহারাজ, আমি শুধু খুঁটির গায়ে একটু মিষ্টির রস লাগিয়ে দিয়েছিলাম।
আশা করি গল্পটা সবাই উপভোগ করেছেন। যদি গল্পটা ভাল লেগে থাকে তার জন্যে কিছু কৃতজ্ঞতা স্বীকারের বিষয় আছে। এই গল্পের পিছনে যে পোস্টগুলো বিশেষ ভাবে অবদান রেখেছে সেইগুলো হলো :
১) আমি কেন আওয়ামী লীগ ছেড়েছি?
- আশরাফ রহমান
২)
বর্তমান স্বাধীন ভারতে পর্দার কোন প্রয়োজন নেই : প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রতিভা পাতিল
- আশরাফ রহমান
(ডিসক্লেইমার: গল্পের মরালের ইন্টারপ্রিটেশানের দায়দায়িত্ব সমপূর্ন পাঠকে নিজস্ব...লেখক বাকস্বাধীনতার প্রতি চরম সন্মানপূর্বক কোন দায়িত্ব নিতে নারাজ - ধন্যবাদ)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।