[লেখক-শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান]
শান্তিপূর্ণ বিপ্লব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করব--যাতে কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে পর্যাপ্ত উৎপাদনের ব্যবস্থা হয় এবং জনগণ ন্যায়সঙ্গভাবে সে সুবিধা ভোগের সুযোগ পায়। কাজেই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদভিত্তিক শোষণ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার পুরো প্রক্রিয়া বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাবো: তা প্রকৃতির নিয়মের মতোই আবর্তনশীল।
এখন সংশ্লিষ্ট চার্ট পরীক্ষা করে দেখা যাক। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্থাৎ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা সার্বিক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেবে; আবার বহুমুখী গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা বিধান করবে--যার ফলে শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের প্রক্রিয়ায় [বিপ্লব--যেহেতু বহু বছরের ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের দরুন আমাদের হারানো শতাব্দীরও বেশি সময়ের ক্ষতিপূরণের জন্য আমাদের স্বল্প সময়ে অনেক কাজ করতে হবে] বহুমুখী পথের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে জনগণকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার সুযোগ থাকবে। জনগণের পূর্ণ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই বিপ্লবের মাধ্যমে কৃষিসহ জাতীয় ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করবে--যার ফলে ন্যায়সঙ্গত বন্টনের সুযোগ সৃষ্টির দরুন শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি সূচীত হবে। তাই আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচী-সমন্বিত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ আবর্তনধর্মী ও প্রকৃতির বিধানের অনুরূপ। প্রধানত সংগঠন, পরিকল্পনা এবং নেতৃত্বের ওপরে এই কর্মসূচির সাফল্য নির্ভর করবে।
আগের পর্বগুলি পড়ুন:
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ (পর্ব-৮)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।