আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ ব্রিফ স্টোরি অব কেভ আর্ট



রহস্যের দিকে হেঁটে গেছ তুমি জেনেছ চিরকাল মানুষের মনে বিস্ময় ও বিস্মরণ ক্রিয়া করে। পর্বতের গহীনে লুকানো মুদ্রিত দিগ্বলয় তিনটি চিত্কারে উন্মোচন করেছ, মারিয়া! ট্যারো, ট্যারো, ট্যারো! 'আলতামিরা' তার দিকে ছুটে গেছে পৃথিবী ও বিজ্ঞানীরা। ------------------আলতামিরায় প্রথম বিকেল : ১৮৭৯ সামনের দিনটি শুভ হোক- চিরকাল প্রত্যাশা করে মানুষ। আর সবচেয়ে কাতর থাকে নিজেরই বিগত দিনের ওমে। সীমাবদ্ধ সময় চেতনায় তার অন্তরে এক বিপুল আত্মপরতা খেলা করে।

এই আত্মপরতা- অহমবোধের বশে ঐতিহাসিক যুগের মানুষ শিল্পকলাকে একান্তই নিজেদের আবিষ্কার ভেবেছে। আর আদিম মানুষকে বহুকাল কৃত্য ও শিল্প-বিবর্জিত বর্বর বলে ভেবে এসেছে। বত্রিশ হাজার দূরের কথা, মাত্র বার হাজার বছর আগেও যে প্রাগৈতিহাসিক মানুষের অভিজ্ঞতা শিল্পবোধে সিক্ত ছিল একথা বিশ শতকের গোড়াতেও মানতে চাননি বিজ্ঞানীরা। তাদেরকে বোঝানোর জন্য যথেষ্ট প্রমাণপত্রও ছিল না। প্রাগৈতিহাসিক মানুষের পক্ষ থেকে জীবন্ত প্রমাণ রূপে হাজির হলো আলতামিরার গুহাচিত্রগুলো।

এক অবাক বিস্ময় খেলা করে গেল আধুনিক পৃথিবীর মানুষের চোখে। একই বিস্ময় খেলা করেছিল পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়ে মারিয়ার চোখেও। বাবা মার্ক্যুইস দ্য সাউটুওলা সৌখিন প্রত্নতাত্ত্বিক। বাবার সঙ্গে আলতামিরায় গিয়েছিল মারিয়া। বাবা ব্যস্ত ছিলেন অনুসন্ধানে আর মারিয়া লণ্ঠন হাতে বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।

লণ্ঠনের আলো ছাদ স্পর্শ করলে সেদিকে তাকিয়ে ভয়ে চিত্কার করে ওঠে মারিয়া- ট্যারো, ট্যারো, ট্যারো! ষাঁড়, ষাঁড়, ষাঁড়। মার্ক্যুইস ছুটে এসে দেখলেন গুহাচিত্রের এক জীবন্ত ষাঁড় তেড়ে আসছে মারিয়ার দিকে। সেই থেক প্রাগৈতিহাসিক চিত্রকলা- গুহাচিত্র, তাদের রূপ ও রস নিয়ে তাড়া করে ফিরেছে বিস্ময় বিহবল মানুষকে। পুরো লেখাটি পড়ুন এত সব প্রামাণিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সত্ত্বেও বুর্জোয়া কাঠামোবাসী পাশ্চাত্যের লোকেরা বহু বছর দ্বিধা দ্বন্দ্ব এবং নিমরাজির ভাব কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হননি। জড়বাদীর চোখে পৃথিবীর দিকে তাকাতে গিয়ে মিথ, পুরাণ, রূপকথা আর বিশ্বাসের মতো হোমো সেপিয়েন্স মানুষের মনোমুগ্ধকর রহস্যেঘেরা শিল্পকেও 'ওয়্যাস্ট বাস্কেটে' ছুঁড়ে দিতে চেয়েছিল।

এভাবে ঈশ্বরবিহীন বিশ্বে ডারউইনবাদকে বর্ম পরানোর গুরুত্বটা অনুধাবন করতে পেরেছিল ইওরোপের বুর্জোয়া-বণিক সংস্কৃতি। কিন্তু সে উপায় আর রইলো না। গুহার অন্ধকার তিরোহিত হলে আরও কিছু বিপন্ন আঁধার, অমীমাংসা রয়ে গেল- দিবসের শেষ সূর্য শেষ প্রশ্ন উচ্চারিল পশ্চিম সাগর তীরে নিস্তব্ধ সন্ধ্যায় কে তুমি? মেলেনি উত্তর। ** পুরো লেখাটি পড়ুন *এই লেখাটি ১৯৯৯ সালের ১৪ জুলাই প্রকাশিত হয়েছিল। ** রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।