কলিকাল
এই সময়ের প্রেমে ছিল অগ্রদূতের কাল,
গুটিকয়েক তুলেছিল প্রেম সাগরে পাল।
প্রেমের পরিনতিও ছিল খুব ভয়ানক খুব
সব জেনেও দিত তার প্রেম সাগরে ডুব।
যোগাযোগে ডাক ছিলনা, ফোন ছিলনা তবু
তারপরেও প্রেমে তারা হয়নি হতাশ কভূ।
প্রেমিক ছিল প্রেমিকাদের বাড়ীর পাশাপাশি,
সুযোগ বুঝে মধুর সুরে বাজিয়ে দিত বাশি।
বাশির সুরে প্রেমিকাটার হৃদয়ে ধিক ধিক
সুর শুনেই, কার বাশি তা বুঝে যেত ঠিক।
দৌড়ে যেত গাছতলাতে কিংবা পুকুর পাড়ে
মিলনের ঐ সন্ধিক্ষণে কে ঠেকায় আর কারে?
তাদের প্রেমে জীবন মরন সব একাকার মাটি
প্রেমও ছিল খুব গভীরের একশতভাগ খাটি।
অতঃপর
তারপরের ঐ সময়ে প্রেম প্রত্যাশা ও আশায়
পূর্ণ হতো অনুভূতি সবটা চিঠির ভাষায়।
চিঠিতে সব থাকতো লেখা কোথায় কখন কবে?
অতৃপ্ত এই আত্মদ্বয়ের ক্যামনে মিলন হবে?
তাদের প্রেমেই প্রথম ছিল, মান অভিমান রাগ
এতে করে প্রেম হারাতো বিশুদ্ধতার ভাগ।
গভীরতায় পড়তো ভাটা মান অভিমান করে
একশভাগে ভেজাল এস পড়ল আশির ঘরে।
ইদানিং
ইদানিং এর প্রেম চলছে রূপ বদলের কাল,
প্রেম হচ্ছে যথায়-তথায় পাচ্ছেনা ঠিক তাল।
চিঠির বদল ফোন এসেছে যুগ বদলের টানে
তার উপর ঐ মোবাইল এসে প্রেম কমেছে মানে।
ইচ্ছে হলেই হচ্ছে কথা, নেই আকুতির ধার
ফিফটি ফিফটি নেমে এলো ভালোবাসার হার।
তাছাড়া এক বিশেষ শ্রেনী ভারী হলো দলে
চামে চামে একের অধিক প্রেম যাহাদের চলে।
তাই ইদানিং পড়ল প্রেমে সন্দেহটার ঢিল
প্রেম চলছে ইচ্ছে মতো সঙ্গে গোজামিল।
তার সঙ্গে ফেসবুক আর, ঐ যে মেসেঞ্জারে
প্রেমের তরী যায় বেয়ে যায়, কে খুজে পায় কারে?
অজানা ভবিষ্যৎ
এসব দেখে ভাবিনাতো ভবিষ্যতের দিন
ভাবলে বুকে ব্যাথা বাড়ে সশব্দে চিন চিন।
মাঝে মাঝে বমি আসে, সঙ্গে মাথা ঘুরে
যাই পড়ে, তাই, থাকি প্রেমের একশত হাত দুরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।