বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
বাসে করে শাহবাগ যাচ্ছিলাম। কয়েকিদন ধরে যা গরম পড়েছে। শান্তিতে টেকা দায়। যাই হোক বহু কষ্টে বাসে চড়লাম। মানুষের আনাগোনায় বাসের পরিবেশ বেশ গরম হয়ে উঠেছে।
কারওয়ান বাজার গিয়ে বসার সুযোগ পাওয়া গেল। ও মা আমার পাশের সিটে দেখা যাচ্ছে এক রুপসী। গরমের মধ্যেও ভাগ্য এত ভালো হয় নাকি! মোটামোটি রকমের একটা টাসকি খেলাম। ঠিকমতো নড়াচড়া করতে ভয় পাচ্ছিলাম। পাশের সম্মানিত মহাদয়া আবার কখন কি মনে করেন।
চেহারার দিকে তাকাতেও ভয় পাচ্ছিলাম। মনে মনে ভাবলাম,পাশে বসে আছে একটু না তাকালে ওনি নিজেও রাগ করতে পারেন। চেয়ে দেখে মায়া লেগে গেল। এত মায়াবী চেহারা মানুষের হয় নাকি! দেখলেই কেমন জানি আপন মনে হয়। কিছুক্ষন পর অবাক হয়ে টাসকি খেলাম।
ও মা মেয়েটি দেখি নিজেই আমার সঙ্গে কথা শুরু করেছে। নাম কি,কোথায় থাকি,কিসে পড়ি...এইসব সাধারণ প্রশ্ন। নিজে প্রশ্ন করার সুযোগ পেলাম না। আফসোস নামটাও জানতে পারলাম না। বাস পৌছে গেল শাহবাগে।
বাস কন্ট্রাকদারের জ্বালাতনে বাস থেকে নামতে বাধ্য হলাম। পেছনে পড়ে থাকল মায়াময়ী রুপসী। বাস থেকে নেমে মনটা মোটামোটি রকমের খারাপ হয়ে গেল। আচ্ছা মেয়েটা এত প্রশ্ন করল মুঠোফোনের নাম্বারটা নিলে এবং দিলে কি এমন হতো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।