আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গল্প: গন্দম (পর্ব ৬)

তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে

পাঠকদের গল্পের টানাপোড়নের বিভ্রান্তি সংক্রামিত আমাদের পাত্র-পাত্রীদের মাঝেও... ঋতু জানে না কেন রাজীবের প্রতি ওর এই তীব্র আকর্ষণ, রাজীব জানে না কেন ট্যাক্সি করে হোটেলে আসার পথটা ও কেবল ঋতু আর ঋতুর ওলটপালট হয়ে যাওয়া মোবাইল নাম্বারটা নিয়েই নিজের মনে নাড়াচাড়া করলো, দীপক বুঝতেও পরলো না কেন ঋতু সারাটা পথ এক অজানা কাঠিন্যে ঠোঁট চেপে একটাও কথা না বলে ট্যাক্সিতে বসে রইলো... কেনই বা ওর হাতটা নিজের হাতে নিতে গেলে ঋতু আস্তে করে ওর হাতটা ছাড়িয়ে নিল। ঠিক এই সময় নেহায়েতই নিরসের মত আমরা চলে যাচ্ছি এক বছর আগের কিছু ঘটনায়! *** ২ মার্চ, ২০০৬ সময়: সন্ধ্যা ৭:০০-৭:৪০ অফিস - তিস্তা গ্রুপ, মহাখালী ভাইয়ার রুমে ঢুকে বসবে নাকি বসবে না সেটা নিয়ে একটা দ্বিধায় পড়ে গেল রাজীব, ভাইয়া ফোনে কথা বলছে। কথা বলতে বলতেই চোখের ইশারায় ওকে বসতে বললেন তিস্তা গ্রুপের এ.এম.ডি. সজীব রহমান। একটা চেয়ার টেনে বসে পড়লো ও। এখন বাজে প্রায় সন্ধ্যা সাতটা, সাধারণত সাড়ে ছটার মধ্যেই ও অফিস ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে, ভাইয়াও এটা জানেন, তাহলে এখন হঠাৎ রুমে জরুরী তলব কেন? আজ দুপুরে মিরপুরের স্যুয়েটার ফ্যাক্টরীতে স্যাম্পল পাঠাতে দেরি হয়ে একটা ঝামেলা হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সে সমস্যার সমাধানটাতো ও নিজেই করেছে! সেই কাহিনী তুলে এখন আবার বকা দেবার পায়তাড়া চলছে নাকি? রাজীবের বড় ভাই সজীব ওর চেয়ে মাত্র তিন বছরের বড়।

দু'জনের সম্পর্কটা প্রায় বন্ধুর মত। একটা সময়ে ছিল যখন ওদের বিনোদন মানেই ছিল মারামারি করা। বাবা-মার চিন্তার শেষ ছিল না তখন ওদের নিয়ে। এক্ষুনি হয়তো দু'জনে মারামারি-ফাটাফাটি হয়ে গেল, একটু পরেই আবার দেখা যাবে দু'জনে বসে গভীর মনোযোগে দাবা খেলছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সম্পর্কটা কেবল গাড়ই হয়েছে।

এক সাথে আড্ডা, সিনেমা দেখা কিংবা ভিডিও গেম খেলাটা এখনও তুমুন ভাবেই হয়। দুই ভাইয়ের মধ্যে সবসময় একটা অদৃশ্য টান আর পক্ষপাতিত্ব কাজ করে। ওর যে কোন ঝামেলায় ও নিঃসন্দেহে জানে ভাইয়া পাশে আছে, ভাইয়ার যে কোন সমস্যায় ও। তবুও এখন খেয়াল করে দেখেছে ভাইয়ার রুমে আসলেই ওর মাথায় নানান দুঃশিন্তা ভর করে। নর্থ সাউথে পড়ার সময় যখন ওর টাকা চাইতে ভাইয়ার কাছে আসা পড়তো তখন মনে বিন্দুমাত্র ভয় কাজ করতো না।

এটা শুরুই হয়েছে বাবার ব্যবসায় বসতে শুরু করার পর থেকে। বাবার রুমে ঢুকতে ওর সব সময়ই ভয় লাগত, সেই ভয়টা আসে বাবার প্রতি সন্তানের আজন্ম শ্রদ্ধা থেকে। ভাইয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু অন্য রকম, এখানে ভয়ের চেয়ে বেশী কাজ করে আশঙ্কা... এই বুঝি ভাইয়া ভেবে বসল ছোট ভাইটা কোন কাজের না! ভাইয়া ওকে নিয়ে কি ভাবল এটা যে কোন কিছুর কাছ থেকে ওর কাছে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ! নিজেকে নিজে প্রোবোধ দিল রাজীব, আড্ডা মারতে ডেকেছে ভাইয়া। নির্ঘাত ঈশিকা আপুর সাথে ঝগড়া হয়েছে তাই নিয়ে কথা বলবে। চার মাস হলো নর্থ সাউথ ছেড়েছে ও, কিন্তু নর্থ সাউথের সামনের আড্ডাটা এখনও ছাড়তে পারেনি।

সাড়ে সাতটার সময় নিপুন, রানা, তমাল, ফয়সালের সাথে দেখা করার কথা। আড় চোখে একবার ঘড়িটা দেখতে গিয়েই ধরা পড়ে গেল রাজীব। মাউথপিসে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলেন ভাইয়া, "কিরে? কাজ আছে তোর? দেরি হয়ে যাচ্ছে?" মেরুদ্বন্ড দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল ওর, মাথা নেড়ে "না" বলল ও। ভাইয়ার গলা বেশ সিরিয়াস, গপ্‌-সপের মুডে আছে বলে মনে হয় না। আজকের আড্ডাটা গেল।

সময় কাটাতে ফোনে কার সাথে কথা হচ্ছে সেটা আন্দাজ করার চেষ্টা করলো ও। ভাইয়ার সাথে কাজ করে এই আন্দাজ করার কাজটা বেশ ভালই শিখেছে ও। ভাইয়া বেশ চোস্ত ইংরেজীতে কথা বলছে। তার মানে বিদেশী কেউ, 'বায়ার' হবার সম্ভাবলা বেশী, কারন বেশ কয়েকবার 'রেট পার পিস' বলতে শুনল রাজীব। উপমহাদেশের কেউ হবার সম্ভাবনা কম, কারন ওদের সাথে কথা বলার সময় সবসময়ই ইংরেজীর সাথে কিছুটা বাংলা-হিন্দী মিশিয়ে দেন ভাইয়া।

এশীয়ার অন্য কোন দেশেরও হবার কথা না। কারন চীনা হোক, জাপানী হোক আর কোরীয়ান হোক, এশীয়ান মানেই বিচ্ছিরি ইংরেজী, ওদের সাথে অনেক ধীরে সহজ ইংরেজীতে কথা চালাতে হয়। ব্রিটিশ বা আমেরিকান বলেও মনে হচ্ছে না, কারন ভাইয়াকে মাঝে মাঝেই দু'একটা কথার পূণরাবৃত্তি করতে হচ্ছে। প্রথম ভাষা ইংরেজী এমন কারও কথাগুলো এক বারেই বুঝে নেবার কথা। শেষ সম্ভাবনা থাকে ইউরোপীয়ান, ওদের ইংরেজী ভাল না হলেও কথা বলতে হয় আমেরিকান অথবা ব্রিটিশ টানে।

ফোন রেখে সটান ওর দিকে তাকালেন সজীব, "আজ তোর আড্ডা দিতে যাওয়া হচ্ছে না। তোর দোস্তদের কল করে দে। " "পরে করলেও হবে" মিনমিনে গলায় বলল রাজীব, "কি হয়েছে ভাইয়া? স্যাম্পলের ঝামেলাটা কিন্তু মিটে গেছে!" "কোন স্যাম্পল?" অবাক গলায় জিজ্ঞেস করলেন সজীব, পরক্ষণেই ধরতে পেরে মাছি তাড়াবার মত ভঙ্গী করলেন তিনি, "আরে ধুর, ওটা আমি আগেই শুনেছি। তোকে ডেকেছি অন্য কারনে। কথা বলছিলাম মার্সেলের সাথে, ওর কথা মনে আছে তোর?" মুচকি হাসলো রাজীব, মার্সেল জার্মানীর বায়ার।

একটা বড় বহজাগতিক পোষাক কোম্পানীর মিডলম্যান হিসেবে কাজ করে। ওর কাজই হলো সস্তায় মাল কিনে ওর কোম্পানীকে সাপ্লাই দেয়া। ও যত সস্তায় মাল কিনবে ততই ওর লাভ, কারন ওর কোম্পানী ওকে একটা নির্দিষ্ট দামই পরিষোধ করবে দিন শেষে। কয়েক দিন আগেই ওদের ফ্যাক্টরীতে এসেছিল, উইন্টার এন্ডিং ধরতে হালকা স্যুয়েটারের অর্ডার দিতে চায়। "মার্সেল ওদের কাজটা আমাদেরকেই দিতে চাচ্ছে, কিন্তু পিস প্রতি বলছে ১৫, আমি বলেছি ২০ এর কমে সম্ভব না।

ফাইনাল কথা বলতে আজ গলফে ডেকেছে। " অবাক হলো রাজীব, "গলফে না আজ ভুঁইয়া সাহেবের পার্টি?" হাঃ হাঃ করে হেসে উঠলেন সজীব, "আরে এইটাই তো মজা! ভুইয়া সাহেবের সাথে গত বছরের ঝামেলাটার কথা বলেছিলাম না তোকে মনে আছে?" মাথা নাড়লো রাজীব, ভালমতই মনে আছে ওর, আমেরিকান একটা কোম্পানি ৫০% কাজ ওদের আর ৫০% কাজ ভুইয়াকে দিয়েছিলেন। পরে দু' ফ্যাক্টরীর কাজ মিলিয়ে দেখে কোম্পানী আর পরের ডিলটা ভুইয়াকে দেয়নি। ওদের কোনই দোষই নেই কিন্তু ভুঁইয়া সাহেব সব সময় এর জন্য ওদেরকেই দোষ দিয়ে এসেছেন। সেই থেকে ঝামেলার শুরু।

এই ব্যবসা জিনিসটা খুবই মজার, এইযে এত ঝামেলা দুই গ্রুপে, তবুও যে কোন অনুষ্ঠানে একে অন্যকে নিয়ম বেঁধে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। আজ ভুঁইয়া সাহেবের ২৫তম বিবাহ বার্ষিকির নিমন্ত্রণ কার্ডটা সেই এক হপ্তা আগেই অফিসে জমা পড়েছে। নিয়ম মতে অফিস থেকে দামী একটা গিফট্‌ ওখানে পৌঁছে যাবার কথা। "ভুঁইয়া সাহেব আজ মার্সেলকেও নিমন্ত্রণ করেছেন। সেখানে তাঁরাও ডিলটা বাগানোর চেষ্টা করবেন।

ভুঁইয়া সাহেব নাকি মার্সেলকে বলেছেন আজ ওখানে এক সাথে বসে তিন পার্টি মিলে আলোচলা হোক। ভুঁইয়া সাহেব ভালো মতই জানেন উনার পার্টিতে আমি অথবা বাবা কেউ যাব না। মার্সেলের তো আর সেটা জানা নেই। আর আমিও কিছু বলিনি, এ ধরনের ছেলেমানুষি কোন্দল আমি বাইরে বলা পছন্দ করি না, এতে রেপুটেশন কমে বই বাড়ে না। " ভাইয়ার দূরাভিসন্ধী বুঝে গেল ও, গলায় ঝাঁঝ এনে বলল, "দেখ ভাইয়া, এটা মোটেই ঠিক না, তোমরা যাবে না ঠিক আছে, আমি কেন যাব!" "আরে বোকা, যেয়ে দেখই না।

ইচ্ছার বিরুদ্ধে এমন কত কাজ আমাদেরকে ব্যবসার খাতিরে করতে হয়। আর তোকে একটা গোপন কথা বলি, আমার ইচ্ছা ভুঁইয়া সাহেবের সাথে ঝামেলাটা মিটিয়ে ফেলার। আমার ব্যক্তিগত ভাবে উনাকে চমৎকার লাগে। প্রথম যখন বাবার ব্যবসায় ঢুকেছি, একবার ব্যাঙ্কে গিয়ে কি সমস্যা! আমি যে চেক এনেছি সে অ্যাকাউন্টে নেই টাকা! ব্যাঙ্কের ম্যানেজার আবার তখন আমাকে চেনেন না, বলেন, 'আপনার বাবাকে কল দেন... উনার সাথে কথা বলি!' তখন বাবাকে কল দেয়া সম্ভব বল? বাবা একটা কথাই বলবেন, 'এম.বি.এ করে এই শিখেছ!' এদিকে আমার পঞ্চাশ হাজার টাকা দরকার তক্ষুনি। সে সময় ভুঁইয়া সাহেবও ম্যানেজারের রুমে, তিনি কি বুঝলেন কি জানে কোন কথা না বলে একটানে পঞ্চাশ হাজারের একটা চেক লিখে দিলেন।

বললেন, 'ম্যানেজার আমার অ্যাকাউন্ট নাম্বার জানেন, কাল টাকা জমা না পড়লে আমি কিন্তু রহমান সাহেবকে কল দেব!" এ ঘটনা জানা ছিল না রাজীবের। "শোন, তুই না গেলে ভুঁইয়া সাহেব পুরো ডিলটাই নিয়ে নেবেন, আর তুই গেলে তাঁর চেষ্টা থাকবে ৩০ থেকে ৫০ ভাগ কাজ হাতিয়ে নেবার। আমার তাতে কোন আপত্তি নেই। আমরা আমেরিকার কাজ গুলো নিয়ে এমনিতেই ব্যস্ত, মেশিন গুলোও সব রানিং। জার্মানীর কাজটা পেলে সেটা হবে উপড়ি।

" অসোন্তোষ নিয়ে গুম হয়ে বসে থাকলো রাজীব, বোঝাই যাচ্ছে ভাইয়ার ডিসিশন নেয়া হয়ে গেছে, এখন তর্ক করে লাভ নেই। ওর মনে ক্ষীণ সন্দেহ হচ্ছে কাজটা ওকে দেয়া হচ্ছে ওকে পরীক্ষা করার জন্য। এমন একটা জায়গায় পাঠানো হচ্ছে যেখানে হারাবার কিছু নেই। ব্যাপারটা অনেকটা এমন - যদি কিছু করতে পার তাহলে বোঝা যাবে তোমাকে দিয়ে 'ডিল ক্লোজ' করা হবে, আর না পারলে তুমি এখনও তৈরী না... আরও কিছু দিন ভাইয়া-বাবার সাথে সাথে খাতা-বই নিয়ে ঘোরাঘুরি কর। "এখন সোজা তোর রুমে চলে যা।

ম্যানেজার চাচাকে কিছু ফাইল তোর টেবিলে দিতে বলেছি, একটু চোখ বুলিয়ে নে। আটটার দিকে রওনা দিয়ে দিস!" "ওকে!" "আরেকটা জিনিস, যখন রেট নিয়ে কথা হবে তখন কিন্তু তোকে আর ভুঁইয়া সাহেবকে এক সাথে কাজ করতে হবে। চোখ-কান খোলা রাখিস। আমরা সতেরোর নিচে পারবো না। আমার মনে হয়না ভুঁইয়া সাহেবও এর নিচে যেতে পারবেন।

যদি যান, তাহলে কনগ্রাচুলেট করে চলে আসিস, ওকে?" "ওকে!" "আর শায়খ রহমান ধরা পড়েছে জানিস?" হঠাৎ বিষয়ের পরিবর্তনে কথাটা ঠিক ধরতে পারলো না রাজীব, "হুম্‌?" "জে.এম.বি.র আমির, শায়খ রহমান... ধরা পড়েছে!" "ওহ্‌ হ্যাঁ, টি.ভি রিপোর্ট দেখলাম। " অবাক হলেন সজীব, "টি.ভি রিপোর্ট? তোর রুমে টি.ভি. লাগিয়েছেন নাকি বাবা?" কান লাল হয়ে রাজীবের, "ইয়ে... না... মানে... কমপিউটারে... টি.ভি. কার্ড..." ট্রেড মার্কড মাছি তাড়াবার ভঙ্গী করলেন ভাইয়া, "বুঝেছি! যাহ্‌ এখন... আর শোন, যাবার আগে ভুঁইয়া সাহেবের গিফট্‌টা নিয়ে যাস্‌!" নিজের রুমে ঢুকে নিজেকে নিজের চড় মারতে ইচ্ছে করলো ওর। কি পরিমান গর্ধভ হলে টি.ভি. কার্ডের কথাটা মুখে চলে আসে। দরজা খুলে একটা ফাইল নিয়ে ঢুকলেন ম্যানেজার চাচা। চিরকুমার মানুষ, পনের বছর হলো ওদের সাথেই আছেন, সজীব-রাজীবকে নিজের ছেলের মতই স্নেহ করেন তিনি, "রাজু, ৩ থেকে ৫ নম্বর পাতা গুলো কিন্তু ভালো মত পড়তে হবে।

গিফ্‌ট আর ইনভাইটেশন কার্ড তোমার গাড়িতে রাখা আছে!" বাবার পরে অফিসের একমাত্র তিনিই সজীব-রাজীবকে সাজু আর রাজু বলে ডাকার অধিকার রাখেন। "আচ্ছা!" চাচা বেড়িয়ে যেতেই মোবাইল বেজে উঠলো ওর, ফয়সাল নিঃসন্দেহে! কে কল করেছে না দেখেই কল রিসিভ করলো ও, "দোস্ত, আজ আর আইতে পারুম না রে। বিশাল ক্যাচালে পড়ছি!" © অমিত আহমেদ (চলবে) গন্দম - পর্ব ১ গন্দম - পর্ব ২ গন্দম - পর্ব ৩ গন্দম - পর্ব ৪ গন্দম - পর্ব ৫ বি.দ্র. এক প্রজেক্টের কাজ শেষ হতে না হতেই আরেকটা কাজে হাত দিতে হলো। তবে প্রেশারটা অনেক কমেছে। "গন্দম" এখন থেকে আবার নিয়মিত আসবে আশা রাখি।

যাঁরা অধমের লেখার জন্য অপেক্ষা করেছেন তাঁদেরকে সহস্র প্রনাম! ধন্যবাদ!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.