আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রলীগের খেলার বলী...শিশু রাব্বি হত্যা কে কিভাবে যুক্তিসংগত করা যেতে পারেঃ

হতাশা আর দু;খ ব্যাথা যাদের দেখে থমকে দাঁড়ায় আজকে তাদের খুব প্রয়োজন, বিশ্ব এসে দু হাত বাড়ায়। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধের মধ্যে পড়ে মারা গেছে দশ বছরের শিশু রাব্বি। এটা নিয়ে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের অতন্ত্র প্রহরী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সোল এজেন্ট ছাত্রলীগের চরিত্র হননের কাজে নেমে পড়েছেন। কিন্তু কাউকে দোষী বলবার আগে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দেয়া জরূরী। তাই তাদের পক্ষ থেকে কি কি যুক্তি দেয়া দেতে পারে সেটা দেখে নেইঃ এই ছেলে বড় হয়ে শিবির করত।

আর শিবির নিধন ছাত্রলীগের মহান দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়ে। খুজলে হয়ত দেখা যেব এই ছেলের চাচাত মামার সমন্দীর বড়ছেলের ঘনিষ্ট বন্ধু শিবিরের সমর্থক ফরম পুরন করেছে। কাজেই সেও শিবিরের সাথে যুক্ত, তাকে মারলে দোষের কিছু নাই। দেশে এখন যুদ্ধাবস্থা চলছে। যে কোন সময় যুদ্ধাপরাধের রায় হবে আর রায় হলে জামাত-শিবির মাঠে নেমে নৈরাজ্য করবে।

তাদের মোকাবেলায় ছাত্রলীগ প্রতিনিয়ত মহড়া চালাচ্ছে। এই অবস্থায় দু-একটা ফ্রেন্ডলি ফায়ারের ঘটনা ঘটতেই পারে। দেশ ও জাতি বৃহত্তর স্বার্থে তা আমাদের মেনে নিতে হবে। আপনি যদি ভাগ্যে বিশ্বাসী হন, তাহলে মানতেই হবে আল্লাহ তার মৃত্য ওভাবেই লিখে রেখেছিলেন। এখানে ছাত্রলীগ শুধু অছিলা মাত্র।

এই মৃত্যুর দায় তাদের উপর বর্তায় না। ও ছিল ছোট বাচ্চা, মানুষ আর কুকুরের মধ্যে পার্থক্য করতে শিখেনি, তাই ভুল সময়ে ভুল জায়গায় যেয়ে দাড়িয়েছিল...ঠিক বিশ্বজিতের মত। দোষ যদি কারো হয় সে তার বাবা-মা। সে সময় বাচ্চাটির স্কুলে যাওয়ার কথা। তাকে তারা ভারসিটির মাঠে পাঠালো কেন? আমাদের ভুতপুর্ব এক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া বাণীঃ আলাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছেন।

হুদায় পেচাল পাইড়া লাভ কি? বরং নিজে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন যে ছাত্রলিগের বন্দুকের গুলি আপনার দিকে আসেনি। শিশু রাব্বি হত্যা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কিছু বলেছেন কি? তার মানে এখানে মানবাধিকারের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। তবে আপনার বিবেক যদি আপনাকে দংশিত করে, আপনার মন যদি বেদনার্ত হয় তবে আপনার প্রতি পরামর্শ এখনই ডাক্তার দেখিয়ে মন কে শক্ত করুন। বিশ্বজিতের পর রাব্বি......লিস্টের পরের নাম দেখতে মনে হয় না খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে, কারণ এখন ওদের কার্তিক মাস চলছে, এটা ওদের মৌসুম, ওরা কামড় দিয়ে যাবে।

জয়তু ছাত্রলীগ, তোমরা না থাকলে উন্নয়নের এই সুবর্ণ যুগ আমরা দেখতে পেতাম না। তোমাদের কর্মকান্ড দেখে আমাদের চক্ষু –কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন হইল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.