সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
জাফর আবার হরিদাস পালের কথা মনে করায়া দিল। ৩২৭ নম্বর রুমে আমরা থাকি তখন তিনজন। আমি, সোহেইল জাফর ও শুভাশিস সিনহা। সিনহা জাহাঙ্গীরনগর থেকে ঢাকা গেলে বিস্কুট, বই আর পত্রপত্রিকা নিয়া যাইতো।
বিস্কুট খাইতে খাইতে আমরা পত্রিকা দেখতাম। এর মধ্যে একদিন নিয়া গেল ঐতিহ্য নামে এক পত্রিকা। ঐতিহ্য না কি যে নাম। ছয়সাত বছর আগের কথাও দেখি ঠিকঠাক মনে পড়ে না! ওই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন আবদেল মান্নান।
সিনহার কাছ থেকে পত্রিকা নিয়া দেখতেছি আর পড়তেছি।
হঠাৎ হরিদাস পালের কবিতাটা বেশ ভাল লেগে গেল। জাফর দেখলো। ওরও ভাল লাগলো। এখন এত ভাল একটা কবিতা এটাকে তো বিখ্যাত করতে হবে। কী করা যায়।
রাতের বেলা প্রতিরাতের অভ্যাস মতো পাভেল পার্থ ও অন্য বন্ধুরা আসতে থাকলো। আমাদের রুমে পোস্টার লেখার কাগজ ও সাইন পেন মজুদ থাকতো। বললাম, পার্থ তুই কবিতাটা লিখে দে। পার্থ সুন্দর করে লিখলো। পরের দিন একটু আলো থাকতে থাকতে প্রান্তিকের মাসুদদের হোটেলে গিয়ে কবিতাটা সাঁটিয়ে দিয়ে এলাম।
সন্ধ্যার পর আমরা প্রান্তিকে পৌঁছে দেখি কবিতাটা নিয়ে খুব আলাপ চলতেছে। কে লাগাইলো কী উদ্দেশ্যে লাগাইলো এইসব। আমরা বললাম, এইটার তো একটা বিহিত করা লাগে। কিন্তু কবিতাটা দিয়া কী বুঝাইতে চাইছে সেটা আগে বোঝা দরকার। হরিদাস পাল বলতে কারে বুঝাইতে চাইছে?
শুরু হলো ভোটাভুটি।
স্বতঃস্ফূর্ত ভোট পড়তে থাকলো। আমাদের এক শত্রু পাইলো ২৮ ভোট। সে বেশি ভোট পেয়ে হরিদাস পাল নির্বাচিত হইলো। ২৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হরিদাস নির্বাচিত হলো আরেকজন। আমাদের চশমা নাই, তারপরও আমরা একটা দুইটা করে ভোট পেলাম।
যে হরিদাস পাল নির্বাচিত হইলো সে পরের দিন প্রান্তিকে একটা বিনয় মজুমদারের কবিতা টাঙায়া দিয়া আসলো। মিনিমাইজ করার চেষ্টা আর কি।
পরে চিটাগাঙ্গ-এর এক কবির কাছে শুনেছিলাম, জ্যোতির্ময় নাকি ওই নগরের এক বিশিষ্ট সিভিল সোসাইটিকে উদ্দেশ্য করে কবিতাটা লিখছিলেন।
ভাল। তাহলে সর্বত্র হরিদাস পাল আছে।
সর্বত্র হরিদাস পাল কিছু কিছু ছড়ানো রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।