বড্ড ক্লান্ত লাগছে
দীর্ঘশ্বাসের হিমস্তব্ধতার মতো,
ফোটা ফোটা জলপতনের ধীরশব্দের মতো। ...
মনের ভিতর ভাংচে আর গড়ছে
ইটচাপা বিষন্ন ঘাসের মতো।
এই দোলাচাল চলছে অবিরাম।
খুব ভরপুর ভালোবাসতে ইচ্ছে করে,
কিন্তু ভালোবাসতে চাইলেই কি ভালোবাসা যায়?
একবার স্বেচ্ছায় আমরা মুখোমুখি হয়েছিলাম
পরস্পর একে অপরকে দেখেছি,
কিন্তু প্রত্যেকেই নিজেদের চোখে দেখেছি
অপরিসীম ঘৃণা, ভয়াবহ নিসঙ্গতা, বিষন্ন একাকীত্ব, ভীষন অচেনা।
সেই থেকে খুব নিসঙ্গ
নিশ্চুপ মৃতদেহের মতো,
সেই থেকে বহুদিন একা একা
ঝরে পড়া পাতার মতো,
বনভূমির পুরনো বুড়ো গাছের মতো।
সেই থেকে রোজ অফিসে যাই, খাই, বাসায় ফিরি
কিন্তু সবকিছু মড়চে পড়া লোহার মতো জঞ্জাল, অকেজো।
কাক ডাকা দুপুরের মতো অশুভ।
সেই থেকে জলভরা চোখ, ওজনপুর্ন বিষন্নবোধ, নিরাপত্তাহীন ভবিষ্যত
আমার প্রতিদিনের চিত্র।
তবুও ভালবাসি, তাই, দীর্ঘযাত্রার গভীর শোকের উচ্চারন শেষে,
মুখস্ত মানুষটাকে খুজে বেড়াই, অপেক্ষায় থাকি।
অনেকদিন দেখেছি,
পারস্পারিক ব্যক্তিগত আলাপে আমরা পরস্পর নিজেদের চিনতে পারি না।
বিবাদে জড়িয়ে পড়ি
দুজন কাছাকাছি নক্ষেত্রের থেকেও দূরে চলে যাই।
এভাবে একে একে সব গেছে
এখন থেকে ঠোট থেকে ঠোটে চুমোটাও বিস্বাধ, অন্যায়।
আসলে আমার জাতটাই খারাপ
আমিই খারাপ
ঘুরে ফিরে একই কথা বলি
একই আবেগ প্রকাশ করি,
ক্রমাগত বারংবার একই আলাপন অসহ্য লাগছে
দ্বিধাগ্রস্থ স্বপ্ন, সম্পর্ক থেকে মুক্তি চাই মুক্তি চাই।
নারী, তুমি কোন হৃদয় বুঝতে পারো।
আমি জানি সম্পর্কের উন্নতির মন্ত্র-
বদলাবো, তুমিও কিছুটা বদলাও।
নারী, এখনও শুন্যতার মাঝে আশায় থাকি,
ঠিক দেখে নিও
ফেরার সময় হলে
আবেগহীন, বাস্তবতায়, হাসতে হাসতে
জমকালো সংবর্ধনায়
যে যার গন্তব্যে চলে যাবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।