আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মেড ইন বাংলাদেশ

সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com

মেলাদিন আগে আলিশার একটা গান খুব বিখ্যাত হয়েছিল। মেড ইন ইনডিয়া। মেড ইন বাংলাদেশ নামটা শুনে প্রথমবার আলিশার কথাই মনে পড়েছিল। যাই হোক সিনেমাটা কোনো জাতীয়তাবাদী প্রকল্পে পর্যবসিত হয় নাই।

বহুত সুখের কথা। গত কোরবানীর ঈদের দিন চ্যানেল আইতে মেড ইন বাংলাদেশ দেখাইতেছিল। বিভিন্ন বাসায় দাওয়াত খাইতে খাইতে দেখতেছিলাম সিনেমাটা। কিন্তু বিজ্ঞাপনের বাহারে মেড ইন বাংলাদেশকে মোটামুটি পাতাবাহারের মতো লাগতেছিল। তবে যা বোঝার বুঝে নিয়েছি।

সিনেমাটার প্রথম প্রিমিয়ার শোর আগে মেলা শোরগোল হয়েছিল। আউলা বিজ্ঞাপন, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্রের দেরী এইসব নিয়ে। ব্যাচেলর জ্বরের পর এই সিনেমা লোকে হলে, টিভিতে, ডিভিডিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে দেখবে সেটাই স্বাভাবিক। সেরকমই হয়েছে। কিন্তু ব্যাচেলরের মতো এইটার কোনো লঙ টার্ম ইমপ্যাক্ট খেয়াল করলাম না।

কেন সেটা হলো? আর সিনেমাটার পুরোটাতে কি আছে এইটা জানতে ডিভিডিতে দেখলাম সিনেমাটা। ব্লগে কেউ একজন লিখেছিলেন মেড ইন বাংলাদেশ নিয়ে। এখন খুঁজে পাচ্ছি না। ফলে তিনি এই সিনেমায় হলিউডের কোন সিনেমার প্রভাব আছে বলেছিলেন তার রেফারেন্সও দিতে পারছি না। পরে শুনলাম একটা হিন্দি সিনেমার প্রভাবও নাকি আছে।

আমি দেখি নাই সিনেমা দুইটা। অতএব প্রভাব বিষয়ে আপাতত চুপ থাকছি। গল্পের দুইভাগ। একভাগে বেকার খোরশেদের বৌদি প্রেম। জানালা কাহিনী।

দ্বিতীয় অংশে জিম্মি ঘটনা। দুইটা ভিন্ন নাটক। বারবার মনে হচ্ছিল তেলে জলে মিশ খাচ্ছে না। ডিভিডিতে ইন্টারন্যাশনাল ভার্সন দেখলাম। প্রথম অংশ পুরো ছেঁটে দেয়া হয়েছে।

তবে কি বাঙ্গালকে বৌদির হাইকোর্ট দেখানোর জন্যই এই অনর্থক প্রথম অংশ? দ্বিতীয় অংশটা জমজমাট। হেভি শিক্ষণীয়। বন্দুকের ক্ষমতা নিয়ে মাও তেকে ফুকো সবই কপচানোর উদ্যোগ আছে। শুধু ভাশুরের নাম নেয়া হয়নি। কত কাজের কথা বলা হয়েছে।

ফারুকীকে আমার মনে হয়েছিল আরও আউলা। উনি যে এত শিক্ষণীয় ছবি করতে পারেন সেটা বুঝতে পারিনি। আর চিন্তা ভাবনাগুলাও মোটামুটি সিভিল সোসাইটি মার্কা। আনিসুল হক প্রবাহিত হইতে পারে। বাকী থাকলো খোরশেদ আলমের দাবি দাওয়া।

দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সমর্থনে এই তততাবধায়ক সরকার এসে খোরশেদ আলমের দাবি পূরণ করেছে। অনেকগুলাই। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী হলেন সিভিল সোসাইটির উইয়ার্ড ভার্সন। তার পক্ষে রাগী পরিচালকের ভঙ্গি সম্ভব বটে। লেকনি পুরা নেহি।

আধুরা। থোড়া পাগলামি ছে বিজনেস জরুর হোতা হ্যায় লেকিন পাগলামি নেহি। সরয়ার ফারুকীর সিভিলাইজেশন হয়ে গেছে। মানে সুশীলায়ন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।