তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
শালার ওয়েদারের মায়েরে.. (খাইয়ালামু) । সামার দেখে সব ভারী কাপড়গুলো প্যাকিং করে এখন আবার মনে হয় এখন বের করতে হবে। সকালে এতো ঠান্ডা আর দুপুর হইতেই তাপমাত্রা ২৬/২৭ ডিগ্রী। দিন রাত হাঁচি।
ফুলের রেনুতে আবার এলার্জি ।
গত সপ্তাহে ৪দিন ছুটি ছিল। কিভাবে যে কেটে গেলো। এরমধ্যে ছোটবোনের জন্মদিন। সবকিছুর আবদার আমার কাছে।
আমিও জানি উনার দৌড় কতোটুকু। জন্মদিনে শপিং সেন্টারে নিয়ে বল্রাম যা খুশি কিনে নাও। সবকিছু দেখে উনি একটা সাধারন কানের দুল পছন্দ করছেন। ২দিন টানা সপিং,২ টা পার্টি, ১টা বি.বি.কিউ, একদিন রেষ্ট। এই মাসে ও বেশ কয়েকটা ছুটি আছে।
পরের মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটিহীন ।
অফিসের অবস্হা বেশ ভালো যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত প্রজেক্টে খুব একটা কাজ হয় নাই। আগামী মাসে আউটপুট দেখাতে হবে হয়ত। বছরের ছুটিও এখন পর্যন্ত সিলেক্ট করতে পারিনি।
দেশে যাওয়ার প্লানও আপাতত ভেস্তে। বড় অফিসের কিছু সুবিধা যেমন আছে তেমনি অসুবিধাও অনেক। যা খুশি করো। প্রত্যেকদিন এসে খোজ নেওয়ার লোক নেই। শুধু সময়মতো আউটপুট দিলেই বস খোশ।
সারাক্ষন অফিসেই কাজ। বাইরে যাওয়ার কোন তাড়া নেই। যদিও বস কয়েকদিন পরপর বলে অন্য ব্রাঞ্চ থেকে কিছু কাজ দেখে আসতে। আমি বলি VNC দিয়েই তো কাজ সারা যায়। শুধু শুধু টাকার অপচয় করে লাভ কি ? আসলে এইসব ঘুরাঘুরি ভালো লাগে না।
অফিস শুধু যাওয়া আসার টাকা দিবে। ঘুরতে হলে অফিস আওয়ার কামাই করে নিজের খরচে। আজকে বস দেখলাম টেলিফোন, মোবাইল সবকিছু আছাড় দিতেছে। অবস্হা বেগতিক দেখে লাঞ্চে জিঙ্গাসা করলাম। বলে- কর্পোরেশনের ভিতরে একটা ডিভাইস অর্ডার দিয়েছে।
আসতে সময় লাগবে ১৯ সপ্তাহ। ততদিনে প্রজেক্ট শেষ। এইমাসে প্রোডাক্ট ডেলিভারী না দিতে পারলে পেনাল্টি ৪০০০ ইউরো/ডে। সুইডিস প্রজেক্ট। মহা ঝামেলা।
দিন অনেক লম্বা। ধীরে ধীরে আরও লম্বা হবে। ঘুমটাই যতো নষ্টের মূল। এশার নামায পড়ে ঘুমুতে ঘুমুতে রাত ১২টা। আবার সেই ৫/৫:৩০ উঠতে হয়।
লাঞ্চের পর শরীর কাপিয়ে যে ঘুমটা আসে। ব্লাক কফিতে ও কাজ হয় না। অফিস থেক ফিরেই গপগপ করে খাওয়া। পেছন থেক ছোট বোনের টিটকারী- 'ভাইয়া তুমি মোটা হয়ে যাচ্ছো। জিমে যাও'।
ধমক দিয়ে বলি-চুপ করো। তুমি তো পিজ্জা আর ম্যাক খেয়ে আমার থেকেও বেশি মুটি। ব্যস, শুরু হলো ঝগড়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।