মাইয়াডা বদ্ধ পাগল! এক্কেবারে উন্মাদ!!!
দয়া মায়া, করুণা আমার খুব একটা আসে না। তাই, করুণা না কইরাই কই, এইরম বদ্ধ উন্মাদ আমি দ্বিতীয়ডা দেখি নাই। চিন্তা ভাবনা অসংলগ্ন। মাঝে মাঝে মনে হয়, নেশা টেশা করে মনে হয়। কখনও পুরোপুরি শিওর হয়ে যাই, নেশা না করলে এইরকম আউলা কেউ হইতে পারে না।
নেশা তো সে অবশ্যই করে, তয় কফসিরাপ, ডাইল, ফাইল খায় না, গাঞ্জাও খায় না।
কী বললেন, হেরোইন?
আমার মনে হয় না। আমার মনে হয়, মাইয়াডা কবিতার নেশা করে।
বিশ্বাস করলেন না তো?
জানি করবেন না। আপনারা চরম অবিশ্বাসী রে ভাই! প্রেমিকারে বিশ্বাস করেন না, গভমেন্টরে বিশ্বাস করেন না, জলপাই মামুগো বিশ্বাস করেন না, ঈশ্বর বিশ্বাস করেন না।
আপনাগো দিয়া কিছু হইব না!
আমি আবার সবকিছু বিশ্বাস করি এবং যা বিশ্বাস করি, মন থেকেই করি।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, রাগ ইমনের মাথায় সমস্যা আছে। সমস্যাটা তৈরী হইছে কবিতার নেশায়।
নাইলে, জ্বরের ঘোরে স্বপ্নভূখ মাইনষের মত অমন রাত জাইগা কেউ লিখবার পারে, 'কামসূত্র শিখতে চাই?'
মেয়েটা আবার বিশ্বপ্রেমিক। অন্তত: অনেকে তাই মনে করে।
আমি তো ব্যাপারটার মধ্যে খারাপ কিছু দেখি না। আমার মইধ্যে যেদিন প্রেম শেষ হইয়া যাইব, সেইদিন তো আমি শ্যাষ (হাসান ভাই আর মারজুক এর মত কইলাম)।
আর বিশ্বপ্রেমিক হইলে, 'আলিঙ্গনে এসো, বৃষ্টির ছাদে দাঁড়িয়ে পূর্ণিমা দেখি' র মত কবিতা যদি লেখা যায় তাহলে আমি এই জনম, পরের জনম, তার পরের শত শত জনম বিশ্বপ্রেমিক হইয়াই থাকব। সমস্যার কিছু দেহি না।
ভাল লাগল না আমার কথা? ঠিক আছে, ঐ কবিতার কয়েকটা লাইন তুইলা দেই।
ভাল লাগবোই। লাগবা বাজী?
'মহাকালের পাখা যখন নিরব সমাহিত,
ফোটা ফোটা আকাশ পীযূষ ঝরছে রাতের বুকে
তোমার অধর আমার ঠোঁটে রেখো সমর্পিত। '
ভয়ংকর কবিতাও আছে - 'এখনও তুমি পাড় মাতাল'।
তয় মাইয়াডা মাঝে মইধ্যে মনে হয়, মাথায় তেল দেয় । তখন কয়েকঘন্টা মাথাডা একটু ঠাণ্ডা থাকে।
তখন সে লেখে - 'অরূপ ও মাশীদকে : ছন্দ যাদের সাতরায় রক্ত, আমিও ওদের ভক্ত। '
উথাল পাথাল প্রেমে মনে হয় একবার পড়ছিল। তখন একটা লেখা লিখছিল : 'ভালবাসার চাদর। '
লেখাটা পইড়া অনেকক্ষণ কাঠ হয়ে চেয়ারে বইসা ছিলাম। নড়তে চড়তে পারি নাই।
কিছু ভাবতেও পারি নাই। এইরম কইরা কেমনে মাইনষে ল্যাখে - এইডা ভাবতে ভাবতেই দিন পার হইছিল।
সেই উথাল পাথাল প্রেম মনে হয় কয়দিন পরে ভাইঙ্গা যায়।
তখন কী কষ্ট নিয়া, চোখভর্তি জল নিয়া সে ল্যাখে : 'আমাকেই আমি ধারণ করি না। '
কবিতাডা পইড়া ইমনের জন্য একটুও কষ্ট হয় না।
কষ্ট হয় পোলাডার জন্য। আহারে বেচারা! জানে না, কী জিনিস হারাইল!!!
তয় মাইয়াডা একেবারে পোলাপাইন। প্রোফাইলে যে বয়স সে লিখত, তার ধারেকাছেও বয়স না। নয়তো - 'আপনারাই কন, আমি কী মুখোশ খুলে দেব?' - এই লেখা লিখতে পারে? লিখলেও কমেন্ট করার সময় একটু বুঝে শুনে করবে না। ব্লগের যারা পুরনো- তাগো আজাইরা খ্যাপাইয়া দিল!!!
ইমনরে কী আর কমু? কিছুই বাকি রাখি নাই।
ওর তারছিড়া, স্ক্রু ঢিলা। ও ফাউল, পুরা ফাউল।
'কী কইলেন?'
ও আচ্ছা, এই তারছিড়া মাইয়ডার মুগ্ধ পাঠক আমি ক্যামনে হইলাম, এইডাই তো আপনাগো প্রশ্ন।
আছে, কারণ আছে:
আমি পাগল হইয়া মাইনষের পায়ের কাছে বইসা থাকি, তাগো ভেতরের পাগলডারে দেখব বইলা , যখন দেখি তখন মুগ্ধ হই।
আমি এইরকম!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।