এলোমেলো
অফিসে আসা এখন রীতিমত ঝক্কির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুলশান এভিনিউতে রিকশা বন্ধের পর সিএনজি আর ক্যাবওয়াদের দাম যেন আরো বেড়ে গেছে। শুধু তাই না, কাছে কোথাও যাওয়া বা সন্ধ্যার পর কোন প্রোগ্রাম এটেন্ড করাও এক বিপদ। আমি বাসে পারতপক্ষে চড়তে পারি না। একঘন্টা লাইনে দাঁড়াও, তারউপর ধাক্কা খাও।
মোটকথা পাবলিক ট্রান্সপোর্টের উপর ভরসা করলে কোথাও কোন এপয়েন্টমেন্ট টাইমলি রক্ষা করা সম্ভব না। আর এতো কষ্ট করে কোথাও যাওয়ার পর চেহারার যা হাল হয় তা দেখার মতো না।
কোন এক কালে নাকি আমাদের গাড়ি কেনা হয়েছিল। ’৭৩-তে আব্বু ইংল্যান্ড থেকে এক কার কিনে এনেছিল। কিন্তু দেশে ফেরে অবস্থা দেখে পোর্টেই তা বিক্রি করে দেয়।
হাইজ্যাক হওয়ার চেয়ে বিক্রি করাই তার ভালো মনে হয়েছে। আর কখনো আমাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য গাড়ি কেনা হয়নি। ইদানীং প্রচন্ড ইচ্ছে করছে একটা গাড়ি কিনতে। গাড়ি থাকলে নিজের ইচ্ছেমতো ছুটে বেড়াতে পারতাম। লাইফটা হতো আরো অনেক সহজ।
কিন্তু গাড়ি পোষারতো ক্ষমতা আমার নেই। সবাই উপদেশ দিচ্ছে, একটা গাড়িওয়ালা ছেলেকে বিয়ে করলেই হয়! এই স্টুপিড উপদেশ যতবার শুনি ততবার আমার মেজাজ খারাপ হয়। আর কবে আমরা নিজের উপর নির্ভরশীল হবো! হঠাৎ মনে হলো, একটা বাইক হলেও তো চলে। মেয়েদের জন্য একটা বাইক আছে- স্কুটি পেপ্ট। প্রীতি, মিনীষাকে টিভির এ্যাডে যখন চালাতে দেখি তখন ভালো লাগে জিনিসটা আসলেও খুব কিউট।
আর আমাকে মানাবেও ভালো, কারণ আমিও তো কিউট!
আম্মুকে জানালাম। আম্মু পুরো একটা বিশাল লেকচার ঝাড়ল। যার সারমর্ম- বাইক চালালে কোন ছেলেই বিয়ে করবে না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।