যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
এক নারী ব্লগারের কল্যানে গ্যাং ব্যাঙ দেখার সৌভাগ্য হলো। গ্যাংব্যাঙ মানে বোঝেন তো? না বুঝলে আপনি এ পোস্ট থেকে এখনই সাইনঅফ করেন। তো সমস্যা হচ্ছে পরিচিত অন্য দুই নারী ব্লগার সেখানে ছিলেন। আমি ভাবলাম গ্যাংব্যাঙ এখনই মনে হয় শুরু হবে। প্রস্তুতির জন্য বাথরুমে গিয়ে ঢুকলাম।
শর্মিলী নামের ব্লগার তখন রুনিকে বলছে, এই তোর সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসী কিরে? বাথরুমের উপরের দিকে একটা ভেন্টিলেটর থাকাতে আমার কান খাড়া হয়ে গেল লুকায়িত দন্ডখানির মতই। অন্য সংগীনি হচ্ছে মালা। সেও দারুণ আগ্রহে চেপে ধরলো রুনিকে, বলনা!
রুনি বলছে, শোন, আমার ইচ্ছে হচ্ছে ট্রায়োসাম!
শর্মিলী ও মালা বলে, সেটা আবার কি?
রুনি বলে, তিনজন একসাথে আমার সাথে সেক্স করবে।
দুজন শুনে মাথা চুলকায়। ভাবে কি খবিস ইচ্ছে।
দেখে তো মনে হয় একটাও কলা খেতে জানে না। রুনি এবার মালাকে জিজ্ঞেস করে, তোর কি ফ্যান্টাসী বল!
মালা মুখ খোলে। আর কিছু খুলেছে কিনা দেখা সম্ভব নয়। সে বলে, ডব্লিউডব্লিউই এর রেসলারদের দেখেছিস!
অন্য দুজন বলে, দেখেছি, তারপর?
মালা বলে, ওদের সাথে সেক্স করা হচ্ছে আমার ফ্যান্টাসী।
এবার নিশ্চয় শর্মিলীর পালা।
আমি বাথরুমের ওয়ালে ছিদ্র অন্বেষণ করতে থাকি। না পেয়ে মনে হয় নিম্নাঙ্গের চাপে একটা গর্ত টরতো হয়েই যাবে!
রুনি ও মালা এবার শর্মিলীকে চেপে ধরে। শর্মিলী ব্লগে দারুন দারুন ফ্যান্টাসীর কথা লেখে। যার ভেদ বড়ই বেসম্ভব। শুরু করে তার ফ্যান্টাসী।
আমার একটা বিয়ে হবে। কিছুদিন পরে সুন্দর একটা ছেলে হবে। সে আস্তে আস্তে বড় হবে।
রুনি ও মালা বিমূঢ় হয়ে পড়ে। তুই ইনসেস্ট করবি? শর্মিলী বলে, আরে আগে শোনই না! সেই ছেলে ফুটবল খেলবে।
মস্ত প্লেয়ার হবে। জাতীয় দলে চান্স পাবে। এত ভাল খেলবে যে একাই দলকে টেনে বিশ্বকাপে নিয়ে যাবে।
মালা বলে, তোর ফ্যান্টাসীর কোন আগামাথা পাচ্ছি না। শর্মিলী থামিয়ে দিয়ে বলে, আগে শোনই না! তারপরে বিশ্বকাপে বাংলদেশে সব খেলায় জিতবে আমার ছেলের গোলে।
ফাইনালে পৌছে যাবে। ফাইনাল হবে ব্রাজিলের সাথে। বাংলাদেশ বনাম ব্রাজিল। খেলা শুরু হয়েছে। আমার ছেলে দুই গোল দিয়েছে, ওদিকে রোনালডোও দু্ই গোল দিয়েছে।
পুরো সময় শেষ। রেজাল্ট হয় নাই। টাইব্রেকারের খেলা গড়িয়েছে। ব্রাজিল পাচটাতেই গোল দিয়েছে। বাংলাদেশ চারটাতে।
লাস্ট বল। আমার ছেলের পায়ে বল।
রুনি খেকিয়ে ওঠে। কি শুরু করলি? এখানে সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসী কোথায়?
শর্মিলী বলে চলে, ভাবতো, আমার ছেলের পায়ে বল। সারাবিশ্বের কত কোটি কোটি মানুষ তখন টান টান উততেজনার মুখোমুখি।
বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ নিশ্বাস নিতে ভুলে গেছে। এইটুকু বলে শর্মিলী দম নেয়।
রুনি, মালা অধৈর্য্য হয়ে ওঠে। তারপর?
শর্মিলী বলে, আমার ছেলে কপালের ঘাম মুছে আস্তে আস্তে বলের দিকে যেতে থাকবে। কোটি কোটি মানুষের বুক ধকধক করতে থাকবে, তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশ কি ব্রাজিলকে থামিয়ে দিতে পারবে! তাদের দৃষ্টি আমার ছেলের পায়ে।
সে বলের দিকে ছুটছে। বলে শট মারলো, কিন্তু বিধিবাম! বল চলে গেলো গোলপোস্টের উপর দিয়ে!
রুনি ও মালা একটু ইস করে উঠলো। কিন্তু ফ্যান্টাসীর কিছুই বুঝতে পারলো না। শর্মিলী বলে, চিন্তা করে দেখ, ঐ সময়ে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ আমার ছেলেকে কি বলবে?
রুনি ও মালা বলে, কি, কি?
শর্মিলীর চোখ দুটি তাড়িয়ে ওঠে। উত্তেজিতভাবে বলে, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ তখন এক সাথে বলবে, শুয়োরের বাচ্চা! তোর মায়রে চুদি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।