আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ - মায়ানমার মৈত্রী সড়কের পথ ধরে...

খুঁজি আমি পথের আশেপাশে দৃশ্য অদৃশ্য// আমি যে সেই পথিক!!!!!!

টেকনাফে যাবার পথে রামুর ঘন বনের গহীন দুপাশের আবেশ ছাড়িয়ে আরও খানিকদূর গেলেই বালু খালির ঠিক শুরতে হতের বাম দিকে একটি সরু পথ চলে গেছে পাহাড় এর ভিতর, সেখানে একখানা সাইনবোর্ডে বড় বড় করে লেখা [গাঢ়]বাংলাদেশ মায়ানমার মৈত্রী সড়ক[/গাঢ়] । এশিয়ান হাইওয়ের জন্যেই সম্ভবত এই পথখানা তৈরীর কোন পরিকল্পনা ছিল। যদিও কোন কারনে পরে আর এটি পূর্ণ বাস্তবার মুখ দেখেনি। সেদিন ( 23শে মার্চ) টেকনাফ হতে গ্রামীন ফোনের জিপিডিসির বন্ধুগণের সাথে ফেরার সময় সবার ইচ্ছে হলো এই পথের শেষ দেখার। পূর্ব অভিজ্ঞতা সমপন্ন একজন কক্সবাজারে স্থানীয় যুবক ছিল আমাদের সাথে গাড়ীতে।

সাহসটা তাই আরও বেড়ে গেলো। সরু পিচ ঢালা রাস্তা চলে গেছে ছোট ছোট পাহাড়ের কোল ঘিরে বিষম ভাবে আঁকাবাঁকা হয়ে। একটু পরে পরেই মোড় আর মোড়। দুটো গাড়ী একসাথে পার হতে পারবেনা বেশীর ভাগ অঞ্চলেই। সেই পথে দুধারের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য দেখতে দেখতে প্রায় 8/9 কিমি এগিয়ে গিয়ে থমকে দাঁড়ালাম আমারা উঁচু উচুঁ পাহাড়ের পাদদেশে।

সামনে রাস্তা শেষ। একখানা ভাঙা ব্রীজ বিচ্ছিন্ন করেছে, এপাশ আর ওপাশ। না যা ভাবছেন , তা না। ওপাশটা মায়ানমার বা বার্মা নয়। ব্রীজের ওপাশটাও বাংলাদেশ।

রাস্তা ওপাশ থেকে চলে গেছে নাইখ্যাংছড়ির ভিতর দিয়ে লামা হয়ে বান্দরবন। উপরের ছবিতে ব্রীজটি দেখা যাচ্ছে। ব্রীজের ওপাশে হেটে যাচ্ছে কয়েকজন পুলিশ। ঝকঝকে মাইক্রো থেকে নেমে আমরা যখন মায়ানমারের সীমানা খুঁজছিলাম তথন ঐ পুলিশগুলো পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল আর একটু কেমন জানি আচরণ করতে চাইছিল। জানতে চাচ্ছিল আমরা কোন গোপন উদ্দেশ্যে এই দুর্গম নির্জন এলাকায় এসেছি কিনা।

আসলে হুদাই। ওরা সীমান্ত রক্ষি না। সীমান্ত রক্ষি বিডারের ক্যাম্প আরও পেছনে ফেলে এসেছি। কোন বাঁধা তারা দেয়ইনি। পুলিম দল কোন এক অভিযানে বা তদন্তেই ঘুরছে।

একটু দাপট দেখিয়ে যেতে চাইল। আমরাও সপ্রতিভ শুনে গেলাম। গাড়ীতে গ্রামীরে লোগো তো ছিলই। আমি অবশ্য আমার বিশিষ্ট সরকারী পরিচয় দিতে চাইলাম না। ভাঙা ব্রীজের ডানে নালা টা ঘুরে ঢুকে গেছে বার্মায়।

বামের পাহাড়টার পেছনেই বার্মার সীমনা । দূরে দেখতে পেলাম বার্মার বড় বড় পাহাড়গুলো তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে চেয়ে আছে জেনো। একটা দৃশ্য খুব মন কাড়ল। তরমুজের ক্ষেত। পাহাড়গুলোর কোল ঘেষে যতটুকু সমতল ভূমি সবখানে কেবল তরমুজের সবুজ ক্ষেত।

ছোট ছোট তরমুজ মাটিতে শুয়ে আসে। যেন হাসছে আমাদের দিকে তাকিয়ে। মাঝে মাঝে আবার কিছৃু ভূট্টা ক্ষেতও চোখে পড়ল। এখানের তনমুজ আর ভূট্টা বেশ বিখ্যাত। জানলাম।

তরমুজ ক্ষেতের কিছু ছবি তুললাম গাড়ীতে বসেই। ফেরার পথে প্রথম বাজার হতে কিনে খেলাম যে বস্তুটি সেটির বর্ননা দিচ্ছি পরের পোষ্টেই। ওহো জাযগাটির নাম আমাদের সাতে অভিজ্ঞ যুবকটি বলল- তম্বুর ( সম্ভবত)। অবশ্য বাজারে আমি এক সাইনবোর্ডে লেখা দেখেছিলাম ঘুমধুম নামটি। সম্ভবত ঘুমধুম ইউনিয়নের নাম।

জায়গাটির মাঝে বেশ একটা নির্জন রোমাঞ্চতা আছে। যার জন্যে মনে থাকবে চিরকাল। -------------- ছবি ঃ 1) বামে পাহাড় পেরোলেই বার্মার শুরু 2) গাড়ীতে বসে কাঁপা হাতে তোলা তরমুজের ক্ষেত 3) ভুট্টার ক্ষেত

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.