যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
মলিন তুমি, শুয়ে আছ হাসপাতালের শুভ্র চাদরে
ফেরারী পাখিরা সন্ধ্যা ডাক দিয়ে ফিরে যায় ছেঁড়া কাগজ আর প্লাষ্টিকের নীড়ে
জানালার ওপাশে পৃথিবী কখনো হতে দেয় না পথিকের নির্ভার ঘুম
স্কুল-ফেরা শিশুগুলোর গালে পারফিউম্ড মায়েদের সতকর্ উদ্বেগী চুম
চশমাগুলোর ফ্রেমবন্দী ফোকাসে প্রিয়জনদের নিত্য আনাগোনা
তবুও ল্যাসিকের বরাতে, চোখ মেলে তাকাতে নেই মানা
নাগরিক শল্যবিদ রশ্মি দিয়ে কেটে দেয় ভারসাম্যহীন স্বপ্নের মেদ
দূর করে দেয় চশমা পরিধানের এতদিনের পুঞ্জীভূত খেদ
শরীর শুকাতে চায় ঘা,
প্রায় অসম্ভব, দ্রুত তাড়াতাড়ি
কর্পোরেটে অনুপস্থিত হলে ছুটে যাবে জীবনের গাড়ী
অথচ হঠাৎ দেখা দেয় বিপর্যয়, প্রযুক্তির অগোচরে
ল্যাসিকের দক্ষতায়, অশ্রু শিরাগুলো আপাতত গেছে মরে
তবুও শল্যবিদ হয়না এতটুকু বিচলিত
আশ্বস্ত স্বরে রোগীর চোখগুলোকে করে স্থিত
আর সবকিছুর মতই বাজারে পাওয়া যায় অশ্রু তৈরীর টিউব
প্রতিটি ফোঁটায় জমিয়ে তোলে অশ্রু, কান্না করায় খুব
প্রেয়সী আর আমি, বসে থাকি পাশাপাশি হাসপাতালের বেডে
সকাল গড়িয়ে দুপুর হয় আর সন্ধ্যাগুলো মরে যায় অশ্রুহীন রাতে
তবুও কোমল শিশুর মত আমি ঢালতে থাকি টিউবের অশ্রু ফোঁটা ফোঁটা
যদি কোন একদিন, অশ্রুশিরায় রক্তেরা দেয় হাঁটা
পেরিয়ে যায় দিনমাস, প্রতীক্ষারত ক্ষণ
আর প্রেয়সীর চোখে ধীরে ধীরে বেঁচে ওঠে অশ্রুশিরার মন
এরপর আমি ইচ্ছে করেই চলে যাই দূরে, অপরিচিত দূরে
যাতে পুরোপুরি জেগে ওঠে তার চোখ আর অশ্রুরা যায় সেরে
অথচ প্রেয়সী এতটুকু হয়না বিচলিত, এবার শল্যবিদকেও ডাকেনা কেউ
হাসপাতালের বিছানা পেরুবার পর, দেখা দেয়না একবিন্দু আলোড়নের ঢেউ
সে বিতর্ক করে আর ইষ্পাতের মত বুনে চলে ধাতব যুক্তি শৃঙ্খল
তার চোখদুটো ভরে ওঠে দীপ্তীময় আভায়
দেহজুড়ে ফিরে আসে সকর্মক কর্পোরেট বল
আমি দোষ দেইনা কাউকে
হাসপাতালের বেড বা শল্যবিদের ক্লিনিক্যাল ক্ষণ
শুধু অশ্রুশিক্ত চোখে বুঝতে পারি
শিরাগুলো বেঁচে উঠলেও
মরে গেছে, প্রেয়সীর অশু্র উৎসরণের মন
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।