এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ
শ্রীলংকার কাছে হারার পর শুধু আপামর ভারতীয়ই নয়, মাথায় হাত পড়েছে করপোরেট, বিজ্ঞাপনদাতা, সমঙ্্রচারকারীদেরও। বাকি ম্যাচগুলোতে বিজ্ঞাপন হারানোর আশঙ্কা তো রয়েছেই, 2011-র বিশ্বকাপেও বিজ্ঞাপন পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে গেল একই সঙ্গে। ভারতীয় উপমহাদেশেই বসছে এ ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর।
কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পর ভারত যে ভাবে সুপার এইটে পৌছানোর আগেই প্রায় ছিটকে গেল এবং যে ভাবে গড়াপেটা বব উলমারে বিতর্ক গোটা পরিবেশে ছেয়ে রয়েছে, তার প্রত্য প্রভাব ক্রিকেট ব্র্যান্ডেও পড়বে বলে মনে করছে শিল্পমহল। কারণ, পৃথিবীতে যে কয়টি দেশ ক্রিকেট খেলে, তার 70 শতাংশ রাজস্ব আসে এই উপমহাদেশ থেকেই।
এই বিশাল বাজার থেকে ভাল হারে বিজ্ঞাপন না পেলে ভবিষ্যতে আইসিসির পওে চড়া দামে স্বত্ব বিক্রি করা মুশকিল হবে।
এদিকে, ভারতের মিডিয়া টার্ফ অনলাইন সংস্থার কর্ণধার নীতিন সাভারওয়ালের মতে, ম্যাচের হারার পর ভারতীয় খেলোয়াড়দের উপর সাধারণ মানুষের যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, তাতে টেলিভিশনের পর্দায় তাদেরকে নিয়ে তৈরি বিজ্ঞাপন আর দেখানোর কোনো মানেই হয় না। চোখ বুজে বলে দেওয়া যায়, ভারতের লজ্জাজনক হারের পর টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে 40-45 শতাংশ রাজস্ব কমবে। '
বাংলাদেশের কাছে হারের পর থেকেই সেই টেলিভিশন সমঙ্্রচারকদের ওপর সরাসরি প্রভাবের ত্রে তৈরি হচ্ছিল। এবার শ্রীলঙ্কার কাছে ভরাডুবির পর বিজ্ঞাপন বাবদ রাজস্ব এক লাফে দেড়শো কোটি টাকা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এতোদিন প্রতি দশ সেকেন্ড বিজ্ঞাপনের জন্য বিজ্ঞাপনদাতাদের যেখানে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা দিতে হত, ভারত বেরিয়ে যাওয়ায় সেটি কমে এক লাখ টকায় দাঁড়াবে। ভারতের হারে মাঠে মারা গেল দেশজুড়ে হোটেল-রেস্তোরা, কাব, নানা ধরণের ছোট-বড় সংস্থার বিপণনও।
এদিকে ভারতের ন্যাশনাল ক্যাবল অ্যান্ড টেলিকম অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ভিকি চৌধুরী বলেন, 'যে সব শহরে ক্যাস চালু হয়েছে, বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে সে সব জায়গায় সেট-টপ বক্সের চাহিদাও বেড়েছিল। সেমিফাইনাল থেকেও অনেকের বুকিং ছিল। তবে সব বুকিং বাতিল হতে শুরু করেছে।
'
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।